প্রতীকী ছবি
করোনার আবহে বিধিনিষেধ চলছে রাজ্যে। তবে ১৬ জুন থেকে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে খেলাধুলো আয়োজন করার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই নির্দেশ পাওয়ার পরই কলকাতা লিগ ও অন্যান্য প্রতিযোগিতা চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে আইএফএ। ফুটবলের মতোই অন্যান্য খেলাও শুরু করার চিন্তা ভাবনা চলছে। তবে গণ পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কর্ম কর্তাদের। কী অবস্থা অ্যাথলেটিক্স, বক্সিং, কুস্তি, টেবিল টেনিস বা সাঁতারের? খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন।
অ্যাথলেটিক্স: রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থার সচিব কমল মৈত্র বলেন, ‘‘আমরা খেলা সবসময়ই চালু করতে চাই। কিন্তু অ্যাথলিটরা আসবে কী করে? সেটাই আমাদের ভাবাচ্ছে। তাই এখনই প্রতিযোগিতা শুরুর ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না। তবে সবটা ঠিক হলেই আমরা খেলা চালু করে দেব।’’
বক্সিং: বক্সিংয়ের ক্ষেত্রে সুযোগ থাকলেও এখনই ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য বক্সিং সংস্থার সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গিয়েছে, এমনটা এখনই বলা যাবে না। তাই ঝুঁকি নিতে চাইছি না। আমার ধারনা এই বছরেও বক্সিংয়ের কোনও প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভব হবে না। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। উন্নতি হলেই শুরু করে দেব।’’
কুস্তি: কলকাতার বড়বাজার অঞ্চলের আশেপাশেই রয়েছে কুস্তির আখড়াগুলি। কলকাতার কুস্তিগীররা বেশিরভাগই এই অঞ্চলের আশেপাশেই থাকেন। তাই কলকাতায় কুস্তির বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজনে সমস্যা হবে না বলেই জানিয়ে দিলেন বেঙ্গল রেস্টলিং অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সচিব অসিত সাহা। তিনি বলেন, ‘‘কুস্তির ক্ষেত্রে দূরত্ব বিধি মানার সুযোগ একেবারেই থাকে না। তবে আরও অপেক্ষা করলে বাংলার কুস্তি একেবারেই শেষ হয়ে যাবে। সেই কারণেই দ্রুত শুরু করে দিতে চাইছি আমরা।তবে সকলকে টিকা নিতে বলা হয়েছে। টিকার ব্যবস্থা করছে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। তবে দূরের জেলাগুলিতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উদ্যোগে টিকা নিয়ে নিচ্ছেন কুস্তিগীররা। গণ পরিবহন ব্যবস্থা ঠিক না হওয়ায় এখনই প্রতিযোগিতা শুরু করা সম্ভব না হলেও অনুশীলন শুরু করে দিতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন জেলাগুলিকে।’’তবে সেক্ষেত্রেও খেলোয়াড়দের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। কী ভাবে সেই অনুশীলন কেন্দ্রে পৌঁছবেন কুস্তিগীররা? এই প্রশ্নের উত্তরে আসিত সাহা বলেন, ‘‘কাছাকাছি যাঁরা রয়েছেন তাঁদের দিয়ে অনুশীলন শুরু হোক। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুরোদমে সবটা শুরু হবে।’’
টেবিল টেনিস: রাজ্যে বিধিনিষেধ চালু হওয়ায় কিছু প্রতিযোগিতা মাঝপথে আটকে গিয়েছিল। সেগুলি শেষ করে নতুন ভাবে সব চালু করতে চায় রাজ্য টেবিল টেনিস সংস্থা। রাজ্য টেবিল টেনিস সংস্থার যুগ্ম সচিব শর্মি সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা খেলা দ্রুত চালু করার চেষ্টা করছি। খেলয়াড়দের টিকা দিয়েই আমরা মাঠে নামাব। আশা করছি দ্রুত সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। একটা প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা বাকি রয়েছে। সেটা শেষ করেই পরের মরসুমের প্রতিযোগিতা আমরা শুরু করে দেব।’’
সাঁতার: রাজ্য সরকার অনুমতি দিলেও কলকাতা পৌরসভার থেকে অনুমতি পাওয়া যায়নি। তাই রাজ্যে এখনও বন্ধ রয়েছে সাঁতার। তবে শুধু অনুমতি নয়, সমস্যা আছে আরও। রাজ্য সাঁতার সংস্থার সংস্থার সচিব স্বপন আদক বলেন, ‘‘বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে পুলগুলি জলে পরিপূর্ণ। তার সঙ্গে রয়েছে পরিবহনের সমস্যা। সব মিলিয়ে এ বছর আর সাঁতারের কোনও প্রতিযোগিতাই করা হয়ত সম্ভব হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy