জসপ্রীত বুমরাহ। —ফাইল চিত্র।
বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। তাঁর পিঠের একাংশ বেশ ফুলে রয়েছে। চিকিৎসক তাঁকে বাড়িতে পূর্ণ বিশ্রামে (বেড রেস্ট) থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। স্বভাবতই আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বুমরাহের খেলা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরেছেন বুমরাহ। সিডনি টেস্টের মাঝে চোট পেয়েছিলেন। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পরীক্ষা করানোর জন্য। সে দিন মধ্যাহ্নভোজের পর এক ওভার বল করে উঠে যেতে হয় তাঁকে। ব্যাট করতে নামলেও আর বল করেননি ম্যাচের বাকি অংশে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, মাঠে ফিরতে ছয় সপ্তাহ মতো সময় লাগতে পারে তাঁর। বুমরাহের চোট তার থেকেও গুরুতর। আপাতত তাঁকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। থাকতে হবে পূর্ণ বিশ্রামে। বেশি হাঁটাচলা করতেও বারণ করা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা জোরে বোলারকে। দেশে ফেরার পর নিউ জ়িল্যান্ডের অস্থিশল্য চিকিৎসক রোয়ান শটেনের পরামর্শ নেন বুমরাহ। ২০২৩ সালে তিনিই বুমরাহের পিঠে অস্ত্রোপচার করেছিলেন। অস্ত্রোপচার করা জায়গাই ফুলে গিয়েছে।
এর আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এক কর্তা জানিয়েছিলেন, বুমরাহকে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) যেতে বলা হয়। সেখানে তাঁর চোটের চিকিৎসা করবেন বোর্ডের চিকিৎসকেরা। বোর্ডের নির্দেশ মতো বুমরাহ এনসিএতে যাননি। কবে যাবেন, সে ব্যাপারে বোর্ডকে এখনও কিছু জানাননি। তাঁর ঘনিষ্ঠ এক জন জানিয়েছেন, ‘‘আগামী সপ্তাহে বেঙ্গালুরু যেতে পারে বুমরাহ। এখনই নির্দিষ্ট ভাবে তারিখ বলা সম্ভব নয়। চিকিৎসক আপাতত ওকে বাড়িতে পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। পিঠের ফোলা অংশ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাবধানে থাকতে হবে। তার পর ঠিক করা হবে পরবর্তী চিকিৎসার পদ্ধতি।’’
বুমরাহের চোট নিয়ে ভারতীয় দলের প্রাক্তন স্ট্রেংথ এবং কন্ডিশনিং কোচ রামজি শ্রীনিবাসন বলেছেন, ‘‘পূর্ণ বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায়, পরিস্থিতি ভাল নয়। আশা করি, পেশির অবস্থা খুব খারাপ নয়। সম্ভবত পেশির ক্ষতি বৃদ্ধি আটকাতেই ওকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ক্রিকেটীয় পরিশ্রম বা চাপের জন্য এই ধরনের সমস্যা হয়। আগেও এমন হয়েছে। ওকে এখন তুলোয় মুড়ে রাখা দরকার। ওর মতো প্রতিভাকে যত্নে রাখা উচিত।’’
বুমরাহের চোট নিয়ে উদ্বিগ্ন বিসিসিআই কর্তারাও। এনসিএর চিকিৎসকদের রিপোর্ট না দেখে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চান না তাঁরা। মূলত সেই রিপোর্টের জন্যই আটকে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা। তাঁর আদৌ খেলার সম্ভাবনা আছে কি না বা থাকলে কবে থেকে, দল ঘোষণার আগে তা জেনে নিতে চাইছেন অজিত আগরকরেরা। প্রতিযোগিতার নকআউট পর্বে খেলতে পারলে তাঁকে দলে রাখা হবে। না হলে বুমরাহকে ছাড়াই ১৫ জনের দল বেছে নিতে হবে আগরকরদের। যদিও ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রাথমিক দলে পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে।
মহম্মদ শামির অনুপস্থিতিতে বাড়তি চাপ নিতে হয়েছে বুমরাহকে। টানা খেলতে হচ্ছে তাঁকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে ১৫১.২ ওভার বল করতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy