গত বছর নভেম্বরে ই়ডেনে ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্টের সময় জগমোহন ডালমিয়া স্মারক বক্তৃতা দিতে এসেছিলেন কপিলদেব। সেই বক্তৃতা দিতে এ বার কলকাতায় আসছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ।
৪ নভেম্বর যে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে ইডেনে, তার আগেই এই স্মারক বক্তৃতা দেবেন স্মিথ। এ ছাড়াও এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে ইডেনের আরও একটি বিশেষ ঘটনার স্মৃতি ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলার ক্রিকেট সংস্থা সিএবি-র।
পঁচিশ বছর আগে এই নভেম্বরেই ইডেনে প্রথম দিন-রাতের ম্যাচ হয়েছিল। হিরো কাপ সেমিফাইনালের শেষ ওভারে সচিন তেন্ডুলকরের শেষ বলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ভারত। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজই আবার ইডেনে নামতে চলেছে পঁচিশ বছর পরের নভেম্বরেও। এই উপলক্ষ কেউ স্মরণীয় করে রাখতে চায় সিএবি, রবিবার গুয়াহাটিতে ওয়ান ডে ম্যাচ দেখতে এসে জানালেন সংস্থার প্রেসিডেন্ট ও প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এ দিন গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে খেলা দেখার ফাঁকে সৌরভ বলে যান, ‘‘হিরো কাপের ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে এ বার। হিরো কাপের সেই পঁচিশ বছর পূর্তি বিশেষ ভাবে উদযাপনের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। এ বারও তো ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচই হচ্ছে ইডেনে।’’ সিএবি সূত্রে খবর, সচিন তেন্ডুলকর, ব্রায়ান লারা-সহ প্রাক্তনদেরও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে সিএবি-র।
ওই ম্যাচের আগে ২ নভেম্বর ডালমিয়া স্মারক বক্তৃতা হওয়ার কথা। যা নিয়ে সৌরভ বলেন, ‘‘গত বছর জগমোহন ডালমিয়া স্মারক বক্তৃতা দিয়েছিলেন কপিলদেব। এ বার দ্বিতীয় বছরে সেই বক্তৃতা দেবে গ্রেম স্মিথ।’’
অসম ক্রিকেট সংস্থার বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত সৌরভ রবিবার সকালেই গুয়াহাটি উড়ে আসেন। তবে বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে পুরো খেলা দেখেননি তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের প্রথম পনেরো ওভার দেখেই ফিরে যান কলকাতায়।
মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য সৌরভের এই গুয়াহাটি সফরে কেউ কেউ বোর্ড-রাজনীতির গন্ধও পাচ্ছেন অবশ্য। যদিও কেউ এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। গুয়াহাটিতে প্রথম দিন-রাতের একদিনের ম্যাচ উপলক্ষ্যে এ দিন হাজির ছিলেন উত্তর-পূর্ব ভারতের সব রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা। এসেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সিকে খন্না। এদের সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হলে সৌরভ এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। অসম ক্রিকেট সংস্থার সচিব প্রদীপ বরগোহাঁই শুধু বলেন, ‘‘সকলেই সৌরভের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেছেন।’’
খেলা শুরুর আগে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে অসমের ঐতিহ্যবাহী গামছা ও ‘হরাই’ (কাঁসার পাত্রে পান ও তাম্বুল দিয়ে শুভ কাজে উপহার দেওয়া হয় অসমে) দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ ছাড়াও সিএবি প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেন অসম ক্রিকেট সংস্থার স্মারক পত্রিকা।
ভারতের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজও বিশ্বকাপের জন্য নবীন প্রতিভাদের চলতি সিরিজে দেখে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে কি না তা জানতে চাওয়া হলে সৌরভ বলেন, ‘‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দল তৈরি করতে গেলে আগে জিততে হবে। সেটাই আপাতত প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কারণ, আসন্ন বিশ্বকাপ যথেষ্ট আকর্ষণীয় হবে। সবার সঙ্গে সবার খেলা। সেরা চার দল যাবে সেমিফাইনালে। ফলে চমক অপেক্ষা করে থাকবে প্রতি ম্যাচেই। তাই জয়ের অভ্যাসে ফেরাটা জরুরি।’’
সাম্প্রতিক কয়েকটি সিরিজে ধোনিকে সেই আগের মেজাজে না দেখার প্রসঙ্গ উঠলে সৌরভ বলেন, ‘‘ধোনি ভালই করবে। ওর অতীত পারফরম্যান্সগুলো দেখুন। ফের নিজেকে তুলে ধরার জন্য এই সিরিজ ও আগামী সিরিজগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ ধোনির কাছে।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পৃথ্বী শ বা কে এল রাহুলদের দেখে নেওয়া যেত কি না, সে ব্যাপারে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের মত, ‘‘ওপেনিংয়ের জায়গা তৈরি রয়েছে। সেটা নিয়ে বেশি পরীক্ষা না করাই ভাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy