স্কুলজীবনেই ক্রিকেটে হাতেখড়ি। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম সুযোগ দিল্লি অনূর্ধ্ব ১৯ দলে। লিস্ট এ ম্যাচে আত্মপ্রকাশ ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে। বিপক্ষ ছিল জম্মু কাশ্মীর। পরের মাসে প্রথমবার টি-২০ দলে সুযোগ পান। ম্যাচ হয়েছিল অসম বনাম দিল্লি। সে বছরই নভেম্বরে জম্মু কাশ্মীরের বিরুদ্ধে উন্মুক্তের অভিষেক প্রথম শ্রেণির ম্যাচে।
২০১২-র এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়ায় চতুর্দেশীয় টুর্নামেন্টে অংশ নেয় ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দল। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ছাড়া বাকি প্রতিযোগী দেশ ছিল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। উন্মুক্তের চওড়া ব্যাটের ৬৩ রানে ভর করে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ী হয় ভারত। ফাইনালে উন্মুক্তের অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৯টা বাউন্ডারি এবং ৬টা ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। ৭ উইকেট বাকি থাকতেই ম্যাচে জয়ী হয় ভারত। ৫ ম্যাচে ২৮১ রান করে উন্মুক্ত ছিলেন সেই সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী।
নেটে প্র্যাকটিসের সময়ই চোট পেয়েছিলেন উন্মুক্ত। ওই চোট নিয়ে খেলা সম্ভব ছিল না। কিন্তু পিছিয়ে যাননি উন্মুক্ত। ভাঙা চোয়ালে ব্যান্ডেজ বেঁধেই ব্যাট করতে নামেন দিল্লির ওপেনার। তাঁর সেঞ্চুরিতেই ৫৫ রানে উত্তরপ্রদেশকে হারিয়ে দেয় দিল্লি। ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান করে দিল্লি। উন্মুক্ত চাঁদ ১২৫ বলে ১১৬ রানের ইনিংস খেলেন। যে ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে।
কেন তাঁর কেরিয়ার এ ভাবে মুখ থুবড়ে পড়ল? উত্তর নেই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের কাছেও। এক সময় তাঁর তুলনা হত বিরাট কোহালির সঙ্গে। কিন্তু তিনি নিজে কোনও তুলনায় যেতে চান না। নিজেকেই নিজের মাপকাঠি বলে মনে করেন। মাঝে মাঝেই সেই বার্তা পোস্ট করেন তিনি। কেরিয়ারে হোঁচট খেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি খুবই সক্রিয়। সেখানে তাঁর ঝা চকচকে প্রোফাইলে কেরিয়ার নিয়ে হতাশার কোনও লক্ষণ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy