মহম্মদ শামি।—ছবি এএফপি।
গতির তারতম্য ঘটিয়ে ব্যাটসম্যানদের বিব্রত করা। ইডেনে গোলাপি বলে দিনরাতের টেস্টে এটাই মহম্মদ শামির প্রধান অস্ত্র হতে চলেছে।
শামি এই মুহূর্তে দুরন্ত ফর্মে আছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইনদওরে প্রথম টেস্টে দু’ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ যথাক্রমে ২৭ রানে তিন উইকেট এবং ৩১ রানে চার উইকেট। এই মুহূর্তে আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বোলারদের তালিকায় রয়েছেন সাত নম্বরে।
ইডেনের ঐতিহাসিক টেস্ট প্রসঙ্গে শামি জানিয়েছেন, সব কিছু সহজ ভাবে করাটা তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। তিনি বলেছেন, ‘‘একজন বোলারকে সব সময় উইকেটের চরিত্র ও তার আচরণের ব্যাপারটা ভাল করে বুঝতে হবে। আমি যখন দেখি উইকেট ক্রমশ মন্থর হচ্ছে, তখন নিজেই নিজেকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করি। ব্যাটসম্যানেরা অস্বস্তি বোধ করছে দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ি। সেই সঙ্গে গতির তারতম্য ঘটাতে থাকি।’’
শামির আগুনে বোলিংয়ের পাশাপাশি ইনদওরে প্রথম টেস্টে দ্বিশতরান করে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ভারতের এক ইনিংস এবং ১৩০ রানে জয়ের করিগর ছিলেন কর্নাটকের ব্যাটসম্যানও। ইডেনে আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাওস্কর সতর্ক করে দিয়েছেন ভারতীয় দলের ওপেনারকে। সানির পর্যবেক্ষণ, আগামী দিনে প্রতিপক্ষ দলগুলি মায়াঙ্কের বিরুদ্ধে আরও তৈরি হয়ে নামবে। গাওস্কর বলেছেন, ‘‘এটাই মায়াঙ্কের প্রথম বছর। টেস্ট ক্রিকেট উপভোগ করছে। আশা করি দ্বিতীয় বছরেও এ ভাবেই রান করে যাবে। তবে কাজটা কঠিন, কারণ এ বার অন্য দলগুলো ওকে সামলাতে আরও অনেক তথ্য হাতে পেয়ে যাবে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘তবে খুব সুন্দর ব্যাট করছে মায়াঙ্ক। অফস্টাম্পে ভারসাম্য রক্ষা করছে। সোজা ব্যাটে খেলে। সামনের পায়ে (ফ্রন্টফুট) ও পিছনের পায়ের (ব্যাকফুট) নড়াচড়া খুবই ভাল। ভীষণ আত্মবিশ্বাসীও।’’
জাতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার গৌতম গম্ভীর মনে করেন, ভারতীয় দলের স্পিনার ও পেসারদের সমন্বয়ে বোলিং বিভাগ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। ‘‘আমাদের প্রতিপক্ষ দলগুলোর দিকে তাকান। কোনও দলে ভাল পেসার আছে। কোনও দলে ভাল স্পিনার। কিন্তু ভারতীয় দলে একই সঙ্গে দু’জন উঁচু মানের স্পিনার রয়েছে। আর তিন জন সেরা পেসার। যশপ্রীত বুমরা ও ভুবনেশ্বর কুমার বাইরে থাকলেও কথাটা সত্যি,’’ বলেছেন গম্ভীর। যোগ করেছেন, ‘‘সব মিলিয়ে এখনকার দলে পাঁচ জন ভাল পেসার রয়েছে। ওদের সঙ্গে কুলদীপ যাদবকে যোগ করলে উঁচু মানের বোলারের মোট সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে আট।’’ গম্ভীরের মতে, বোলারদের প্রত্যেকেই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা ধরেন। বলছেন, ‘‘বোলারদের প্রত্যেকেরই বিপক্ষ দলের ব্যাটিং প্রতিরোধ ভাঙার ক্ষমতা রয়েছে। এই একটা কারণেই শেষ দু’বছর ভারতীয় বোলাররা সব দলকে এত বার অলআউট করতে পেরেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy