মঙ্গলবার অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছিল সোনা। ঝাড়গ্রামের প্রণতি নায়েকের (ওড়িশার হয়ে খেলেন তিনি) থেকে পিছিয়ে থাকায় রুপো জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল প্রণতি দাসকে। বুধবার অবশ্য বাংলার প্রণতিকে থামানো যায়নি। সোনা জিতেছেন তিনি। বুধবার জিমন্যাস্টিক্সে এসেছে আরও তিনটি পদক। একটি করে পদক এসেছে টেবল টেনিস ও জুডোতে।
জাতীয় গেমসে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সে আনইভেন বার ইভেন্টে প্রথম স্থানে শেষ করেন প্রণতি। তিনি স্কোর করেন ১০.৩০০। প্রণতিই একমাত্র প্রতিযোগী যিনি এই ইভেন্টে ১০-এর বেশি স্কোর করেছেন। বাংলাকে আরও একটি পদক এনে দিয়েছেন তিনি। এই ইভেন্টে সপ্তম স্থানে শেষ করেন বাংলার আর এক জিমন্যাস্ট প্রতিষ্ঠা সামন্ত। প্রতিষ্ঠা অবশ্য অন্য একটি ইভেন্টে পদক এনেছেন বাংলার জন্য। আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সে ভল্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বুধবার জিমন্যাস্টিক্সে আরও দু’টি পদক জিতেছে বাংলা। অ্যারোবিক্সে মহিলাদের ব্যক্তিগত ইভেন্টে রুপো জিতেছেন মাজিদা খাতুন। তিনি স্কোর করেছেন ১৭.৩৫। পুরুষদের ব্যক্তিগত অ্যারোবিক্স ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন অনিকেত চক্রবর্তী। তিনি স্কোর করেছেন ১৭.১৫ পয়েন্ট।
জাতীয় গেমসে জুডোতেও পদক পেয়েছে বাংলা। মহিলাদের ৭৮ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছেন শংসা সরকার। টেবল টেনিসে অবশ্য দিনটা ভাল যায়নি বাংলার। মহিলাদের ডাবলসে হাতছাড়া হয়েছে সোনা। বাংলার ঐহিকা মুখোপাধ্যায় ও মৌমা দাস সেমিফাইনালে হেরেছেন তামিলনাড়ুর জুটির কাছে। ফলে ব্রোঞ্জ জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁদের। মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে অবশ্য উঠেছে বাংলা। ঐহিকার সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন অনির্বাণ ঘোষ। তাঁরা সেমিফাইনালে মহারাষ্ট্রের জুটিকে হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ফাইনালে ঐহিকাদের সামনে সেই মহারাষ্ট্রই।