সানিয়া মির্জা। ফাইল চিত্র
নোভাক জোকোভিচ, রাফায়েল নাদালদের রুদ্ধশ্বাস জয় নিয়ে সবাই যখন মাতোয়ারা, তখন প্রায় নিঃশব্দে আরও একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সানিয়া মির্জা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। টেনিস জীবনের শেষ বছরে উইম্বলডনের মিক্সড ডাবলসের সেমিফাইনালে হারলেন তিনি। ক্রোয়েশিয়ার মাতে পাভিচকে নিয়ে সানিয়া ৬-৪, ৫-৭, ৪-৬ গেমে হেরে গেলেন গত বারের চ্যাম্পিয়ন জুটি ব্রিটেনের নিল স্কুপস্কি ও আমেরিকার ডিসারি ক্রচিকের কাছে। সানিয়ারা এ বারের উইম্বলডনের ষষ্ঠ বাছাই। তাঁরা হারলেন দ্বিতীয় বাছাই জুটির কাছে।
প্রথম সেটে পঞ্চম গেমে বিপক্ষের সার্ভিস ব্রেক করেন সানিয়ারা। স্কুপস্কির সার্ভে পাভিচের একটি ইনসাইড-আউট ফোরহ্যান্ড রিটার্ন সানিয়াকে নেটের সামনে সহজ সুযোগ করে দেয়। এগিয়ে যায় ইন্দো-ক্রোট জুটি। এর পর বেসলাইন থেকে সানিয়ার দুরন্ত ফোরহ্যান্ড স্কুপস্কি সামলাতে পারেননি। তর পর ছিল পাভিচের ডাউন দ্য লাইন ব্যাকহ্যান্ড। শেষে স্কুপস্কির আনফোর্সড এররে সানিয়ারা সার্ভিস ব্রেক করেন। তার আগে তৃতীয় গেমেই সার্ভিস ব্রেক করে দিচ্ছিলেন সানিয়ারা। অল্পের জন্য তা সম্ভব হয়নি।
দ্বিতীয় সেটের শুরুতে বাঁ পায়ের চোটের জন্য কোর্ট ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় সানিয়াকে। শুরু থেকেই মোটা ব্যান্ডেজ বেঁধে খেলছিলেন তিনি। কিন্তু শুরুতেই স্কুপস্কি-ক্রচিকের সার্ভিস ভেঙে দেন সানিয়া-পাভিচ। ৪-৩ এগিয়ে থাকা অবস্থায় অষ্টম গেমে সানিয়ারা যখন সার্ভিস করতে যাচ্ছেন, তখন মনে হয়েছিল স্ট্রেট সেটে জিতে ফাইনালে উঠবেন। কিন্তু সানিয়ার দুর্বল সার্ভিস এবং ডাবল ফল্টে ম্যাচে ফিরে আসেন গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। ৪-৪ করে ফেলেন তাঁরা। দ্বাদশ গেমে আবার সানিয়ার সার্ভিস ব্রেক হয়। দুটি দুর্দান্ত ভলিতে স্কুপস্কি-ক্রচিক ৩০-১৫ পয়েন্টে এগিয়ে যান। এর পর স্কুপস্কি একটি জোরাল ক্রসকোর্ট ব্যাকহ্যান্ড রিটার্ন মারেন। দু’টি সেট পয়েন্ট পেয়ে যান। এস মেরে একটি পয়েন্ট বাঁচান সানিয়া। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
খেলা গড়ায় তৃতীয় সেটে। তৃতীয় গেমে সার্ভিস ব্রেক করেন সানিয়া-পাভিচ। ক্রচিকের এই সার্ভিস গেমে দুর্দান্ত খেলেন সানিয়া। প্রথমে তাঁর রিফ্লেক্স নজর কেড়ে নেয়। এর পর তাঁর ডাউন দ্য লাইন ব্যাকহ্যান্ড দু’টি ব্রেক পয়েন্ট এনে দেয়। শেষে অসাধারণ ফোরহ্যান্ড রিটার্নে সার্ভিস ব্রেক করে দেন তিনি। এই গেমে মনে হচ্ছিল সানিয়া সিঙ্গলস খেলছেন। পাভিচকে প্রায় কিছুই করতে হয়নি। কিন্তু গোটা প্রতিযোগিতায় যে রকম সার্ভিস ভুগিয়েছে সানিয়াকে, পরের গেমেই নিজের সার্ভিস ধরে রাখতে পারেননি তিনি। গত বারের চ্যাম্পিয়নরা পিছিয়ে পড়ার পর এই গেমে শুরু থেকে মরিয়া হয়ে ওঠেন। পঞ্চম গেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। চার বার ব্রেক পয়েন্ট পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সানিয়ারা। শেষ পর্যন্ত দশম গেমে তাঁদের সার্ভিস ব্রেক হয়ে যায়।
উইম্বলডনে এর আগে এক বারই ফাইনালে উঠেছিলেন সানিয়া। সেটি সাত বছর আগে ২০১৫ সালে। সে বার মার্টিনা হিঙ্গিসকে নিয়ে ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। টেনিসজীবনের শেষ বছরে দ্বিতীয় উইম্বলডন এবং ষষ্ঠ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা হল না সানিয়ার। বাকি থাকল শুধু ইউএস ওপেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy