পরামর্শ: আক্রম মনে করেন, বুমরার ঝুঁকি নেওয়া ঠিক নয়। ফাইল চিত্র
কাউন্টি ক্রিকেট থেকে বহু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আক্রম। কিন্তু ভারতের এক নম্বর পেসার যশপ্রীত বুমরার জন্য তাঁর পরামর্শ, ‘‘কাউন্টি ক্রিকেট নয়। যতটা সম্ভব বিশ্রাম নাও।’’
এক ভারতীয় রেডিয়ো চ্যানেলে প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার আকাশ চোপড়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় এই পরামর্শ দেন আক্রম। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচিতে ম্যাচের সংখ্যা অনেক বেশি। সারা বছরই কোনও না কোনও সিরিজে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। তাই সময় পেলেই যেন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারেরা। বিশেষ করে পেসাররা। আক্রম উল্লেখ করেছেন বুমরার নাম। সুযোগ পেলেও যেন কাউন্টিতে না খেলে ভারতীয় পেসার বিশ্রামকেই বেছে নেন, সেটাই জানিয়েছেন তিনি।
আক্রম বলেছেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটারেরা সারা বছর ক্রিকেট খেলছে। তা ছাড়া বুমরা এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না থাকলে ও যেন কোনও ক্রিকেটই না খেলে। যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিক। যাতে তরতাজা হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারে।’’
আরও পড়ুন: ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়ে দলের সামনেই ভেঙে পড়েছিলাম, ফাঁস করলেন ওয়ার্ন
আক্রম নিজে যদিও কাউন্টিতে খেলতেন নিয়মিত। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি ছ’মাস খেলতাম পাকিস্তানের হয়ে। ছয় মাস ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে। আমাদের সময় এত ম্যাচ হত না। কিন্তু এখনকার কোনও ক্রিকেটার যে তিন ফর্ম্যাটেই খেলছে, তার পক্ষে কাউন্টি ক্রিকেট খেলা সম্ভব নয়।’’
টেস্টে ৪১৪ উইকেট ও ওয়ান ডে-তে ৫০২ উইকেটের মালিক এখনও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে সে ভাবে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দেখে কখনওই তিনি একজন বোলারের যোগ্যতা বিচার করেন না। বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাট খারাপ নয়। বিনোদনের কোনও অভাব নেই। প্রচুর অর্থ জুড়ে রয়েছে এই ফর্ম্যাটের সঙ্গে। প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই অর্থের প্রয়োজন।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘কিন্তু টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্স দেখে কোনও বোলারকেই আমি বিচার করি না। বড় ফর্ম্যাটে তারা কী রকম করছে, সেই অনুযায়ী বিচার করি আমি।’’ তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য আক্রমের পরামর্শ, ‘‘যতটা সম্ভব প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলো। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা যায়। অনেক কিছু শেখা যায়।’’
এ িদকে, রবিবার টুইটারে ভক্তদের ক্রিকেট সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কে এল রাহুলও জানিয়েছেন, উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে বুমরার বল ধরার মতো কঠিন পরীক্ষা আর কিছু নেই। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে রাহুলই সামলেছেন উইকেটকিপারের দায়িত্ব। জনৈক ভক্ত সেই প্রসঙ্গ টেনে তাঁকে প্রশ্ন করেন, কিপার হিসেবে কার বোলিংয়ের সামনে অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে? রাহুল বলে দেন, ‘‘উইকেটকিপিংটা উপভোগ করি ঠিকই, কিন্তু এটাও ঠিক যে, বুমরা বল করতে এলে আমাকে খুবই চাপে থাকতে হয়। বুমরার বলে কিপিং করাটা কঠিনতম কাজ।’’
আরও পড়ুন: লিজ হার্লের প্রতি এখনও টান রয়েছে, পুরনো সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলে বললেন ওয়ার্ন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy