বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
প্রথম বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নক আউট পর্যায়ে ওঠার আগেই বিদায় নিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর আজ়মদের খারাপ ফলের নেপথ্যে কতটা দায়ী পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড?
২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের পর থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কার্যকলাপ দেখলে স্পষ্ট, দলের পিঠে ‘ছুরি’ মেরেছেন মহসিন নকভিরা। ভারতের মাটিতে এক দিনের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পরে তৎকালীন চেয়ারম্যান জ়াকা আশরফের নেতৃত্বাধীন বোর্ড প্রথমেই বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেন। সাদা বলের ফরম্যাটে অধিনায়ক করা হয় শাহিন শাহ আফ্রিদিকে।
সরিয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের পুরো কোচিং দলকে। পাকিস্তানের নতুন ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট করা হয় প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ হাফিজ়কে। নির্বাচক প্রধান হন আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার ওয়াহাব রিয়াজ। নির্বাচক প্রধান ওয়াহাবের পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করা হয় সলমন বাটকে। ম্যাচ গড়াপেটায় দোষী সলমনকে দায়িত্ব দেওয়ায় সমালোচনা শুরু হয়। ফলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
নতুন অধিনায়ক শাহিনের নেতৃত্বে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় হারে পাকিস্তান। তার পরেই আশরফকে সরিয়ে বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হন নকভি। দায়িত্ব নিয়ে প্রথমেই তিনি শাহিনকে সরিয়ে আবার বাবরকে নেতৃত্বে ফিরিয়ে আনেন। মাত্র চার মাসের জন্য অধিনায়ক ছিলেন শাহিন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার তিন মাস আগে এই সিদ্ধান্ত সবাইকে অবাক করে দেয়। ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট হাফিজ়কেও সরিয়ে দেন নকভি। দলে ফিরিয়ে আনা হয় অবসর নেওয়া মহম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিমকে। তার ফলে পাকিস্তান দলে বিভাজন হয়। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পরে পাক বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দলের মধ্যে তিনটি দল হয়ে গিয়েছিল। একটি বাবরের, একটি শাহিনের ও তৃতীয়টি মহম্মদ রিজ়ওয়ানের। তার ফলে দল হিসাবে খেলতে পারেনি পাকিস্তান।
দীর্ঘ দিন ধরে পাকিস্তানের হয়ে ওপেন করা বাবর ও রিজ়ওয়ানকেই বিশ্বকাপে ওপেনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তরুণ সাইম আয়ুব, আজ়ম খান, মহম্মদ হ্যারিসদের সুযোগ দেওয়া হলেও কখনওই তাঁদের উপর ভরসা দেখায়নি বোর্ড। সব সময় ভয়ে ভয়ে খেলতে হয়েছে তাঁদের। ব্যর্থ হলেই জায়গা গিয়েছে। কিন্তু অনেক ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে তা হয়নি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দু’সপ্তাহ আগে গ্যারি কার্স্টেনকে কোচ করে আনা হয়। তিনি দলের ক্রিকেটারদের ভাল করে বোঝার সময়ই পাননি। দলকে বিশ্বকাপে ভাল ফল করতে হলে অনেক আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হত বোর্ডকে। কিন্তু তা হয়নি। বার বার অধিনায়ক, কোচ, ম্যানেজেন্ট বদলের খেসারত দিতে হয়েছে বাবরদের। তাই পাকিস্তানের এই ব্যর্থতার নেপথ্যে পাক ক্রিকেট বোর্ডের দায় কিছু কম নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy