করোনা আক্রান্ত হয়েছেন অ্যাথলিটরাও। ছবি: রয়টার্স
আইপিএল, ইউরো কাপ, কোপা আমেরিকা, ফরাসি ওপেন, উইম্বলডনের পর এ বার টোকিয়ো অলিম্পিক্স। ক্রীড়া বিশ্বের নজর এখন এই দিকেই। তবে ধারে ভারে বাকি সব প্রতিযোগিতার থেকে অনেকটাই বিশাল অলিম্পিক্স। সারা বিশ্বের যত ক্রীড়াবিদ এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত থাকেন, কোনও প্রতিযোগিতাতেই তা দেখা যায় না। করোনা গ্রাসে গত বছর অলিম্পিক্স আয়োজন করা যায়নি। এ বছর আয়োজন করা হলেও করোনা চোখ রাঙাচ্ছে। আক্রান্ত হয়েছেন অ্যাথলিটরাও।
অলিম্পিক্সের গেমস ভিলেজে শনিবার প্রথম করোনা আক্রান্তের কথা জানান কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সেই সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৬৭-তে। লন্ডনের কিংস কলেজের জনস্বাস্থ্য বিষয়ের প্রধান কেঞ্জি শিবুয়া বলেন, “এটা খুব স্বাভাবিক যে জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে গিয়েছে। তবে আমার আরও ভয় করছে জাপানের সাধারণ মানুষের মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়া নিয়ে। ভিলেজের মধ্যে থাকা সংক্রমিতদের থেকে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে না ছড়িয়ে যায় এই সংক্রমণ।”
শিবুয়ার মতে জাপানে ঢোকার আগে সবার ঠিক ভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। অলিম্পিক্সের সঙ্গে যুক্ত থাকা বিশাল সংখ্যক মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করাও বেশ কঠিন, তা মানছেন শিবুয়া। অলিম্পিক্স কমিটির প্রধান থমাস বাক গত সপ্তাহে বলেছিলেন পরীক্ষা এবং নিভৃতবাস করোনা মুক্ত রাখবে অলিম্পিক্সকে। শিবুয়ার মতে এই ধরনের মন্তব্য মানুষকে আরও রাগিয়ে দেবে, কারণ বাস্তবের সঙ্গে এর কোনও মিল নেই।
শনিবার টোকিয়োতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪১০। শেষ তিন মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। অলিম্পিক্স শুরুর তিন দিন আগে যা বেশ চিন্তার। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এক মাসের মধ্যে টোকিয়োতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজার পার করে যেতে পারে। যা শহরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বেহাল করে দিতে পারে।
জাপানের মাত্র ৩৩ শতাংশ মানুষ একটি করোনা টিকা পেয়েছেন। বিশ্বের যে দেশগুলি করোনা টিকাকরণে পিছিয়ে রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম জাপান। গত মাসে টিকাকরণ বৃদ্ধি পেলেও আবার তা নিম্নমুখী।
অলিম্পিক্সের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ বেশ চিন্তা বাড়াচ্ছে। শুক্রবার থেকে খেলা শুরু হলে চিন্তা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy