Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ

সুহেরের গোলে সেমিফাইনালে মোহনবাগান

শুক্রবার ‘এ’ গ্রুপে তাদের শেষ খেলায় মোহনবাগান ১-০ হারাল চট্টগ্রাম আবাহনীকে। ৬০ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সুহের ভি পি।

 নায়ক: ৬০ মিনিটে গোল করে দলকে জেতালেন সুহের। ফাইল চিত্র

নায়ক: ৬০ মিনিটে গোল করে দলকে জেতালেন সুহের। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৩৭
Share: Save:

মোহনবাগান ১ • চট্টগ্রাম আবাহনী ০

প্রথম ম্যাচে লাওসের দল ইয়ং এলিফ্যান্টস এফসি-র বিরুদ্ধে হারের পরে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনা। কিন্তু সেই স্পেনীয় কোচের মগজাস্ত্রের প্রয়োগেই শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের সেমিফাইনালে উঠলেন ফ্রান গঞ্জালেসরা।

শুক্রবার ‘এ’ গ্রুপে তাদের শেষ খেলায় মোহনবাগান ১-০ হারাল চট্টগ্রাম আবাহনীকে। ৬০ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সুহের ভি পি। জয়ের পরে ম্যাচ সেরা মোহনবাগান মিডফিল্ডার ফ্রান গঞ্জালেসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘প্রথম ম্যাচে হারলেও আমরা আত্মবিশ্বাস হারাইনি। জানতাম নিজেদের ছন্দে খেলতে পারলে শেষ চারে জায়গা করে নেওয়া যাবে। সেই লক্ষ্যে আমরা সফল।’’

প্রথম ম্যাচে হারের পরে দ্বিতীয় ম্যাচে মলদ্বীপের টিসি স্পোর্টস-কে মোহনবাগান ২-০ হারানোয় সুবিধাজনক জায়গায় ছিল কিবুর দল। কারণ ইয়ং এলিফ্যান্টস এর আগের ম্যাচে মোহনবাগানের এ দিনের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনীর বিরুদ্ধে ২-৪ হেরেছিল। গোলপার্থক্যে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল কিবুর দল।

এ দিন মোহনবাগানের ম্যাচের আগে ইয়ং এলিফ্যান্টস এফসি ২-১ হারায় টিসি স্পোর্টস ক্লাবকে। ফলে আরও সুবিধা হয়ে যায় মোহনবাগানের। চট্টগ্রাম আবাহনীকে এক গোলের ব্যবধানে হারালেই সেমিফাইনালের দরজা খুলে যেত মোহনবাগানের। তার উপর আগেই সেমিফাইনালে চলে যাওয়ায় এ দিন গোলকিপার-সহ প্রথম দলের ছয় ফুটবলারকে বিশ্রাম দিয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। ফলে শুরু থেকে জয়ের জন্য ঝাঁপান সুহের, জোসেবা বেইতিয়ারা।

মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনা এ দিন দল সাজিয়েওছিলেন বুদ্ধি করে। গোলে দেবজিৎ মজুমদারকে রেখে রক্ষণ জোরদার করে প্রতি-আক্রমণভিত্তিক খেলায় মনোনিবেশ করেছিলেন তিনি। তাই রক্ষণের দুই প্রান্তে লালরাম চুলোভা ও ধনচন্দ্র সিংহকে রেখে তিনি স্টপারে খেলিয়েছিলেন ড্যানিয়েল সাইরাস ও ফ্রান মোরান্তেকে। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে কিবু রেখেছিলেন শিল্টন ডি’সিলভা ও ফ্রান গঞ্জালেসকে। আর স্ট্রাইকার সুহেরের পিছনে তিনি রেখেছিলেন জোসেবা বেইতিয়াকে। যার ফলে রক্ষণ পোক্ত রেখে গোলের জন্য ঝাঁপাতে পারছিল মোহনবাগান।

কিন্তু প্রথমার্ধে সুযোগ তৈরি করেও গোল পায়নি মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বল বিপক্ষের বক্সে ধরে, ঘাড়ের কাছে থাকা ডিফেন্ডারকে নিয়ে চকিতে ঘুরে, ডান পায়ের জোরালো ভলিতে গোল করে যান সুহের। ফলে তিন ম্যাচে ইয়ং এলিফ্যান্টসের সমসংখ্যক পয়েন্ট (৬) পেলেও গোলপার্থক্যে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় মোহনবাগান।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy