ছবি রয়টার্স।
মারাত্মক ডামাডোল লিয়োনেল মেসির বার্সলোনায়। স্প্যানিশ লা লিগা চ্যাম্পিয়ন ক্লাবের পরিচালন বোর্ডের ছ’জন ডিরেক্টর একসঙ্গে পদত্যাগ করলেন শুক্রবার সন্ধেয়। পদত্যাগীদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া কেলেঙ্কারিতে ক্লাবের ভূমিকা আপত্তিজনক। ছ’জনের একজন এমিলি রোউসাদ এই কেলেঙ্কারিতে ক্লাবের কেউ দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন বলেও অভিযোগ করলেন। একই সঙ্গে পদত্যাগীরা করোনাভাইরাস-ঘটিত সঙ্কটে বার্সা যে পদক্ষেপ করেছে, তারও সমালোচনা করেছেন। পদত্যাগী ছ’জনের দু’জন ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট— রোউসাদ এবং এনরিকে তোম্বাস। বাকি চার জন: সিলভিয়ো এলিয়াস, জোসেপ পন্ট, জর্দি কালসামিগিলা ও মারিয়ো তেক্সেইদো।
ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তোমিউ কিন্তু নাটকীয় এই ঘটনার পরেও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে বার্সা সরকারি ভাবে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শোনা যাচ্ছে, এই ছ’জনের চার জনকে বার্তোমিউ নিজেই সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়া কেলেঙ্কারিটা নাকি তাঁদের জন্যই হয়েছিল। আর রোউসাদকে একেবারেই পছন্দ করেন না বাতোর্মিউ বলে খবর। কারণ তাঁকেই বার্সার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ধরে নেওয়া হচ্ছে। স্পেনের প্রচারমাধ্যমের খবর, পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও তিন জন ডিরেক্টর পদত্যাগ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ৭৫ ভাগ ডিরেক্টর পদত্যাগ করলে দ্রুত নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে বার্সাকে।।
পদত্যাগীরা ক্লাবের ভক্তদের কাছে চিঠিতে যে বার্তা দিয়েছেন, তাতে এই মুহূর্তের সঙ্কটজনক পরিস্থিতির জন্য সরাসরি বার্তোমিউকে দায়ী করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁরা অতিমারির জেরে হওয়া অবস্থা থেকে ক্লাবকে বার করার ক্ষমতা এখনকার বোর্ডের আছে কি না তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে। এই বোর্ডই কিছুদিন আগে মেসিদের বেতন ৭০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্তে সম্মতি দেয়। এক ধাপ এগিয়ে পদত্যাগীরা বার্তোমিউ-র কাছে যত দ্রুত সম্ভব প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন। সঙ্গে ছয় বিদ্রোহী প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন, বার্সার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য তৃতীয় পক্ষকে (থার্টিন ভেঞ্চার্স) দায়িত্ব দেওয়ার।
বার্তোমিউ অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের এবং ক্লাবের প্রাক্তন-বর্তমান কিংবদন্তি ফুটবলারদের চরিত্র কলুষিত করার অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছেন। পাশাপাশি তিনি ‘থার্টিন ভেঞ্চার্স’-এর সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি বাতিল করতেও বাধ্য হন। পদত্যাগীরা তাঁদের যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘ক্লাবে যা চলছে তা বদলানোর ক্ষমতা আমাদের আর নেই বলেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি। সামনে আরও কঠিন সময় আসছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy