রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পথে এক পা এগিয়ে গিয়েছে ভারত। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যক্তিগত নয়, দলগত পারফরম্যান্স দিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছতে চান তিনি। একটি উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তিনি। সহ-অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যের কথায় ধরা পড়েছে দলের একটি সমস্যা।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫০ রানে জয়ের পর রোহিত বলেছেন, ‘‘আমরা জানি, আমাদের কাছে কী প্রত্যাশা করা হয়। আমাদের কী করতে হবে, তাও জানি। মাঠে কী ভাবে খেলতে হবে তাও অজানা নয়। সে ভাবেই জয় এসেছে। এখানকার আবহাওয়া এবং পিচের সঙ্গে আমরা ভাল ভাবে মানিয়ে নিতে পেরেছি। কেবল এখানকার হাওয়ার গতি একটু সমস্যা করছে। এটুকু মানিয়ে নিতে হচ্ছে।’’ রোহিতের কথায় উঠে এসেছে দলগত ব্যাটিং পারফরম্যান্সের কথা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা ভাল ব্যাট করেছি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। বোলারেরাও ভাল পারফর্ম করেছে। আট জন ব্যাটারকেই তাদের ভূমিকা পালন করতে হয়। সে যত রানই করুক। আমাদের দলে সর্বোচ্চ রান ৫০। তবু আমরা ১৯৬ রান তুলেছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০ বা ১০০ রানের ইনিংস খেলার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিপক্ষ বোলারদের চাপে রাখা। আমরা এ ভাবেই খেলতে চাই। মাঠে নেমে ইতিবাচক ব্যাটিং করাই লক্ষ্য থাকে আমাদের। হার্দিক খুব ভাল ব্যাট করেছে। আমরা ইনিংসটা ভাল ভাবে শেষ করতে চেয়েছিলাম। সেটা হার্দিকের ব্যাট থেকে এসেছে। ওর ইনিংসটা আমাদের বেশ ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। আমাদের প্রথম পাঁচ ব্যাটার ওর জন্য মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিল। সেটা হার্দিক দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছে। আমরা জানি ও কী করতে পারে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইনিংসটা তার সঠিক উদাহরণ। হার্দিক আমাদের দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ব্যাট এবং বল হাতে।’’
অধিনায়ক রোহিত দলের খেলায় খুশি হলেও সহ-অধিনায়কের গলায় অন্য সুর ধরা পড়েছে। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার নিয়ে হার্দিক বলেছেন, ‘‘আমরা বেশ ভাল ক্রিকেট খেলেছি। পরিকল্পনাগুলো সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত করা গিয়েছে। সবাই ব্যাট হাতে কিছু করার চেষ্টা করেছে। এখানকার হাওয়ার গতির জন্য শট নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছে। এটা আমরা মাথায় রাখছি। হাওয়ার গতি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি আমরা। তবে দ্রুত একাধিক উইকেট হারানোর বিষয়টা নিয়ে আমাদের একটু সতর্ক থাকতে হবে।’’
নিজের বোলিং নিয়েও সন্তুষ্ট হার্দিক। ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘চেষ্টা করছি আমার বলে প্রতিপক্ষ ব্যাটারেরা যাতে হাওয়ার গতির দিকে শট খেলতে না পারে। সহজে শট খেলার সুযোগ দিতে চাইছি না। দেশের জন্য মাঠে নামতে পারা সব সময় গর্বের। এক দিনের বিশ্বকাপে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলাম। তার পর কঠোর পরিশ্রম করে ফিরে এসেছি। আমাদের কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেন, কঠোর পরিশ্রমই সৌভাগ্য নিয়ে আসতে পারে। সেটা মাথায় রেখেই পরিশ্রম করি। মাথা নিচু রেখে কঠোর পরিশ্রম করে যেতে চাই।’’
ভারতীয় দলের ব্যাটার এবং বোলারেরা ফর্মে রয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ফলে কোনও এক জন ক্রিকেটারের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে না। যা ইতিবাচক। তবে কম সময়ের মধ্যে একাধিক উইকেট হারিয়ে যে চাপ তৈরি হচ্ছে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy