ক্লান্তি দূর করতে প্রিয় পোষ্যকে নিয়ে একাকী সমুদ্র সৈকতে হেঁটে বেড়াতে চান। —ছবি রয়টার্স।
বিশ্বকাপের ধকল পরিশ্রান্ত করেছে নিউজ়িল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টকে। আপাতত ক্লান্তি দূর করতে প্রিয় পোষ্যকে নিয়ে একাকী সমুদ্র সৈকতে হেঁটে বেড়াতে চান। যদিও লর্ডসে কাপ ফাইনালে কম বাউন্ডারি মারার ‘অপরাধে’ হেরে যাওয়াটা এখনও মানতে পারছেন না।
বিশ্বের সেরা ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বোল্টের উইকেট-প্রাপ্তি ১৭। নিউজ়িল্যান্ডের অন্যতম সেরা উইকেট শিকারি তিনি। দেশে ফিরে তাঁকে পড়তে হল ‘তীরে এসে তরি ডোবা’র অভিজ্ঞতা কেমন গোছের প্রশ্নের সামনে। তাতে বিমর্ষ বোল্টের প্রতিক্রিয়া, ‘‘চার মাস পরে দেশে ফিরেছি। হয়তো পোষ্যকে নিয়ে সৈকতে হাঁটতে যাব। বিশ্বকাপের ভাবনা দূরে সরিয়ে রাখাই ইচ্ছে। আশা করি এত দিন আমাকে পায়নি বলে আমার সারমেয় রাগ করবে না।’’ এখানেই না থেমে বোল্টের আরও কথা, ‘‘জানি এ বারের বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা এমনই যে আগামী বেশ কিছু দিন ইচ্ছে থাকলেও তাকে ভুলতে পারব না। আসলে যে ভাবে কাপটা হাতছাড়া হল তা হজম করা কঠিন। তাই ভুলে থাকব বললেও ভোলা যাচ্ছে না।’’
রবিবারের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে (অনেকের মতে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা ফাইনাল) নির্ধারিত সময় ম্যাচ টাই হয়। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও ফল সমান-সমান থাকায় বিজয়ী নির্ধারিত হয় ইংল্যান্ড, ম্যাচে বেশি সংখ্যক বাউন্ডারি মারার জন্য। বোল্ট বলেছেন, ফাইনালে ইংল্যান্ডের ইনিংসের ৪৯ নম্বর ওভারে জিমি নিশামের বলে বেন স্টোকসের ক্যাচ ধরার সময় বাউন্ডারি লাইনের বাইরে পা ফেলে দেওয়ার আফসোসটা বেশি করে ভুলতে চান। বোল্টের কথায়, ‘‘একটা ম্যাচে এই ধরনের ঘটনা ঘটেই থাকে। কিন্তু কখনও কখনও সেটা ভুলে থাকার জন্য নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়। জানি ওই ক্যাচটা ঠিকঠাক ধরলে ম্যাচের চরিত্র পাল্টে যেত। সঙ্গে অবশ্যই শেষ ওভারের স্মৃতিটাও আমাকে সব সময় কষ্ট দিচ্ছে।’’ বোল্ট আরও যোগ করেছেন, ‘‘ওই ক্যাচটায় ওরা ছয় পেয়ে গেল! যা মানতে কষ্ট হয়। সঙ্গে বেশ কয়েকটা রানআউটের সুযোগ নষ্ট করার দুঃখ তো আছেই। তাই টাই ওবং শেষ পর্যন্ত কাপ না পাওয়াটা চূড়ান্ত হতাশার।’’
বোল্টকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁরা কি নিজেদের প্রতারিত মনে করছেন? নিউজ়িল্যান্ড-পেসারের জবাব, ‘‘একেবারেই না। আমাদের মতো বিশ্বকাপ জয়ের এতটা কাছে কেউ পৌঁছেছে? তা হলে কেন বলব যে আমাদের ঠকানো হয়েছে?’’ বোল্টের আরও কথা, ‘‘বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো মঞ্চে হাজির থাকা অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা। অবশ্যই ইংরেজরা যে ভাবে কাপ নিয়ে গেল, সেটা দেখাও অভিজ্ঞতা বটে! বিশ্বকাপ আমরাও জিততে পারতাম। দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি। কী আর করা যাবে।’’
কাপ উপহার দিতে না পারার জন্য বোল্ট তাঁর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের মতোই সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন, ‘‘শুধু আমার দেশের লোকেরাই নয়। অন্য অনেকেই চেয়েছিল বিশ্বকাপ নিউজ়িল্যান্ড জিতুক। ওদের হতাশ করে খুব খারাপ লেগেছে। প্রত্যেকের কাছে আমার দলের তরফ থেকে আলাদা করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’’ ২০১৫ বিশ্বকাপ ফাইনালেও নিউজ়িল্যান্ড হেরেছিল। কিন্তু সে বার যোগ্য দল হিসেবেই সম্পূর্ণ দাপট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। তাই সেই হারের জন্য আফসোস নেই বোল্টের। যা আছে এ বারের লর্ডসে কাপ কাপ না জেতায়, ‘‘সে বার তো অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারিনি। তাই ওই হারটা নিয়ে আফসোসের প্রশ্ন ওঠে না। কিন্তু লর্ডসের না পারার ক্ষতটার নিরাময় হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy