ছবি: সংগৃহীত
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভারতীয় জিমন্যাস্টদের যোগদানের সম্ভবনা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। দলগত তো নয়ই, রিয়ো অলিম্পিক্সে দীপা কর্মকারের মতো ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ নামতে পারবেন বলেও মনে হচ্ছে না।
জার্মানির স্টুটগার্টে বিশ্ব আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সে দীপা কর্মকার যাননি। চোট সারিয়ে জাতীয় শিবিরে যোগ না দেওয়ায় তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি। কিন্তু কোচ মিনারা বেগমের সঙ্গে যাঁরা গিয়েছিলেন জার্মানিতে, তাঁদের লক্ষ্য ছিল টোকিয়োর ছাড়পত্র জোগাড় করা। কিন্তু মেয়েদের বিভাগে তিন জন প্রতিনিধি—প্রণতি নায়েক, প্রণতি দাস এবং অরুণা রেড্ডি ব্যর্থ হলেন যোগ্যতামান পেরোতেই। দেশের মাটিতে দুই প্রণতি যা পয়েন্ট করেছিলেন, তার অনেক পিছনে শেষ করলেন তাঁরা।
টোকিয়োর পোডিয়ামে নামতে হলে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০ পয়েন্ট। কিন্তু মেদিনীপুরের প্রণতি নায়েক শেষ করলেন ৪৫.৮৩২ পয়েন্টে। আর জয়নগরের মেয়ে প্রণতি দাশ শেষ করলেন ৪৫.২৪৮ পয়ন্টে। অরুণা রেড্ডি আরও কম পয়েন্ট করেছেন। জানা গিয়েছে ৯৬টি দেশের প্রায় সাড়ে চারশো প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিলেন প্রতিযোগিতায়। ভারতের কোনও প্রতিযোগী অল রাউন্ড পারফরম্যান্সে র্যাঙ্কিংয়ে আশি পেরোতে পারলেন না। দলের কোচ মিনারা বেগম বলছিলেন, ‘‘দু’মাসের অনুশীলনে ওদের পক্ষে যা করা সম্ভব ওরা সেটা করেছে। আমি অখুশি নই।’’
আজ, সোমবার ছেলেরা নামছেন টোকিয়োর ছাড়প্তর আদায় করতে। এই দলে রয়েছেন আশিস কুমার, যোগেশ্বর এবং আদিত্য রানা। টোকিয়োর টিকিট নিশ্চিত করতে হলে সব মিলিয়ে ৭৮ পয়েন্ট পেতে হবে ছেলেদের। যা পাওয়া কঠিন। কোন বারোটি দেশ অলিম্পিক্সে দল নামাবে, তা ইতিমধ্যে ঠিক হয়ে গিয়েছে। ব্যক্তিগত বিভাগে বিভিন্ন উপমহাদেশের কয়েকজনের নামার সুযোগ আছে। দীপা সেই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা চালাবেন সামনের বছরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নেমে। কিন্তু সমস্যা হল, সেটা পেতে হলে একাধিক সোনা বা রুপো পেতে হবে দীপাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy