হার্দিক পাণ্ড্য। ছবি: পিটিআই।
আইপিএলে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেননি হার্দিক পাণ্ড্য। সমালোচিত হয়েছেন যথেষ্ট। তা অজানা নয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়কের। এখন তাঁর লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরা পারফরম্যান্স করা। সে জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেও আপত্তি নেই ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়কের।
আইপিএলে ব্যাট বা বল হাতে সাফল্য পাননি। ১৪টি ম্যাচ খেলে করেছেন ২১৬ রান। একটিও অর্ধশতরানের ইনিংস খেলতে পারেননি। গড় ১৮। অন্য দিকে, বল হাতে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ১০.৭৫ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁকে অলরাউন্ডার হিসাবেই চাইছেন রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড়েরা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রস্ততি ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্স অবশ্য নজর কেড়েছে। ব্যাট হাতে ২৩ বলে ৪০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। ২টি চার এবং ৪টি ছয় মেরেছেন। বল হাতেও ৩০ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। বিশ্বকাপেও এই ছন্দ ধরে রাখতে চান।
বাংলাদেশ ম্যাচের পর দলের প্রত্যাশা পূরণই হার্দিকের লক্ষ্য। আমেরিকায় গিয়ে প্রথম দিন অনুশীলনেই প্রায় এক ঘণ্টা নেটে বল করেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি লড়াইয়ে থাকায় বিশ্বাস করি। পালিয়ে যাওয়া মানসিকতা নিয়ে খেলি না। জীবনে কখনও কখনও এমন পরিস্থিতি আসে, যখন সব কিছুই কঠিন মনে হয়। কিন্তু লড়াই থেকে পালিয়ে যেতে চাইলে কখনও লক্ষ্য পূরণ সম্ভব নয়। তাই পরিস্থিতি কঠিন হলেও ভাবছি না। একই রকম পরিশ্রম করে যেতে চাই। যেমন আগে করতাম, তেমনই করব।’’ আত্মবিশ্বাসী হার্দিক আরও বলেছেন, ‘‘ভাল এবং খারাপ সময় পর্যায়ক্রমে আসে। আবার চলেও যায়। অনেক বার খারাপ সময় এসেছে। প্রতি বারই কাটিয়ে উঠেছি। বিশ্বাস করি, এ বারও পারব।’’
হার্দিক জানিয়েছেন, সাফল্য বা ব্যর্থতা কোনও কিছুই আঁকড়ে থাকতে চান না। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার সাফল্যগুলোকে খুব বেশি গুরুত্ব দিই না। ভাল পারফরম্যান্স দ্রুত ভুলে গিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কঠিন সময়ও একই কাজ করি। আমি পালিয়ে যাওয়ার লোক নই। মাথা উঁচু করে সব পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চাই।’’
বিশ্বকাপ খেলতে এসে আইপিএলের কথা মাথায় রাখতে চাইছেন না হার্দিক। অতীত নিয়ে ভেবে নিজের উপর চাপ বৃদ্ধি করতে রাজি নন। খারাপ সময় কী ভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়? ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘এটা খুব কঠিন নয়। নিজের খেলাটা খেলার চেষ্টা করতে হবে। দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ সব সময় থাকে। শুধু কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম কখনও বৃথা যায় না। হাসিমুখে পরিশ্রম করলে ভাল সময় ফিরে পাওয়া যায়।’’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের ভারসাম্যের জন্য হার্দিকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও খারাপ ফর্মের জন্য তাঁকে দলে রাখার পক্ষে ছিলেন না অধিনায়ক রোহিত এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর। দল নির্বাচনের আগেই অবশ্য তাঁকে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, বিশ্বকাপে শুধু ব্যাট করলে হবে না। বল করতে হবে নিয়মিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy