বিদায় রাদুকানুর ছবি রয়টার্স
উইম্বলডনে একই দিনে জোড়া স্বপ্নভঙ্গ ব্রিটেনের টেনিসপ্রেমীদের। দেশের দুই টেনিস তারকা অ্যান্ডি মারে এবং এমা রাদুকানু বিদায় নিলেন। জন ইসনারের কাছে ৪-৬, ৬-৭, ৭-৬, ৪-৬ গেমে হেরে যান মারে। তার ঠিক আগেই ক্যারোলিন গার্সিয়ার কাছে ৩-৬, ৩-৬ ব্যবধানে হেরে যান গত বারের ইউএস ওপেন জয়ী রাদুকানু।
কোমরের চোট প্রায় গোটা জীবনই ভুগিয়েছে মারেকে। সম্প্রতি কুঁচকির চোটের কারণে উইম্বলডনের প্রস্তুতিও ভাল করে নিতে পারেননি। তা সত্ত্বেও প্রথম রাউন্ডে জিতেছিলেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে ইসনারের বড় সার্ভ সামলাতে পারেননি তিনি। বিপক্ষের থেকে একটি সেট কেড়ে নিলেও জয় আসেনি। যদিও মারের খেলা নজর কেড়েছে। এখনও তাঁর গ্রাউন্ডস্ট্রোক, রিটার্ন, উইনার মারার দক্ষতা আগের মতোই শক্তিশালী।
৩৫ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। পরের বার কি তাঁকে উইম্বলডনে দেখা যাবে? মারে বলেছেন, “শারীরিক ভাবে কেমন থাকি তার উপরেই নির্ভর করছে। যদি শরীর ঠিক থাকে তা হলে খেলব। তবে যে কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে গত কয়েক বছরে গিয়েছি, তাতে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।” ৭৭ বছর পর ২০১৩ সালে কোনও ব্রিটিশ হিসাবে উইম্বলডন জেতেন মারে। ২০১৬-য় আবার জেতেন। এর আগে ১৩ বার খেলেছেন উইম্বলডনে। প্রতি বার অন্তত তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছেছেন। এ বারই পারলেন না।
মারেকে হারিয়ে ইসনার বলেন, “অ্যান্ডি মারের থেকে ভাল খেলোয়াড় আমি নই। হয়তো আজ ওর থেকে একটু বেশি ভাল খেলেছি। ওর বিরুদ্ধে এই কোর্টে খেলতে পারা সম্মানের। আমার যা বয়স, তাতে এ ধরনের মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই। আমার জীবনের অন্যতম সেরা জয়ের মধ্যে এটা থাকবে।”
ঘরের মাঠে প্রত্যাশার চাপ নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন। তবে রাদুকানু হেরে গিয়ে মানতে চাননি কোনও চাপের কথা। বলেছেন, “কিসের চাপ? মাত্র ১৯ বছর বয়স আমার। এখনই চাপে পড়ব কেন? একটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম আগেই জিতেছি। সেটা তো আর কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। হ্যাঁ, অনেকে আমার উপর নজর রেখেছিল, এটা ঠিক। তবে কখনওই মনে হয়নি চাপে রয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy