Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Christian Eriksen

Euro 2020: ছাত্রদের খাবি খেতে দেখে এরিকসেনকে বাঁচাতে গ্যালারি থেকে নেমে এসেছিলেন জার্মান চিকিৎসক

ডেনমার্কের চিকিৎসকরা প্রথমে বুঝতে পারেননি পরিস্থিতি কতটা গুরুতর।

ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন।

ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২১ ১৯:৫৩
Share: Save:

ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের জন্য সতীর্থরা ছিলেন, রেফারি ছিলেন। সবথেকে বড় কথা ডেনমার্ক ফুটবল দলের চিকিৎসকরা ছিলেন। তবু জেন্স ক্লিনফেল্ডকে গত শনিবার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। না হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া এরিকসেনকে হয়ত বাঁচানো যেত না।

ক্লিনফেল্ড জার্মান চিকিৎসক। ঘটনাচক্রে তিনি সেদিন ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ড ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন। কোপেনহেগেনের গ্যালারিতে সেদিন তাঁর থাকার কথা ছিল না। মাঠের ধারে যে চিকিৎসকরা থাকেন, ম্যাচের আগে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন ক্লিনফেল্ড। কী করে দ্রুত ‘ফার্স্ট এইড’ দিতে হবে, সেটাই হাতে-কলমে শেখাচ্ছিলেন। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরে সেটা যে বাস্তবে কাজে লাগাতে হবে, ভাবেননি।

ক্লিনফেল্ড বলেছেন, ‘‘যে দিকে এরিকসেন পড়ে গিয়েছিল, আমি তার উল্টো দিকের গ্যালারিতে ছিলাম। প্রথমে ব্যাপারটা সে ভাবে বুঝতে পারিনি। ভেবেছিলাম, সাধারণ চোট লেগেছে। কিন্তু তারপর দেখলাম ডেনমার্কের চিকিৎসকরা কীরকম ছটফট করছেন। মনে হল, কী করবেন, ওঁরা বুঝতে পারছেন না। বুঝতে পারলাম চোটটা সাধারণ নয়। ততক্ষণে দেখি, প্লেয়াররা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছে। বুঝলাম, এবার মাঠে নামতে হবে।’’

আর অপেক্ষা করেননি। ক্লিনফেল্ডের কথায়, ‘‘মাঠে নেমে দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নিলাম। এরিকসেনকে প্রথমে বৈদ্যুতিক শক দিলাম। সঙ্গে হৃদযন্ত্রে ম্যাসাজ। ডেনমার্কের চিকিৎসক প্রথমে পরিস্থিতি কতটা গুরুতর সেটা বোঝেননি। আসলে ওঁরা সাধারণত অন্য ধরনের চোট নিয়ে কাজ করতে অভ্যস্ত। এরকম তো সচরাচর দেখা যায় না। ফলে কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সেটা দলের চিকিৎসকদের পক্ষে সবসময় বোঝা সম্ভব হয় না।’’

বৈদ্যুতিক শকটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল জানিয়ে ক্লিনফেল্ড বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ২ মিনিটের মধ্যে শক দিলে বেঁচে যাওয়ার ৯০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে। এরপর প্রতি মিনিটের দেরি বাঁচার সম্ভাবনা ১০ শতাংশ করে কমিয়ে দেয়।

সেটাই হয়েছিল। শক পেয়ে এরিকসেনের জ্ঞান ফিরে এসেছিল। চোখ খুলেছিলেন। ক্লিনফেল্ড তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘আবার তো ফিরে এলে?’’ জবাবে এরিকসেন বলেছিলেন, ‘‘হ্যাঁ, ফিরে এলাম। আমার তো সবে ২৯ বছর বয়স হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

doctor Denmark Euro Cup 2020 Christian Eriksen
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy