গ্যালারিকে শান্ত করার চেষ্টা পুলিশের—ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার আইএফএ কে চিঠি দিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছিল মোহনবাগান-টালিগঞ্জ ম্যাচের ম্যাচ কমিশনার। ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টে কী লেখা ছিল জানা না গেলেও বুধবার সকালে মোহনবাগানের তরফে তাদের বক্তব্য দ্বিতীয়বার অফিসিয়ালি জানিয়ে দেওয়া হল বাংলার ফুটবলের নিয়ামক সংস্থাকে। সোমবার ম্যাচ বাতিল হওয়ার পরই আইএফএকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় মোহনবাগান এই ম্যাচের রি প্লে চায়। এবং যে সূচি অনুযায়ী সব খেলা হওয়ার কথা ছিল সেভাবেই করতে হবে। মানে আগের খেলা পরে দেওয়া যাবে না। কিন্তু সোমবার মোহনবাগান চিঠি দিলেও আইএফএ-র তরফে ক্লাবকে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। বুধবার আবার আইএফএকে চিঠি দিয়ে তাদের উত্তর জানতে চাওয়া হয় ক্লাবের তরফে। সেখানে আরও বেশ কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।
১) এ ম্যাচের রিপ্লে যখনই দেওয়া হোক, সব ম্যাচের মধ্যে তিন দিনের বিশ্রাম দিতে হবে। যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারদের রিকভারির জন্য।
২) কলকাতা লিগের জন্য আইএসএল-এ প্লেয়ারদের ছাড়তে দেরি হচ্ছে। যে কারণে ক্লাবকে ‘ফিনান্সিয়াল সমস্যা’র মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
৩) আইএফএকে অনুরোধ করা হচ্ছে খেলা ও লিগের নিয়ম ও আইন মেনেই যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪) ময়দানে খেলা ফিরিয়ে এনে অতীত গৌরবকে ফিরিয়ে আনার যে চেষ্টা মোহনবাগান ক্লাব করছে সেটা খারাপ রেফারিংয়ের জন্য ধাক্কা খাচ্ছে।
৫) ২৫ অগস্ট যে সূচি আইএফএ-র তরফে পাঠানো হয়েছিল সেই সূচি অনুযায়ীই খেলাগুলো করতে হবে।
৬) সোমবার মোহনবাগান ২ মিনিটের বাকি ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিল। তাই প্লেয়াররা মাঠ ছাড়েননি। ম্যাচ কমিশনার আদেশ দেওয়ার পরই মাঠ ছাড়ে প্লেয়াররা।
যেটা অবশ্য পুলিশের অপদার্থতাতেই সম্ভব হয়নি। মোহনবাগান সমর্থকদের তাণ্ডব থামাতে ব্যর্থ পুলিশ একঘণ্টা পর খেলা বন্ধ করে দিতেই বাধ্য হয়।
গত সোমবার মোহনবাগান মাঠে ম্যাচ শুরুর অপেক্ষায় ফুটবলাররা।
দু’পক্ষের চিঠি নিয়ে বুধবার বিকেল পাঁচটায় আইএফএ-তে আলোচনায় বসছে কলকাতা লিগ কমিটির। তার পর জানা যাবে কী ভাবে এগোবে পরবর্তি কলকাতা লিগ। কারণ, ৩১ অগস্টের মধ্যে লিগ শেষ করার কথা থাকলেও তেমনটা হচ্ছে না। যে কারণে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান দুই ক্লাবের আইএসএল-এর জন্য প্লেয়ার ছাড়তে দেরি হয়ে যাচ্ছে। যে বড় সমস্যা। অন্যদিকে, আরও বড় সমস্যায় আইএফএ। এই ম্যাচের রিপ্লে দিতে হলে এবং সূচি অনুযায়ী খেলাতে হলে পিছিয়ে দিতে হবে ডার্বি। যাতে বেঁকে বসতে পারে স্পনসর থেকে টেলিকাস্ট চ্যানেলও। এমন অবস্থায় বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আইএফএকে। একে স্পনসর জোগাড় করতে কালঘাম ছুটে যায় কলকাতা লিগের এমন অবস্থায় কী সিদ্ধান্ত নেবে আইএফএ এখন সেটাই দেখার।তবে মোহনবাগান আইএফএকে পাঠানোর চিঠির সঙ্গে তাঁদের খেলার সূচিও পাঠিয়ে দিয়েছে। এবং তাদের দাবি সেই অনুযায়ী খেলাতে হবে। চিঠিতে না লিখলেও ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার দিন ক্লাবের বড় কর্তারা জানিয়ে দিয়েছিলেন, মোহনবাগান-টালিগঞ্জ ম্যাচের রি প্লে না হওয়া পর্যন্ত তারা অন্য কোনও ম্যাচ খেলবে না।
মোহনবাগানের ম্যাচগুলি যেভাবে হওয়ার কথা ছিল:
১) ২৯ অগস্ট: মোহনবাগান বনাম টালিগঞ্জ (পরিত্যক্ত)।
২) ২ সেপ্টেম্বর: মোহনবাগান বনাম ইউনাইটেড স্পোর্টস।
৩) ৭ সেপ্টেম্বর: মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল।
৪) ১০ সেপ্টেম্বর: মোহনবাগান বনাম আর্মি।
৫) ১৪ সেপ্টেম্বর: মোহনবাগান বনাম মহমেডান।
এই সিকোয়েন্স মেনেই ম্যাচ দিতে হবে মোহনবাগানকে। জানিয়ে দিল ক্লাব।
আরও খবর
মোহনবাগান-টালিগঞ্জ ম্যাচ নিয়ে আইএফএ-তে রিপোর্ট জমা দিল কমিশনার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy