সফল: সোয়েল আহমেদ গাজি।
প্রথম বার আন্তর্জাতিকস্তরের যোগ প্রতিযোগিতায় গিয়েই সাফল্য পেল খড়্গপুরের ছেলে সোয়েল আহমেদ গাজি। তার কৃতিত্বে খুশি পরিবার জানায়, সোয়েলের লক্ষ্য এখন এশিয়াডে যোগ দেওয়া।
গত ২১ থেকে ২৪ নভেম্বর কর্নাটকের শ্রীক্ষেত্র ধর্মস্থলে ‘কর্নাটক স্টেট অ্যামেচার যোগ স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন’ ও ‘শান্তিভবন ট্রাস্ট’-এর আয়োজনে এবং ‘এশিয়ান যোগ ফেডারেশন’ ও ‘যোগ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া’র সহযোগিতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল যোগ স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৭’-এ চতুর্থ স্থান দখল করে খড়্গপুরের সিলভার জুবিলি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সোয়েল। এ ছাড়াও ২০ থেকে ২৪ নভেম্বর সেই একই জায়গায় আয়োজিত হয় দ্বিতীয় ফেডারেশন যোগ স্পোর্টস কাপ ২০১৭-’১৮। সেখানে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের বিভাগে প্রথম হয়েছে সোয়েল।
গত ২৫ থেকে ২৮ অক্টোবর ‘উত্তরপ্রদেশ যোগ অ্যাসোসিয়েশন’-এর আয়োজনে ৪২তম ন্যাশনাল যোগ স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৭-’১৮ হয় গাজিয়াবাদে। জাতীয় প্রতিযোগিতায় দু’টি বিভাগে প্রথম হয়ে আন্তর্জাতিকস্তরে যাওয়ার সুযোগ পায় সোয়েল। কর্নাটকের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সোমালিয়া, ইরাক-সহ মোট ১১টি দেশের প্রতিযোগীরা যোগ দিয়েছিল। বয়সের নিরিখে বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করা হয় প্রতিযোগীদের। ১৪ বছরের সোয়েল ছেলেদের ৮ থেকে ১৭ বছর বয়সের জুনিয়র বিভাগে ‘আর্টিস্টিক যোগ’-এ যোগ দেয়। এই বিভাগে ছিল ৫২ জন প্রতিযোগী। মোট ১০টি আসনের মধ্যে ৭টি আসন করে দেখাতে হয়। সেখানে বিচারকদের বিচারে চতুর্থ স্থান পায় সোয়েল। ফেডারেশন যোগ স্পোর্টস কাপ ২০১৭-১৮ প্রতিযোগিতাতেও ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সের জুনিয়র বিভাগে ‘আর্টিস্টিক যোগ’-এ যোগ দেয় সোয়েল। নির্ধারিত ১০টি আসন করে দেখাতে হয়। বিচারকদের বিচারে এই বিভাগে প্রথম হয় সোয়েল।
এর আগেও জাতীয়স্তরে সফল হয়েছে সোয়েল। সে যোগ ও জিমন্যাস্টিক্সের প্রশিক্ষণ নেয় কৌশল্যার ‘প্যালেস্ট্রা’-তে, জাতীয় কোচ রণজিৎ দাসচৌধুরীর কাছে। খড়্গপুরে সোয়েলের বাড়িতে এসে প্রশিক্ষণ দেন হুগলির কোন্নগরের জাতীয় যোগ কোচ শ্যামল দত্ত। শ্যামলবাবুর কথায়, “এশিয়াডে যাওয়ার জন্য হরিয়ানায় পঞ্চকুলায় বাছাই শিবিরে ডাক পাবে সোয়েল। আমাদের লক্ষ্য হবে, শিবিরে উত্তীর্ণ হয়ে এশিয়াডের জন্য সোয়েলকে তৈরি করা।” আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম বার যোগ দিয়ে সফল হওয়ায় খুশি সোয়েলও। সে বলে, “এ বার এশিয়াডে যোগ দিয়েও ভাল ফল করতে চাই।”
এ দিকে, সোয়েলের স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১ ডিসেম্বর থেকে। তার আগে প্রায় ১০ দিন প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত ছিল সোয়েল। তার বাবা গাজি কামালউদ্দিন বলেন, “সিলভার জুবিলি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতা পাই। এ জন্য শিক্ষকদের ধন্যবাদ।” সোয়েলের মা তুহিনা বেগম বলেন, “ফাইনাল পরীক্ষার আগে ১০ দিন পড়াশোনা বন্ধ হয়েছে ঠিকই, তবে আন্তর্জাতিকস্তরে সাফল্য আসায় আমরা খুব খুশি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy