Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
wrestling

ভারতের কুস্তিতে ডামাডোল চলছেই, আবার পিছিয়ে গেল জাতীয় সংস্থার নির্বাচন

ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ছিলেন ব্রিজভূষণ। তাঁকে সরিয়ে নতুন করে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু সেই নির্বাচনই পিছিয়ে গেল অসম কুস্তি সংস্থার জন্য।

Brij Bhushan Sharan Singh

ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩ ০৯:৫২
Share: Save:

আরও এক বার পিছিয়ে গেল ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচন। এই ফেডারেশনের প্রধান ছিলেন ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন বেশ কিছু কুস্তিগির। ব্রিজভূষণকে সরানোর দাবিতে প্রতিবাদও করেছেন ভারতের হয়ে অলিম্পিক্সে পদকজয়ী বজরং পুনিয়া এবং সাক্ষী মালিকের মতো কুস্তিগিরেরা। সেই ফেডারেশনে নতুন করে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু সেই নির্বাচনই পিছিয়ে গেল অসম কুস্তি সংস্থার জন্য।

১১ জুলাই জাতীয় কুস্তি সংস্থার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সেই নির্বাচন স্থগিত করে দিল গৌহাটি হাই কোর্ট। অসম কুস্তি সংস্থার একটি আবেদনের ভিত্তিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থার তরফে আবেদন করা হয়েছে যে, তাদের ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচনে ভোটাধিকার দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই।

জাতীয় কুস্তি সংস্থা, আইওএ-র অ্যাড-হক কমিটি এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের বিরুদ্ধে গৌহাটি হাইকোর্টে একটি হলফনামা পেশ করেছিল অসম কুস্তি সংস্থা। তাদের দাবি, জাতীয় কুস্তি সংস্থার সদস্য সংস্থা হওয়ার যোগ্যতা থাকলেও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর জাতীয় কুস্তি সংস্থার সাধারণ সভায় অসম সংস্থাকে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ন’বছর পেরিয়ে গেলেও তা গৃহীত হয়নি।

অসম সংস্থার দাবি, যত দিন না তারা জাতীয় কুস্তিতে সদস্য সংস্থা হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হোক। সেই দাবি মেনে নিয়েছে গুয়াহাটি হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ, যত দিন না পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হচ্ছে, তত দিন নির্বাচন নিয়ে কোনও কাজ করা যাবে না। ১৭ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে গেল ২৮ জুলাইয়ে।

জাতীয় কুস্তি সংস্থার বিদায়ী সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ শারীরিক নিগ্রহে অভিযুক্ত হওয়ার পর এখন কুস্তির দায়িত্বে অ্যাড-হক কমিটি। তারা দায়িত্বে আসার ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা জানায়। সেই মতো প্রথমে ৬ জুলাই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হলেও পরে পাঁচ দিন পিছিয়ে ১১ জুলাই করা হয়। গুয়াহাটি হাই কোর্টের নির্দেশের পর সেই তারিখ পিছিয়েই চলেছে। ফলে আবার নতুন করে জট ভারতীয় কুস্তিতে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy