নোভাক জোকোভিচ। —ফাইল চিত্র।
এটিপি ক্রমতালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন স্পেনের কার্লোস আলকারাজ। উইম্বলডনের আয়োজকেরাও পুরুষদের সিঙ্গলসে তাঁকে শীর্ষ বাছাইয়ের মর্যাদা দিয়েছেন। তবু আলকারাজ মনে করেন বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের সম্ভাবনা বেশি নোভাক জোকোভিচের।
অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার জন্য ২৩টি গ্ল্যান্ড স্ল্যামের মালিককে এগিয়ে রাখছেন আলকারাজ। স্পেনের ২০ বছরের খেলোয়াড়কে ভবিষ্যতের নাদাল হিসাবে চিহ্নিত করছেন টেনিস বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ভাল ছন্দেও রয়েছেন আলকারাজ। অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাবের ঘাসের কোর্টে ভাল ফল করার ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী তিনি। তবু নিজেকে খেতাব জয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখতে চাইছেন না।
গত সপ্তাহে কুইন্স ক্লাবে ঘাসের কোর্টের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন আলকারাজ। উইম্বলডনের প্রস্তুতি প্রতিযোগিতাগুলির অন্যতম এই প্রতিযোগিতা। ঘাসের কোর্টে তৃতীয় প্রতিযোগিতা খেলেই খেতাব জিতেছেন স্পেনের তরুণ খেলোয়াড়। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রচুর আত্মবিশ্বাস নিয়ে উইম্বলডন খেলতে এসেছি। এই গ্র্যান্ড স্ল্যামে ভাল ফল করার ক্ষমতা আমার রয়েছে। তবে আমি জোকোভিচকে এগিয়ে রাখব। কারণ ওর কাছে সব কোর্টে খেলাই সহজ। জোকোভিচের খেলায় কোনও দুর্বলতা খুঁজে বের করা সত্যি খুব কঠিন।’’
তা হলে কি আপনি খেতাব জেতার কথা ভাবছেন না? আলকারাজ বলেছেন, ‘‘আমার প্রত্যাশা প্রচুর। প্রতিপক্ষকে কোর্টের লড়াইয়ে চাপে ফেলার ক্ষমতা আমার আছে। আমি আত্মবিশ্বাসী। আশা করছি উইম্বলডনে ভাল টেনিস খেলব এবং ফলও ভাল হবে।’’
গত বছর উইম্বলডনে চতুর্থ রাউন্ডে হেরে গিয়েছিলেন আলকারাজ। আর এক তরুণ খেলোয়াড় ইতালির ইয়ানিক সিনারের কাছে হারতে হয়েছিল তাঁকে। গত এক বছরে অবশ্য আলকারাজের খেলায় অনেক উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে অভিজ্ঞতা। যদিও টেনিস বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন ঘাসের কোর্টে বড় প্রতিযোগিতা খেলার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা এখনও হয়নি তাঁর। এ বার প্রথম রাউন্ডে আলকারাজকে খেলতে হবে জার্মানির অভিজ্ঞ খেলোয়াড় জেরেমি চার্ডির বিরুদ্ধে। সূচি অনুযায়ী এ বার চতুর্থ রাউন্ডে তাঁর সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ জার্মানির আলেকজান্ডার জেরেভ বা অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ডি মিনাউর। কুইন্স ক্লাবের ফাইনালে অস্ট্রেলীয় প্রতিপক্ষকেই হারিয়েছেন তিনি।
প্রত্যাশা কি বাড়তি চাপ তৈরি করছে? আত্মবিশ্বাসী আলকারাজ বলেছেন, ‘‘জানি আমাকে কী করতে হবে। আমি শুধু খেলতে চাই। যতটা ভাল সম্ভব খেলতে চাই এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করব। ক্রমতালিকা নিয়ে খুব একটা ভাবি না। চেষ্টা করি চাপ মুক্ত থাকার। আগ্রাসী টেনিস খেলতে পছন্দ করি। আমার মতে ঘাসের কোর্টে সফল হওয়ার উপায় এটাই। যতটা সম্ভব আগ্রাসী টেনিস খেলা। বড় শট খেলার চেষ্টা করতে হবে। দরকার হলে নেটের কাছে গিয়ে খেলতে হবে। যে কোনও কোর্টেই ভাল খেলার চেষ্টা করি।’’
আলকারাজ অবশ্য মেনে নিয়েছেন নিজের খামতির কথা। ২০ বছরের খেলোয়াড় বলেছেন, ‘‘আমাকে ঘাসের কোর্টে খেলার আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। তবে যে রকম পারফরম্যান্স করছি তাতে ভাল ফল আশা করতেই পারি। উইম্বলডন জয়ের দাবিদারদের মধ্যে নিজেকে অবশ্যই রাখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy