বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ফাইল চিত্র।
হার্দিক পাণ্ড্য, ঋষভ পন্থের মতো বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের বাইশ গজে অকুতোভয় মানসিকতা নিয়ে চর্চা অব্যাহত ক্রিকেটমহলে। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মনে করেন, জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তে নিজেদের দক্ষতাকে প্রমাণ করার জেদ তাঁদের করে তুলেছে নির্ভীক।
বরং প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এটা দেখে বিস্মিত যে, বেশ কিছু ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখার আগেই এই বার্তা বাকিদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন যে, সর্বোচ্চ মঞ্চে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য তাঁরা তৈরি।
ইউটিউবে এক অনুষ্ঠানে সৌরভ বলেছেন, “আমি মনে করি বিশ্বের নানা প্রান্তে খেলার সুযোগ পেয়ে এই প্রজন্মের সদস্যরা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলাটা দারুণ রপ্ত করে নিয়েছে। ওরাও এই ব্যাপারটা অনুভব করছে যে, সেই সুযোগ এখন ওদের দরজার বাইরে অপেক্ষা করছে। ফলে সাফল্য পাওয়ার জন্য ওরাও নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে। সফল হওয়ার জন্য একটা মরিয়া ভাব তৈরি হয়েছে এই প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে। নিজেকে উজাড় করে দিতে পারলে যে সাফল্য ধরা দেবেই, সেই ভাবনাই ওদের ভয়ডরহীন করে তুলেছে।”
সেই প্রসঙ্গের সূত্র ধরেই সৌরভ উদাহরণ হিসেবে বেছে নিয়েছেন ঋষভ, হার্দিকের মতো ক্রিকেটারকে। তিনি বলেছেন, “আজকের ভারতীয় দলটার দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়ে যাবে সেই ছবিটা। ঋষভ পন্থ, হার্দিক পাণ্ড্য এবং আরও কিছু তরুণ ফাস্ট বোলার এ ভাবেই এই উচ্চতায় তুলে এনেছে নিজেদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মঞ্চে দৃপ্ত হাঁটাচলাই প্রমাণ করে দেয় ওরা নিজেদের প্রমাণ করার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি।” যোগ করেছেন, “শুধু ক্রিকেটীয় দক্ষতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় ওরা, মানসিক ভাবেও যে কোনও ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছে। সেটাই আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে।”
২০০৮ সালে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। কিন্তু তেরো বছর পরেও প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ভীষণ ভাবে সেই টেস্ট ম্যাচের ‘সকাল সাতটার স্নায়ুর চাপের’ অভাব অনুভব করেন। তিনি বলেছেন, “টেস্টে ম্যাচের সকাল সাতটার সেই স্নায়ুর চাপটা নেই আর। প্রতি মুহূর্তে তার অভবটা উপলব্ধি করি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy