শনিবার অনুশীলনে মেন্টর ধোনির সঙ্গে অধিনায়ক কোহালি। শনিবার দুবাইয়ে। ডান দিকে, পাক অধিনায়ক বাবর আজ়ম। ছবি: পিটিআই।
উপমহাদেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের চেয়ে বড় আর কিছু হতে পারে না। ওদের কাছে এই ম্যাচটা ফাইনালের আগে ফাইনাল। যদি না এই দু’দলের তার আগে আরও একবার দেখা হয়ে যায়। দু’দলের সমর্থকেরাই পরিসংখ্যান তুলে প্রমাণ করার চেষ্টা করবে, তাদের দলই এগিয়ে। আর কোনও ভাবে যদি কেউ একজন ক্রিকেটারের কাছাকাছি আসতে পারে, তা হলে একটা কথাই বলে যাবে— আর যাই করো, এই ম্যাচটা হেরো না।
পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কথা আমি বলতে পারব না। কিন্তু ভারতীয়দের ব্যাপারটা জানি। ওরা এই সব থেকে দূরে সরে থেকে নিজের প্রিয় গানটা শুনতে ভালবাসে। বাইরে কী হচ্ছে না হচ্ছে, তাতে কান দেয় না। ভারতকে হারানোর জন্য পাকিস্তানের উপরেই বেশি চাপ থাকবে। এটাই বরাবর হয়ে এসেছে। এই রকম মরণ-বাঁচন একটা পরিস্থিতি থেকে ভারত কিন্তু আগেই বেরিয়ে এসেছে। এখন ভারতের কাছে পাকিস্তানকে হারানো আর পাঁচটা দলকে হারানোর মতোই। বরং বলব, ভারত এখন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভাল কিছু করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়া এমন জায়গায় নিজেদের নিয়ে গিয়েছে, যেখানে সবাই এই দলটাকে হারাতে চায়। ভারতও ব্যতিক্রম নয়।
তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ভারত-পাক ম্যাচের গুরুত্বই আলাদা। এক বার জিততে পারলে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ানো যাবে। তাই ক্রিকেটারদের থেকে সমর্থকেরা বেশি উত্তেজনা বোধ করবে এই ম্যাচটাকে ঘিরে।
ভারতীয় দল এমনিতেই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। তার উপরে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ওদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গিয়েছে। মেন্টর হিসেবে দলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির উপস্থিতিটা ভালই বোঝা যাচ্ছে। দুটো প্রস্তুতি ম্যাচে যে ভাবে ঠান্ডা মাথায়, কোনও চাপ না নিয়ে ভারতীয়রা বেশ কিছু বল বাকি থাকতেই জিতে গেল, তাতে ধোনির প্রভাবটা টের পাওয়া যাচ্ছে। যে ব্যাপারটা নিয়ে দল পরিচালন সমিতিকে একটু চিন্তাভাবনা করতে হবে, সেটা হল, ষষ্ঠ বোলার। সব অধিনায়কই দলে এমন এক জন ব্যাটারকে দলে চায়, যে প্রয়োজনে কয়েক ওভার বল করে দিতে পারবে। যাতে কোনও নিয়মিত বোলার মার খেলে, তার অভাবটা ঢেকে দিতে পারে। হার্দিক পাণ্ড্য হয়তো প্রস্তুতি ম্যাচে বল করেনি, কিন্তু আমি নিশ্চিত বিশ্বকাপে করবে। ব্যাট হাতেও হার্দিক সব সময় তৈরি থাকবে। যখনই ধোনির মনে হবে, ওকে এ বার প্রয়োজন, মেন্টর নিঃসন্দেহে সেটা জানিয়ে দেবে অধিনায়ক বা কোচকে।
মরুশহরের এই পরিবেশে পাকিস্তানের খেলার অভিজ্ঞতা ভালই আছে। তাই ওরা জানে এখানকার পিচ কী রকম আচরণ করে। পাকিস্তানের ব্যাটিং অনেকটাই নির্ভর করে আছে শুরুতে বাবর আজ়শম-মহম্মদ রিজ়ওয়ানের উপরে। এবং, মাঝে অভিজ্ঞ মহম্মদ হাফিজ় এবং শোয়েব মালিকের উপরে। পাকিস্তানের শক্তি বোলিং। তাই অল্প রান তুললেও ভারতকে আটকে রাখার কথা ওরা ভাবতেই পারে।
ম্যাচের ফল যাই হোক না কেন, মনে রাখবেন সোমবার কিন্তু আবার সূর্য উঠবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy