জুটি: ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে মঙ্গলবার খালিদ ও সুভাষ। নিজস্ব চিত্র
সুভাষ ভৌমিক-খালিদ জামিল সম্পর্কে ফের চিড়! বৃহস্পতিবার সকালে অনুশীলন না করিয়ে মাঠের বাইরে বসে থাকলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ।
টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (টি়ডি) হিসেবে সুভাষ লাল-হলুদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই খালিদের সঙ্গে দূরত্ব তাঁর বেড়েছে। অনুশীলনে যোগ না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সুভাষ প্রকাশ্যেই তোপ দেগেছিলেন খালিদের বিরুদ্ধে। তার পরে খালিদ এলেও মাঠে নামেননি। অনুশীলন চলাকালীন ড্রেসিংরুমে দরজা বন্ধ করে বসেছিলেন। কিন্তু গত রবিবারই নাটকীয় ভাবে বদলে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল অন্দরমহলের আবহ।
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে অনুশীলনে মহম্মদ আল আমনা বনাম কাতসুমি ইউসা-র সংঘাতের জেরে কাছাকাছি এসেছিলেন সুভাষ ও খালিদ। জানিয়েছিলেন, সুপার কাপের জন্য একসঙ্গেই কাজ করবেন তাঁরা। দু’জনেই দাবি করেছিলেন, ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল এখন সুখের সংসার। পরের দিন একসঙ্গেই মাঠে নামেন সুভাষ ও খালিদ। অনুশীলন চলাকালীন বারবারই দেখা গিয়েছে, একান্তে কথা বলেছেন তাঁরা। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ফের অশান্তির কালো মেঘ ঢুকে পড়ল অন্দরমহলে। বৃহস্পতিবার সকালে ইস্টবেঙ্গল মাঠে সুভাষ-ই অনুশীলন করালেন। মাঠের বাইরে বসে থাকলেন খালিদ। ক্লাব কর্তারা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন। সমস্যা মেটাতে বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে টিডি ও ক্লাবের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন খালিদ। কিন্তু তা-ও ভেস্তে গেল সুভাষ রাজি না হওয়ায়। ইস্টবেঙ্গল টিডি ক্লাবকে জানান, বিকেলে তাঁর ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার কথা। তাই বৈঠকে থাকতে পারবেন না।
হঠাৎ কী ভাবে বদলে গেল পরিস্থিতি? ক্লাবের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘খালিদের যে কখন গোসা হয়, বোঝা দায়। শুক্রবার যুবভারতীতে অনুশীলনের পরে কোচ ও টিডি-কে নিয়ে আলোচনায় বসার চেষ্টা করব।’’ পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে খালিদ হয়তো অনুশীলনের দায়িত্ব পুরোপুরি সুভাষের উপরেই ছেড়ে দেবেন।
টিডি বনাম কোচ ঠান্ডা লড়াই নিয়ে অবশ্য ফুটবলাররা মাথা ঘামাতে রাজি নন। এ দিন অনুশীলনের পরে ডুডু ওমাগবেমি বললেন, ‘‘আমরা এই মুহূর্তে সুপার কাপ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবছি না। আইএসএলের দলগুলো খেলবে এই টুর্নামেন্টে। ফলে লড়াইটা সহজ নয়।’’ তার পরেই যোগ করলেন, ‘‘প্রত্যেক কোচেরই অনুশীলন পদ্ধতি, রণনীতি আলাদা। আই লিগে খালিদের কোচিংয়ে খেলেছি। এখন সুভাষ ভৌমিক অনুশীলন করাচ্ছেন। ফলে মানিয়ে নেওয়ার জন্য একটু সময় লাগবে। আমরা দু’জনের কোচিংই দারুণ উপভোগ করছি।’’
এ দিকে, বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফিতে দুর্দান্ত খেলা বিদ্যাসাগর সিংহকে সুপার কাপে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে ইস্টবেঙ্গল টিডি-র। কলকাতার আর এক প্রধান মোহনবাগান সুপার কাপ খেলতে শুক্রবার সকালের উড়ানে ভুবনেশ্বর রওনা হচ্ছে। ১ এপ্রিল কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে খেলবেন দিপান্দা ডিকা-রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy