লক্ষ্যে-স্থির: শুক্রবার এই ছবি টুইট করেন ভারতীয় অধিনায়ক কোহালি।
বিরাট কোহালিদের ক্রিকেটে ফিরতে দেখা যাবে কি সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপ দিয়ে?
সারা বিশ্বে এবং ভারতে করোনাভাইরাস নিয়ে এখনও যা পরিস্থিতি, তাতে এই প্রশ্ন নিয়ে নাড়াচাড়া করারই হয়তো সময় আসেনি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে নিয়ামক সংস্থা আইসিসি এবং এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের অন্দরমহলে কর্তাদের মধ্যে ক্রিকেট কী ভাবে ফেরানো সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এশিয়া কাপ পুরোপুরি বাতিল করা হয়নি। কার্যত অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চেয়ে এশিয়া কাপের সম্ভাবনা বেশি।
এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কর্তাদের সঙ্গে শুক্রবার টেলিফোনে কথা বলে যা ইঙ্গিত পাওয়া গেল, পাকিস্তান থেকে এ বছরের এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কায় নিয়ে আসা হচ্ছে অনেক ভেবেচিন্তেই। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রস্তাব দিয়েছে, এ বছরের বদলে পরের বারের টুর্নামেন্ট তাদের করতে দেওয়া হোক। এর দু’টো কারণ। এক) পাকিস্তানে এ বার এশিয়া কাপ হলে ভারত খেলতে যাবে না। তা হলে লগ্নিকারীদের এবং টিভি স্বত্ব কিনে রাখা সংস্থাকে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তা ছাড়া, লাহৌরে সেই জঙ্গি হানার ঘটনার পরে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সফর এখনও পুরোমাত্রায় শুরু হয়নি। দুই) পাকিস্তানে করোনা নিয়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তুলনায় শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি অনেক ভাল।
আরও পড়ুন: পাক অধিনায়কের বেছে নেওয়া সম্মিলিত ভারত-পাক একাদশে ছয় ভারতীয়!
আরও পড়ুন: বিদেশে নয়, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দেশেই আইপিএল করতে মরিয়া বোর্ড
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড গত চব্বিশ ঘণ্টায় দু’টি সফর বাতিল করেছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শ্রীলঙ্কা এবং জ়িম্বাবোয়েতে খেলতে যাবেন না কোহালিরা। কিন্তু যদি এশিয়ার সব দেশের সম্মতি থাকে, যদি ক্রিকেটারদের দিক থেকে আপত্তি না আসে, তা হলে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ হলেও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেটাই হতে পারে করোনার দীর্ঘ লকডাউনের পরে কোহালিদের প্রথম মাঠে ফেরা। এশিয়ার তিন শক্তি ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ— তিন দেশেই করোনা নিয়ে উদ্বেগ যথেষ্ট রয়েছে। তুলনায় শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি অনেক স্বস্তিদায়ক। মুরলীধরনের দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৭৭। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। সব চেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে, শ্রীলঙ্কা সরকার ঘোষণা করেছে, ১ অগস্ট থেকে ট্যুরিস্টদের আসার জন্য কোনও নিভৃতবাসের ঝক্কি নিতে হবে না। ১৪ দিন আলাদা থাকার ব্যাপার নেই, মাত্র এক দিন বিধিনিষেধের মধ্যে থাকতে হবে। যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ এলেই শ্রীলঙ্কা ঘুরে বেড়ানোর ছাড়পত্র মিলবে। এই নতুন নিয়মই এশিয়ার ক্রিকেট দেশগুলিকে আকৃষ্ট করছে। এমনকি, প্রয়োজন হলে আইপিএল যদি বিদেশে নিয়ে যেতে হয়, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে আলোচনায় আসতে পারে শ্রীলঙ্কার নামও। আমিরশাহি এখনও এগিয়ে, তবে করোনা নিয়ে পরিস্থিতি অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণে শ্রীলঙ্কায়। নিয়মকানুন অনেক শিথিল, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। আইপিএল হলে এশিয়া কাপের পরে অক্টোবর-নভেম্বরেই হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবার এ দিনই সামনের মাস থেকে মাঠে দর্শক ফেরানোর ঘোষণা করেছেন। চল্লিশ হাজার দর্শকাসনের মাঠে দশ হাজার লোক থাকতে পারবে। সমস্যা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ হলে ক্রিকেট বোর্ডের একটা বড় আয় আসে টিকিট বিক্রি এবং ট্যুরিজম প্রকল্প থেকে। করোনার জেরে দু’টোতেই জোরালো ধাক্কা লাগার আশঙ্কা। তা হলে তারাই বা বিশ্বকাপ করার জন্য খুব ছটফট করবে কেন? কারও কারও সন্দেহ, আইসিসি জেনেবুঝে বিশ্বকাপের সিদ্ধান্ত নিয়ে গড়িমসি করছে। যাতে ভারতীয় বোর্ডেরও আইপিএল নিয়ে সিদ্ধান্ত আটকে থাকে। ভারতীয় কর্তাদের মধ্যে এ নিয়ে উষ্মা বাড়ছে।
করোনার কঠিন সময়। ক্রিকেট বন্ধ, কিন্তু থেমে নেই ক্রিকেটের প্যাঁচ-পয়জার!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy