নজরে: অমিত শাহকে নিয়ে জল্পনা বোর্ডে। ফাইল চিত্র
অরুণ জেটলির প্রয়াণে ভারতীয় ক্রিকেট রাজনীতির অন্দরে কী ধরনের পরিবর্তন উঁকি দিচ্ছে, তা নিয়ে কৌতূহল বাড়তে শুরু করেছে। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের (সিওএ) নির্দেশে বিভিন্ন রাজ্য সংস্থায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। অক্টোবর মাসের মধ্যে অনেক রাজ্যে নির্বাচন হয়ে যাবে। কলকাতায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অভিষেক ডালমিয়া পরিচালিত সিএবি-র নির্বাচনের দিনই যেমন ঠিক হয়েছে ১ অক্টোবর।
রাজ্য সংস্থাগুলির নির্বাচন মিটে গেলেই ক্রিকেট বোর্ডের বহু প্রতীক্ষিত নির্বাচন এসে পড়বে। মনে করা হচ্ছে, এ বছরের মধ্যে সমস্ত রাজ্য সংস্থা এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন মিটিয়ে ফেলা যাবে। আসন্ন সেই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আগ্রহ বাড়ছে যে, জেটলি না থাকায় ক্রিকেট সংক্রান্ত বিষয়ে বিজেপির ‘হাইকম্যান্ড’ কে হতে যাচ্ছেন। ক্রিকেট মহলে জোর জল্পনা, এ বার কি তা হলে অমিত শাহের বরাভয় পেতেই ছুটবেন বোর্ড নির্বাচনের প্রার্থীরা? ক্রিকেট বোর্ডে কি আসতে চলেছে নতুন ‘শাহ’?
শোনা যাচ্ছে, বিজেপি হাইকম্যান্ড বেশ আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে ক্রিকেট বোর্ড এবং তার পরিচালন নিয়ে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হালফিলে ‘অমিত শাহ’ নামটাও বার বারই ক্রিকেট প্রশাসনের অন্দরমহলে উচ্চারিত হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভারতীয় দূতাবাসের উচ্চ পদস্থ কর্তাকে অপমান করে বসেছিলেন ম্যানেজার সুনীল সুব্রহ্মণ্যম। তখন তাঁকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ পর্যন্ত তৈরি হয়ে গিয়েছিল। বিশ্বস্ত সূত্রে ইঙ্গিত ছিল, ভারতীয় দূতাবাসের কর্তার অপমানিত হওয়া নিয়ে খুবই ক্ষুব্ধ ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বয়ং। শোনা যায়, শাহের কঠোর অবস্থানের জেরেই ভারতীয় দলের ম্যানেজারকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ পাঠিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। পরে ম্যানেজার বার বার ক্ষমা চাওয়ায় বরফ গলে এবং সফর শেষ হওয়া পর্যন্ত তাঁকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ভারতীয় দল ফেরার পরে ঘরোয়া মরসুমের সময় দিল্লির ফিরোজ শা কোটলায় বড় অনুষ্ঠান হতে চলেছে। কোটলার নতুন নামকরণ হবে প্রয়াত জেটলির নামে। স্ট্যান্ডের নামকরণ হচ্ছে কোহালির নামে। সেই অনুষ্ঠানে কোহালির সঙ্গে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকছেন অমিত শাহ। ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর যে একেবারে যোগাযোগ নেই, বলা যাবে না। ২০০৯-এর দিকে নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট, সেই সময় সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন অমিত শাহ। এখন তাঁর ছেলে জয় শাহ গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার প্রধান। আমদাবাদে বিশাল স্টেডিয়াম বানিয়েছেন তাঁরা। ভারতের বৃহত্তম তো বটেই, বিশ্বের সব চেয়ে বড় স্টেডিয়ামগুলির একটি। তবু গত কয়েক বছরে অমিত শাহকে প্রকাশ্য ক্রিকেট অনুষ্ঠানে খুব একটা দেখা যায়নি। ফিরোজ শা কোটলা সে দিক দিয়ে চমকই হতে যাচ্ছে।
কারও কারও মতে, এটাই ক্রিকেট রাজনীতিতে প্রবেশের আনুষ্ঠানিক মঞ্চ হয়ে থাকতে চলেছে। দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার এখনকার কর্তারা ছিলেন জেটলি এবং বিজেপি-ঘনিষ্ঠ। সেখানেও হয়তো ঢুকে পড়ছে অমিত বিক্রম। বিভিন্ন রাজ্য সংস্থার কর্তাদের মধ্যে তীব্র আগ্রহ তৈরি হয়েছে শাহের ‘স্টান্স’ কী হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে। গত কয়েক বছর ধরে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত সিওএ দেশের ক্রিকেট প্রশাসন চালাচ্ছে। বোর্ড কর্তাদের ক্ষমতা অনেকটাই খর্ব। তবু পর্দার আড়ালে যে কর্তারা সক্রিয়, তাদের নেতৃত্বে দেখা গিয়েছে এন শ্রীনিবাসনকে। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজনৈতিক স্রোত চললে, শ্রীনি নয় অমিত বিক্রম চলতে পারে। বোর্ডের কয়েক জন প্রভাবশালী কর্তার কথায়, ‘‘এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনও বার্তা নেই। তবে সরকারের তরফে আগ্রহ যে বাড়ছে, তার চিহ্ন স্পষ্ট। আমরাও দেখার অপেক্ষায় রয়েছি, জেটলির প্রয়াণে কে ক্রিকেট রাজনীতিতে বিজেপি হাইকম্যান্ডের মুখ হন? যদি সত্যিই বড় কোনও নাম আসেন, অবাক হওয়ার থাকবে না।’’ বড় কোনও নাম যে ‘শাহ’ তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। একটা সময়ে বোর্ড নির্বাচনের প্রার্থীরা জেটলির
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy