ছোট থেকেই দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের ছবি দেখতে ভালবাসে প্রজ্ঞা। সেটাই তার অবসর কাটানোর মাধ্যম। তার আদর্শ ভারতের প্রথম গ্র্যান্ড মাস্টার তথা প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দ। প্রজ্ঞা গ্র্যান্ড মাস্টার হওয়ার পরে তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন আনন্দ। এয়ারথিংস মাস্টার্সেও প্রজ্ঞাদের মেন্টর সেই আনন্দ।
পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নরওয়ের ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারিয়েছেন প্রজ্ঞানন্দ ছবি: টুইটার থেকে।
বয়স মাত্র ১৬। রবিবার ভারতীয় সময় মধ্যরাতে তার দ্বিগুণ বয়সী পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নরওয়ের ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে চেন্নাইয়ের বাসিন্দা রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। দাবার দুনিয়ায় সবাই তাকে ভালবেসে ডাকে ‘প্রাগ’। সেই প্রাগের কৃতিত্ব উচ্ছ্বসিত তার কোচ বিআর রমেশ থেকে শুরু করে সচিন তেন্ডুলকরও। কিন্তু কী ভাবে এল এই সাফল্য। কী ভাবে নিজেকে তৈরি করছিল মাত্র ১২ বছর বয়সে গ্র্যান্ড মাস্টার হওয়া প্রজ্ঞানন্দ।
ম্যাচের পরে তার কোচ রমেশবাবু জানিয়েছেন, ছেলেটা খুব পরিশ্রমী। তাঁর অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা যখন ওপেনিং নিয়ে সময় ব্যয় করে, তখন প্রজ্ঞা মিডল বা এন্ড গেম শিখত। ওর মাথাটা কম্পিউটারের মতো। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের কিশোর দাবাড়ুদের মধ্যে র্যাপিড চেসে অন্যদের থেকে অনেকটা এগিয়ে প্রজ্ঞা। এয়ারথিংস মাস্টার্সে কার্লসেন ছাড়াও বিশ্বের ছ’নম্বর লেভ অ্যারোনিয়ানকে হারিয়েছে সে।
২০০৫ সালের ১০ অগস্ট চেন্নাইয়ে জন্ম নেওয়া প্রজ্ঞা ছোট থেকেই বাড়িতে দাবার পরিবেশ পেয়েছে। তার দিদি বৈশালী রমেশবাবুও এক জন নামকরা দাবাড়ু। ২০১৩ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে অনূর্ধ্ব-৮ ওয়ার্ল্ড ইউথ চেস চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে প্রজ্ঞা। সেখানে জেতার পরে ফাইড মাস্টারের খেতাব অর্জন করে সে। তার পরে ২০১৬ সালে মাত্র ১২ বছর ১০ মাস ১৩ দিন বয়সে ভারতের দ্বিতীয় ও বিশ্বের পঞ্চম সর্বকনিষ্ঠ (অভিমন্যু মিশ্র, গুকেশ ডি, সের্গে কার্জাকিন ও জাভোখির সিন্দারতের পরে) গ্র্যান্ড মাস্টার হয় প্রজ্ঞানন্দ।
ছোট থেকেই দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের ছবি দেখতে ভালবাসে প্রজ্ঞা। সেটাই তার অবসর কাটানোর মাধ্যম। তার আদর্শ ভারতের প্রথম গ্র্যান্ড মাস্টার তথা প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দ। প্রজ্ঞা গ্র্যান্ড মাস্টার হওয়ার পরে তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন আনন্দ। এয়ারথিংস মাস্টার্সেও প্রজ্ঞাদের মেন্টর সেই আনন্দ।
যাতে কোনও দিকে মন না যায় তার জন্য নেটমাধ্যম থেকে দূরে থাকে প্রজ্ঞা। তার বাবা আরবি রমেশবাবু জানিয়েছেন, ছেলের ধ্যান-জ্ঞান শুধুই দাবা। ঘুমের মধ্যেও নাকি সে দাবা খেলে। বাড়িতে বসে কার্লসেনের বিরুদ্ধে ছেলের খেলা দেখেছেন তাঁরা। কার্লসেনকে হারিয়ে দিদির সঙ্গে দাবা নিয়েই আলোচনা করেছে প্রজ্ঞা। তার লক্ষ্য আদর্শ আনন্দের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া। সেই লক্ষ্যেই এগচ্ছে চেন্নাইয়ের কিশোর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy