সফল: কোচ আলি কামারের সঙ্গে লাভলিনা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
অলিম্পিক্সে পদক জয়ীদের ক্লাবে লাভলিনা বরগোহাঁইকে স্বাগত জানাতে খুব ভাল লাগছে। ২০১৬ অলিম্পিক্সে মেরি কম এবং আমি কাউকে এই ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারিনি। অতিমারির জন্য এক বছর পিছিয়ে গিয়ে শুরু হওয়া টোকিয়ো অলিম্পিক্সে অভিষেকেই এমন এক জন বক্সারের পদক নিশ্চিত করতে দেখে দারুণ লাগছে। আমি নিশ্চিত, ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক্সে এর চেয়েও ভাল ফল করবে লাভলিনা।
ওর লড়াই ছিল বিশ্বের দু’নম্বর তুরস্কের বুসেনাজ় সুরমেনেলির বিরুদ্ধে। খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। ৬৯ কেজি বিভাগের সেমিফাইনালে খুব কার্যকরী পরিকল্পনা নিয়েই নেমেছিলন বুসেনাজ়। ওর চেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে চার ধাপ পিছিয়ে থাকা লাভলিনা জেতার কম চেষ্টা করেনি। তবে দু’জনের লড়াই দেখে মনে হয়েছে বুধবার সেরা বক্সার ছিল বুসেনাজ়ই। লাভলিনা বুঝতে পারবে, লড়াইয়ে নেমে কখনও তুমি জিতবে, বাকি সময়ে শিখবে।
লাভলিনা তাঁর খেলোয়াড় জীবনের সব চেয়ে বড় বাউট জিততে কী করতে পারত? সত্যি কথা বলতে, দু’জনের মধ্যে যে খুব বেশি পার্থক্য ছিল, তা নয়। তবে তুরস্কের বক্সার ওর কৌশলগুলো ঠিকমতো কাজে লাগাতে পেরেছে তিনটে রাউন্ডেই। যদিও লাভলিনা আগ্রাসী মেজাজে লড়াই শুরু করার পরে কয়েকটা মোক্ষম ঘুসি চালিয়েছিল।
এটা পরিষ্কার যে, লাভলিনা শুরু থেকেই দাপট দেখাতে চেয়েছিল। প্রথম দু’মিনিটে সেই লক্ষ্যে এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু তার পরেই বুসেনাজ় আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে এগিয়ে যায়। তুরস্কের বক্সার এর পরে সে ভাবেই খেলেছে যা লাভলিনার করা
উচিত ছিল।
অনেকে প্রশ্ন করছেন, কয়েক বার বুসেনাজ়ের ব্যবহার দেখে প্রতিপক্ষের জন্য অপমানজনক মনে হয়েছে কি না? উত্তরে বলব, এটা খেলারই অঙ্গ। আমাদের শুধু এর জবাব হাসি দিয়ে দেওয়া উচিত, আর কিছু হয়। অনেক সময়ই অ্যাথলিটরা তাঁদের আবেগ খোলাখুলি দেখিয়ে ফেলে। সেটা
ঠিক আছে।
লাভলিনার জন্য আমাদের বক্সিং দল খালি হাতে ফিরছে না। তবে আমি অমিত পঙ্ঘাল এবং বিকাশ কৃষাণের প্রথম দিকেই ছিটকে যাওয়া দেখে অবাক হয়েছি। সতীশ কুমার অবশ্য ৯১ কেজিরও বেশি ওজন বিভাগে নেমে দারুণ লড়াই করেছে। মেরি কমের ক্ষেত্রেও একই কথা বলব।
তবে রবি কুমার কুস্তিতে ৫৯ কেজি বিভাগে নাটকীয় ভাবে পদক নিশ্চিত করেছে ফাইনালে উঠে। দীপক পুনিয়া এবং অংশু মালিকের ব্রোঞ্জ জয়ের সুযোগ রয়েছে। আত্মবিশ্বাসী নীরজ চোপড়া জ্যাভলিন থ্রো-র ফাইনালে উঠেছে এবং আমাদের হকি দলেরও ব্রোঞ্জ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি কুস্তিতে বিনেশ ফোগত এবং বজরং পুনিয়ার এখনও নামা বাকি। সব মিলিয়ে ভারতীয় দলের সামনে ভাল ফল করার সুযোগ রয়েছে। (টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy