আকর্ষণ: প্রথম সেটে হেরেও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন সেরিনার। রয়টার্স
গত বছর তাঁর ‘ক্যাট স্যুট’ পরে ফরাসি ওপেনে নামা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এ বারও নতুন পোশাকে রোলঁ গ্যারোজে ঝড় তুলে দিলেন সেরিনা উইলিয়ামস। জেব্রার মতো ডোরাকাটা পোশাকে প্রথম রাউন্ডে নেমেছিলেন সোমবার মার্কিন তারকা। তাঁর পোশাকে আবার ফরাসি ভাষায় লেখা ‘মা, চ্যাম্পিয়ন, রানি, দেবী’। অভিনব এই পোশাক দেখার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তরা কেউ কেউ তাঁর প্রশংসা করেন। কেউ আবার বলতে থাকেন, পোশাক নিয়ে মাতামাতি না করে খেলায় মন দাও। ম্যাচে নামার পরে আবার প্রথম সেটে হেরেও যান সেরিনা। শেষ পর্যন্ত সেই ধাক্কা সামলে দ্রুত ফিরেও আসেন তিনি বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৮৩ নম্বর ভিতালিয়া দিয়াচেঙ্কোর বিরুদ্ধে। সেরিনা জেতেন ২-৬, ৬-১, ৬-০। যা তাঁর খেলোয়াড় জীবনের ৮০০তম জয়।
পুরুষদের সিঙ্গলসে রাফায়েল নাদাল এ দিন তাঁর ১২ নম্বর রোলঁ গ্যারোজ খেতাব জয়ের অভিযান শুরু করলেন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে। জার্মানির যোগ্যতা অর্জন পর্ব পেরিয়ে আসা ইয়ানিক হ্যানম্যানকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিলেন স্প্যানিশ মহাতারকা। ফল ৬-২, ৬-১, ৬-৩। ফরাসি ওপেনে নাদালের জয়-হারের পরিসংখ্যান দাঁড়াল ৮৭-২। ম্যাচের পরে নাদাল বলেন, ‘‘যে ভাবে প্রথম রাউন্ডে খেলেছি তাতে খুশি। সত্যি বলতে গত বছর ইয়ানিককে আমি মিউনিখে খেলতে দেখেছিলাম আলেকজান্ডার জেরেভের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচটা মাথায় রেখেই নেমেছিলাম। তার পরে ইউটিউবেও ওর কয়েকটা ম্যাচ দেখে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।’’
নাদালের মতোই দাপটে প্রথম রাউন্ডে জিতলেন নোভাক জোকোভিচও। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর জোকোভিচ ৬-৪, ৬-২, ৬-২ হারালেন হুবার্ট হুরকাজকে। নাদালের মতো অনন্য রেকর্ডের দৌড়ে আছেন জোকোভিচও। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দ্বিতীয় বার ওপেন যুগে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম টানা জেতার রেকর্ড। সেই লক্ষ্যে প্রত্যাশামতোই শুরু করলেন শীর্ষবাছাই। ম্যাচের পরে তিনি বলেন, ‘‘প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ পেলে আমার ভালই লাগে। তাতে প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই তীব্রতাটা ধরে রাখা সহজ হয়ে যায়। হুবার্টের বিরুদ্ধে সরকারি ম্যাচে মুখোমুখি না হলেও বলব, ও খুব ভাল প্রতিদ্বন্দ্বী।’’
মেয়েদের সিঙ্গলসে আবার পঞ্চম বাছাই অ্যাঞ্জেলিক কের্বেরের পরে এ বার ১৩ নম্বর বাছাই ক্যারোলিন ওজনিয়াকি তিন সেটের লড়াইয়ে ছিটকে গেলেন বিশ্বের ৭৪ নম্বর ভেরোনিকা কুদেরমেতোভার কাছে হেরে। পাশাপাশি দু’বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন পেত্রা কুইটোভা আবার হাতের চোটে প্রথম রাউন্ডে ম্যাচে নামার আগে সরে দাঁড়ান।
নাদালের শুরুটা এ দিন অপ্রত্যাশিত ভাবে হয়। ফিলিপ শঁতিয়ে কোর্টে ঢোকার মুখেই একটি ক্যামেরায় তাঁর মাথা ঠুকে যায়। প্রথম সেটেও নিজের সার্ভিস ধরে রাখতে চারটি ব্রেক পয়েন্ট সামলাতে হয় তাঁকে। তবে ওইটুকুই। এর পরে ফিলিপ শঁতিয়ে স্টেডিয়ামের দর্শকরা যা দেখতে থাকেন তাকে একটাই কথা বলা যায়— একপেশে ম্যাচ। কাগজে-কলমে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একই গ্র্যান্ড স্ল্যাম ১২ বার জিতে অনন্য নজির গড়ার পথে নাদালের সেমিফাইনাল পর্যন্ত সে রকম বড় কোনও বাধা নেই। শুধু শেষ আটে সপ্তম বাছাই কেই নিশিকোরি তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy