Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sourav Ganguly

নিরপত্তারক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে কাবাব খেয়েছিলাম, পাক সফরের স্মৃতিচারণায় সৌরভ

২০০৩-০৪ মরসুমে ৪৫ দিনের পাকিস্তান সফরে ভারতীয় ক্রিকেটাররা স্থানীয় খাবারও চেখে দেখেছিলেন। ঐতিহাসিক সেই সফরের অভিজ্ঞতার কথা উঠে এসেছে সৌরভের গলায়।

সেই সফরে সৌরভের নেতৃত্বে টেস্ট ও একদিনের সিরিজ জিতেছিল ভারত। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

সেই সফরে সৌরভের নেতৃত্বে টেস্ট ও একদিনের সিরিজ জিতেছিল ভারত। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৫৪
Share: Save:

নিরাপত্তাকে ফাঁকি দিয়ে পাকিস্তানের রাস্তায় কাবাব খাওয়া! মজার সেই গল্পই উঠে এল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জবানিতে।

২০০৩-০৪ মরসুমে সৌরভের নেতৃত্বে পাকিস্তানে গিয়েছিল ভারতীয় দল। সেই সফরে ইনজামাম উল হকের পাকিস্তানকে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজে যথাক্রমে ৩-২ ও ২-১ হারিয়েছিল ভারত। সৌরভ যদিও প্রথম দুই টেস্ট খেলতে পারেননি। তবে শেষ টেস্ট ও তিনটি একদিনের ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।

৪৫ দিনের সেই সফরে ভারতীয় ক্রিকেটাররা স্থানীয় খাবারও চেখে দেখেছিলেন। ঐতিহাসিক সেই সফরের অভিজ্ঞতার কথা উঠে এসেছে সৌরভের গলায়। তিনি বলেছেন, “নিরাপত্তার নামে পাগলামি চলছিল। আমি তো বিরক্ত হয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের না জানিয়েই চলে গিয়েছিলাম স্থানীয় খাবার খেতে। আমাদের বন্ধু রাজদীপ সারদেশাই ধরে ফেলেছিল তা। বলে দেয় যে ভারত অধিনায়ক রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাবাব খাচ্ছে। কাবাব শেষ করেআমি পুরো ডিনারটাই ওখানে সেরে ফেলি। মাথায় একটা টুপি পরেছিলাম। চুপচাপ নৈশভোজ সারছিলাম।”

কিন্তু কেন এ ভাবে নিরাপত্তাকে ফাঁকি দেওয়া? সৌরভ বলেছেন, “নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়ে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। প্রথম দিন হোটেলের ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি যে একে-৪৭ হাতে দুই জন দাঁড়িয়ে রয়েছেন। একজন তাকিয়ে রয়েছে দরজার দিকে, অন্যজনের নজরে অন্য দিক। আমি তাই লোকাল ম্যানেজারকে গিয়ে বললাম যে, এখানে ৪৫ দিন থাকতে হবে। তাই ঘরের সামনে থেকে যেন নিরাপত্তা কর্মীদের সরানো হয়। ওদের রাখা হোক লবিতে। কারণ, রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে একে-৪৭ হাতে কাউকে দেখতে চাইছি না। যদি ভুল করেও গুলি বেরিয়ে যায়, তা হলে তো মুশকিল!”

নিরাপত্তার বেষ্টনী নিয়ে ইন্ডিয়া টুডে-র এক অনুষ্ঠানে সৌরভ আরও বলেছেন, “করাচি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে হোটেলের দিকে যাওয়ার কথা মনে পড়ছে। এটা ছিল ১০ কিলোমিটারের মতো রাস্তা। প্রধান রাস্তার দুই পাশের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করা ছিল। আর ছিল নিরাপত্তাকর্মী। যে দিকেই তাকানো যাক না কেন, ওদেরকেই চোখে পড়ছিল। করাচির হোটেলে মনে হয় তিন তলায় আমরা ছিলাম। আর তাই দ্বিতীয় ও চতুর্থ তলার ঘর কাউকে দেওয়া হয়নি।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy