খুদে বিজয়ীরা। নিজস্ব চিত্র
গত বছরের থেমে যাওয়া স্বপ্ন সফল হল এ বার। সুব্রত কাপের অনূর্ধ্ব ১৭ পর্যায়ে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হল হাওড়ার মাকড়দহ বামাসুন্দরী ইনস্টিটিউশন। ফাইনালে হারাল হাওড়ার আরেক স্কুল পাঁচলা গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরকে।
হাওড়া জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের কর্তারা জানাচ্ছেন, এর আগে হাওড়া জেলার কোনও স্কুল সুব্রত কাপের কোনও পর্যায়েই রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়নি। সংসদের সম্পাদক প্রদীপ কোলের কথায়, ‘‘কলকাতা ময়দানে দীর্ঘদিন দাপিয়ে বেড়িয়েছে হাওড়া জেলার ছেলেরা। মাঝে কিছু দিন ফাঁক তৈরি হয়েছিল। শৈলেন মান্না, বিকাশ পাঁজি, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, তরুণ দে, সমর ভট্টাচার্যদের জেলা ফের নিজের জায়গায় ফিরছে।’’
মাকড়দহের স্কুলটি গত বছর মহকুমা স্তর থেকে চ্যাম্পিয়ন হতে হতে রাজ্য পর্যায়ে গিয়ে রানার্স হয়েছিল। সেই সুবাদে এ বার তারা সরাসরি রাজ্য পর্যায়ে খেলার ছাড়পত্র পায়। এ বার অনূর্ধ্ব ১৭ পর্যায়ের খেলা হয় নদিয়ার বেথুয়াডথরিতে। প্রথম খেলায় মালদহের হাতিমারি হাইস্কুলকে ৮-০ গোলে হারায় বামাসুন্দরী। হাটট্রিক করে দলের অধিনায়ক একাদশ শ্রেণির ছাত্র সৌভিক শাসমল। সেমিফাইনালে দক্ষিণ কলকাতার চৌবাগা হাইস্কুলকে টাইব্রেকারে হারায় তারা। গোলরক্ষক একাদশ শ্রেণির ছাত্র অনুপম দাস টাইব্রেকারে দু’টো গোল বাঁচায়। শনিবার ছিল ফাইনাল। প্রথমার্ধের ১৫ মিনিটে সৌভিকের গোলে এগিয়ে যায় বামাসুন্দরী। প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল শোধ করে পাঁচলা। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। বামাসুন্দরীর হয়ে জয়সূচক গোল করে নবম শ্রেণির ছাত্র গণেশ বেশড়া।
দলের সঙ্গে ছিলেন ক্রীড়া শিক্ষক সুদীপ মালিক ও উৎপল বোধক। সুদীপবাবু নিজে বামাসুন্দরী স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। তিনিও সুব্রত কাপ খেলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘স্কুলের যে সব ছাত্র ফুটবল প্রশিক্ষণ নেয়, তাদের মধ্যে বাছাই করে নিয়মিত অনুশীলন হয়।’’
সুদীপবাবু জানান, স্কুলের ফুটবল খেলার উপযোগী নিজস্ব মাঠ নেই। সুব্রত কাপের তিন মাস আগে থেকে মাকড়দহ ইউনিয়ন ক্লাবের মাঠে অনুশীলন শুরু হয়। ইউনিয়ন ক্লাবের প্রশিক্ষক আশিস পালচৌধুরী ছেলেদের পরামর্শ দেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, সোমবার চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। দিল্লিত যাওয়ার আগে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলার চেষ্টা চলছে।
মাকড়দহ এলাকার ছেলে শেখ ফৈয়াজ গত বছর মোহনবাগানে খেলেছেন। এ বার তিনি এটিকের হয়ে খেলবেন। তাঁর কথায়, ‘‘দিল্লিতে আরও কঠিন লড়াই। মাথা ঠান্ডা রাখলে সেখানেও সাফল্য আসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy