জোকোভিচের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ছবি রয়টার্স
সপ্তম বার উইম্বলডন জিতলেন। ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ঘরে তুললেন। এর পর? জোকোভিচের আলমারিতে গ্র্যান্ড স্ল্যামের সংখ্যাটা আরও বাড়বে কি? নির্ভর করছে সার্বিয়ার খেলোয়াড়ের ইচ্ছা এবং নিয়ম বদলের উপরেই। উইম্বলডন জিতে জোকোভিচ সাফ জানিয়েছেন, করোনার টিকা নেওয়ার এখন কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। যদি সেই অবস্থানে অটুট থাকেন, তা হলে ইউএস ওপেন এবং পরের বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলা হবে না তাঁর।
আগামী ২৯ অগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে ইউএস ওপেন। সেটিই বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন রয়েছে। তবে এই দু’টি প্রতিযোগিতায় খেলতে গেলে টিকা নিতেই হবে। আর টিকা না নেওয়ার প্রশ্নে জোকোভিচ অনড়। রবিবারও বলেছেন, “আমি টিকা নিইনি এবং নেওয়ার কোনও পরিকল্পনাও নেই। যদি আমেরিকা ওদের নিয়ম বদল করতে পারে বা ছাড় দেয় তা হলে সেটাই আমার কাছে ভাল খবর হতে পারে। আমি ইউএস ওপেন খেলতে চাই। তাই ওখানে যাওয়ার জন্যে মুখিয়ে আছি। যদি না যেতে পারি তা হলে দেখতে হবে আগামী দিনে কী সূচি রয়েছে।”
চলতি বছরের শুরুতে টিকা না নেওয়ার কারণেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে পারেননি তিনি। সেই ঘটনা যে মানসিক ভাবে তাঁকে আঘাত করেছিল, সেটা বলতে ভোলেননি জোকোভিচ। তাঁর কথায়, “এই বছরটা অন্য রকম গিয়েছে। বাকি বছরগুলোর থেকে আলাদা। বছরের প্রথম কয়েকটা মাস মোটেই ভাল ছিলাম না। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিলাম। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার পর অদ্ভুত একটা চিন্তা হচ্ছিল। অপেক্ষা করছিলাম সঠিক সময়ের, যাতে এই ঝঞ্ঝা কাটিয়ে বেরোতে পারি।”
তাঁর জীবনে সঠিক সময়ে উইম্বলডন এসেছে, এমনটাই মনে করেন জোকোভিচ। বলেছেন, “আমার কেরিয়ারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সাহায্য করেছে উইম্বলডন। ২০১৮-এ অস্ত্রোপচার করে কনুইয়ের চোট সারানোর পর উইম্বলডনেই প্রথম খেলতে এসেছিলাম। সেটা জেতার পর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। পরের দুটো গ্র্যান্ড স্ল্যাম (ইউএস ওপেন এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেন) সেই আত্মবিশ্বাসের জোরেই জিতে নিই। লন্ডনে এলেই বরাবর আমার র্যাকেট থেকে সেরা টেনিস বেরিয়ে আসে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy