মোহনবাগান ০
টালিগঞ্জ ১ (সানডে)
সেদিন মাত্র দেড় মিনিটের ম্যাচ খেলাতে পারেনি রেফারি। মোহনবাগান মাঠে সমর্থকদের তাণ্ডব থামাতে ব্যর্থ হয়েছিল পুলিশও। যার ফলে অতিরিক্ত সময়ের ম্যাচ শেষ করা যায়নি। এই অবস্থায় রিপ্লে চেয়েছিল মোহনবাগান। চিঠি পাল্টা চিঠি, ডার্বি না খেলা সবই ছিল এই পরিত্যক্ত মোহনবাগান-টালিগঞ্জ ম্যাচের ফল। টালিগঞ্জ নিরপেক্ষ ভেন্যু চাইলেও পায়নি। খেলতে হয়েছে সেই মোহনবাগান মাঠেই। ছোট ক্লাবের কথা শোনেনি আইএফএ। আর তার ফল টালিগঞ্জের কাছে ১-০ গোলে হার মোহনবাগানের। অসমাপ্ত ম্যাচের ফল ছিল ১-১। এই অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায় খেলা।
বৃহস্পতিবার কল্যাণীতে মহমেডানকে হারিয়ে পর পর সাতবার লিগ জিতে নিল ইস্টবেঙ্গল। আর সেই দিনই টালিগঞ্জের কাছে হেরে আরও পিছিয়ে পড়ল মোহনবাগান। শুরু থেকেই মোহনবাগানকে চাপে রাখতে শুরু করে রঞ্জন চৌধুরির দল। ম্যাচ শুরুর সাত মিনিটের মধ্যেই ২৫ গজ দুর থেকে টালিগঞ্জের শট কোনও রকমে ক্লিয়ার করে বাগান রক্ষণ। এর পর আজহারের শট ক্রসবারে লেগে না বেরিয়ে গেলে তখনই গোল পেয়ে যেত মোহনবাগান। তপনের পাস থেকে ডাফির শটও অল্পের জন্য বাইরে গেল। এই গোল নষ্টের পালার মধ্যেই ৩২ মিনিটে বক্সের কোনা থেকে জোয়েল সানডের শট সরাসরি চলে যায় মোহনবাগান গোলে। নিজের জায়গা থেকে সরতে পারেননি মোহনবাগান গোলকিপার অর্ণব দাশশর্মা।
এর পর মোহনবাগান আক্রমণে গতি আনলেও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ। এর পরও সুযোগ এসে গিয়েছিল টালিগঞ্জের সামনে। ভাসুমের শট যদি না বাইরে চলে যেত ব্যবধান বারিয়ে নিতে পারত তারা। দ্বিতীয়ার্ধের পুরো সময়টাই ছিল মিস পাল্টা মিসের পালা। কখনও তপন মাইতি, তো কখনও ড্যানিয়েল বিদেমি। আবার কখনও পঙ্কজ মৌলা। মিসের তালিকায় নাম থাকল টালিগঞ্জেরও। অল্পের জন্য নিজের নামের পাশে দ্বিতীয় গোল লিখে নিতে ব্যর্থ হলেন সানডে।
আরও খবর
কলকাতা লিগে সাতে সাত ইস্টবেঙ্গল! দাঁড়িয়ে অল-উইনের সামনে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy