ক্ষুব্ধ: অভিযুক্ত সাঁতার-কোচের চরম শাস্তি চান কিরেন। ফাইল চিত্র
হুগলির এক কিশোরী সাঁতারুকে যৌন হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল গোয়া সাঁতার সংস্থা। আড়াই বছর ধরে গোয়াতেই সাঁতার শেখাতেন বাংলা থেকে যাওয়া ওই কোচ।
সুরজিৎকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বেঙ্গালুরু রওনা হয়েছে গোয়া পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে খবর।
অভিযোগ, পনেরো বছর বয়সি প্রতিশ্রুতিমান সাঁতারুর সঙ্গে গত ছ’মাস ধরে অশালীন আচরণ করে আসছিলেন ওই কোচ। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ফোন বন্ধ করে দেন সুরজিৎ। তিনি আন্তঃরাজ্য সাঁতার প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভোপালে। মোবাইলের লোকেশন ধরে গোয়া পুলিশ জানতে পেরেছে, সুরজিৎ এখন বেঙ্গালুরুতে। মাপুসা থানার পুলিশ জেনেছে, স্ত্রী এবং ছেলের সঙ্গেই রয়েছেন তিনি। তাঁর ছেলে সোহান গঙ্গোপাধ্যায় এখন ওখানেই জাতীয় শিবিরে রয়েছে। সোহান এ বার জাতীয় প্রতিযোগিতায় তিনটি রেকর্ড-সহ পাঁচটি সোনা জেতে।
বুধবার রাতে যৌন হেনস্থার ভিডিয়ো প্রকাশের পাশাপাশি রিষড়া থানায় এফআইআর করে ওই কিশোরী সাঁতারু। যে-হেতু ঘটনাটি গোয়ার, তাই সেখানকার পুলিশের হাতে তদন্তের ভার দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। মাপুসা থানার অফিসার কপিল নায়েক জানান, অভিযুক্ত কোচের বিরুদ্ধে ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩৫৪ (যৌন হেনস্থা) এবং ৫০৬ (সমাজবিরোধী কার্যকলাপ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, শিশু নিগ্রহের অভিযোগে পকসো আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছি। ওঁকে যে কোনও মুহূর্তে গ্রেফতার করা হবে।’’
কিশোরী সাঁতারুকে যৌন পীড়নের অভিযোগ পেয়ে প্রচণ্ড চটেছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু। অভিযুক্তকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি সর্বভারতীয় সাঁতার সংস্থাকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, অভিযুক্ত সুরজিৎ যাতে কোথাও কোচিং করাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। আড়াই বছর আগে রেলের চাকরি ছেড়ে গোয়ায় সপরিবার কোচিং করাতে যান এক সময়ের জাতীয় পর্যায়ের নামী সাঁতারু সুরজিৎ। সফলও হন জাতীয় গেমসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy