Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

ডুরান্ড জিতবই, বলছেন সুহের

সেমিফাইনালে জোড়া গোল করে হঠাৎই নায়ক হয়ে যাওয়া কেরলের সুহের বৃহস্পতিবার বলে দেন, ‘‘কলকাতা লিগে দুর্দান্ত শুরু করেও চোটের জন্য আমাকে ফিরে যেতে হয়েছিল কেরলে। কিছু করার ছিল না।’’

সুহেরের দু’টি গোল কিন্তু মসৃণ জয় এনে দিয়েছে কিবু ভিকুনার দলকে। ছবি: সংগৃহীত

সুহেরের দু’টি গোল কিন্তু মসৃণ জয় এনে দিয়েছে কিবু ভিকুনার দলকে। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব  সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৩০
Share: Save:

ভি পি সুহের এবং হেনরি কিসেক্কা, দুই বাতিলের ভেসে ওঠার দিন কাল শনিবার। মোহনবাগানের ভিপি সুহের বা গোকুলমের হেনরি কিসেক্কার অবশ্য ‘বাতিল’ শব্দটায় প্রবল আপত্তি আছে।

সেমিফাইনালে জোড়া গোল করে হঠাৎই নায়ক হয়ে যাওয়া কেরলের সুহের বৃহস্পতিবার বলে দেন, ‘‘কলকাতা লিগে দুর্দান্ত শুরু করেও চোটের জন্য আমাকে ফিরে যেতে হয়েছিল কেরলে। কিছু করার ছিল না।’’ আর মোহনবাগানে গত বছরই বাতিল করে দেওয়া কিসেক্কার মন্তব্য, ‘‘গোকুলমে ছিলাম, সেখানেই ফিরে এসেছি। মোহনবাগানে খেলাটা গৌরবের ব্যাপার। সেখানে খেলেছি সেটাই মনে রাখতে চাই। কোনও চ্যালেঞ্জ নিয়ে নামছি না।’’

গোকুলমের মার্কাস জোসেফ এবং কিসেক্কা জুটি বুধবার রাতে সরাসরি হারাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গলকে। টাইব্রেকারে জিতেছে। অন্য দিকে সুহেরের দু’টি গোল কিন্তু মসৃণ জয় এনে দিয়েছে কিবু ভিকুনার দলকে। বুধবার রাতে কোন গোলটা করে বেশি তৃপ্তি পেয়েছেন? এ দিন সতীর্থদের সঙ্গে সুইমিং পুলে নামার আগে সুহের বলে দিলেন, ‘‘প্রথমটা। ওটা আমাকে পুনর্জন্ম দিয়েছে। চোটের জন্য গত দু’বছর অনেক ক্ষতি হয়েছে। গোকুলমের হয়ে গত বছর তিনটি ম্যাচ খেলেছি। ফের কলকাতায় ফেরার পর মনে হয়েছিল, কবে গোল পাব। সেটা করে এবং দলকে ফাইনালে তুলতে পেরে দারুণ লাগছে।’’ জেতার পর গোয়া থেকে বন্ধু জবি জাস্টিন ফোন করেছিলেন সুহেরকে। মেসেজ করে মালওয়ালি বন্ধুকে লিখেছেন, ‘‘ডুরান্ড ফাইনাল দেখতে কলকাতায় যাচ্ছি। তোমার গোল দেখতে চাই।’’ যা পেয়ে আপ্লুত সুহের। জবিও ফোনে বললেন, ‘‘গোকুলম তো আমার রাজ্যের দল। সুহেরও বন্ধু। অনেক বন্ধু খেলছে। তাই ফাইনাল দেখতে যাচ্ছি।’’

দু’বছর আগে সুহের অনেক স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন লাল-হলুদ জার্সি গায়ে দিয়ে জবির সঙ্গে জুটি বাঁধবেন বলে। কলকাতা লিগে সফল হলেও পরে জুটি ভেঙে যায় দু’জনের। চোট পেয়ে ছিটকে যান সুহের। বলছিলেন, ‘‘আরও গোল করতে হবে আমাকে। ফাইনালে কোচ যদি আস্থা রাখেন ফের গোল করব। ডুরান্ডও জিতব।’’ যে দল ছেড়ে সবুজ-মেরুন জার্সি পরতে এখানে এসেছেন, তাদের সঙ্গেই ফাইনাল খেলতে হবে। তাতে অবশ্য আলাদা কোনও অনভূতি নেই। নিজের রাজ্য কেরলের ক্লাবটির কাছ থেকে ট্রফি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে রয়েছেন। বললেন, ‘‘আমি যাদের সঙ্গে গত বছর গোকুলমে খেলেছিলাম, তাদের সাত-আট জন রয়েছে এই দলে। তবুও বলছি আমরা ফেভারিট। মোহনবাগানই জিতবে ট্রফি।’’ যা শুনে হেনরি কিসেক্কার মন্তব্য, ‘‘ফাইনালে কেউ ফেভারিট নয়। সে দিন যে ভাল খেলবে, সেই জিতবে।’’ আর কিসেক্কাদের কোচ ফার্নান্দো ভ্যালেরা বলে দিলেন, ‘‘মোহনবাগান অত্যন্ত শক্তিশালী দল। ওদের জোসেবা বেইতিয়া এবং সালভা চামোরোর মধ্যে একটা কম্বিনেশন আছে। যা থেকে গোল হচ্ছে। আমরা সেটা কেটে দিতে চাই। বিশেষ করে বেইতিয়ার উপর আমাদের বিশেষ নজর রাখতে হবে। ও-ই হল মোহনবাগানের চালিকাশক্তি।’’ যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে অনুশীলনের পর হাসিখুশি মার্কাস-কিসেক্কাদের কোচ বললেন, ‘‘মোহনবাগানের পুরো খেলা বুধবার মাঠে বসে দেখেছি। এই ম্যাচ সবসময় পঞ্চাশ-পঞ্চাশ।’’ তার কিছুক্ষণ পরেই মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনার মন্তব্য, ‘‘তিন বছর আগে ট্রফি জিতেছি। দেখা যাক সেই খরাটা কাটাতে পারি কি না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

V P Suhair Football Durand Cup
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy