হুঙ্কার: হালেপকে হারানোর পথে সেরিনা। মঙ্গলবার মেলবোর্নে।
মেলবোর্ন পার্কে আর দুটো ম্যাচ জিতলেই মার্গারেট কোর্টের সর্বাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন সেরিনা উইলিয়ামস। মঙ্গলবার ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী ৬-৩, ৬-৩ সিমোনা হালেপকে হারিয়ে নবম বার এই প্রতিযোগিতার
সেমিফাইনালে উঠলেন।
৩৯ বছর বয়সি মার্কিন তারকা দ্বিতীয় বাছাই রোমানিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়েছেন। ২৪টি উইনারের পাশাপাশি সেরিনার আনফোর্সড এররের সংখ্যা ৩৩। ২০১৭ সালের অস্ট্রেলীয় ওপেনের পরে সেরিনা আর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেননি। শেষ চারে নেয়োমি ওসাকার মুখোমুখি হবেন সেরিনা। ২০১৮ যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে যে ওসাকা হারিয়েছিলেন সেরিনাকে।
হালেপ গত বছর অস্ট্রেলীয় ওপেনের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি মেলবোর্ন পার্কের ফাইনালিস্টও। ফরাসি ওপেন এবং উইম্বলডন, এই দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার পরে তৃতীয় ট্রফি এখনও অধরাই তাঁর। তাঁকে হারানোর পরে সেরিনা বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় এ বারের প্রতিযোগিতায় এটাই আমার সেরা ম্যাচ। জানি প্রচুর অবাঞ্ছিত ভুল করছিলাম। তবে আমারও ভাল খেলার সুযোগ আছে, সেটাও জানতাম। সেটা মাথায় রেখেই এগিয়ে গিয়েছি। বিশ্বের দু’নম্বরের বিরুদ্ধে আমি যে রকম চেয়েছিলাম খেলতে পেরে খুব খুশি।’’
বিশ্বের তিন নম্বর নেয়োমি ওসাকা কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পরে হারেননি। তাঁর রেকর্ড এ বার মেলবোর্ন পার্কে বজায় থাকলে ২৪তম জন্মদিনের আগেই চতুর্থ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয় হবে তাঁর। তার আগে অবশ্য শেষ চারে সেরিনাকে হারাতে হবে তাঁকে। মঙ্গলবার ওসাকা ৬-২, ৬-২ তাইওয়ানের সিয়ে সু ওয়েইকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠেন। ৩৫ বছর বয়সি তাইওয়ানের খেলোয়াড় মেয়েদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি বয়েসে কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের শেষ আটে ওঠার রেকর্ড গড়েছিলেন। তিনি হারের পরে স্পনসর নিয়ে চিন্তিত। বলেছেন, ‘‘আমি ভাল খেললে আমার টিমের বেতন দিতে পারি। ভাল না খেলতে পারলে টিমকে বেতন দেওয়াটা সমস্যা হয়ে যায়। স্পনসর খুঁজতে গিয়ে আগে ব্যর্থ হয়েছি। আমার যা বয়স, এখন এতে বেশি সময়ও নষ্ট করা যাবে না।’’ তাঁকে হারিয়ে ওসাকা বলেন, ‘‘আজ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আমাকে পরিকল্পনা নিয়ে নামতেই হত। সেটাই করেছি। কারণ ও এমন প্রতিপক্ষ যার বিরুদ্ধে ম্যাচটা কোন দিকে যাবে আমি নিশ্চিত ছিলাম না।’’ ২০১৯ সালে মায়ামিতে সিয়ে
হারিয়েছিলেন ওসাকাকে।
করোনার জন্য পাঁচ দিনের লকডাউন শেষ হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলীয় ওপেনে দর্শকদের স্টেডিয়ামে ফের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। ৪৩ বছর পরে অস্ট্রেলীয় কোনও খেলোয়াড় হিসেবে এই প্রতিযোগিতা জেতার অপেক্ষা শেষ করার দৌড়ে আছেন অ্যাশলে বার্টি। ওসাকার আশা বার্টি সেই লড়াইয়ে নামার সময় স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপস্থিতির সাহায্য পাবেন। ‘‘আমি নিজে কিন্তু ফাইনালে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলেছি,’’ বলেন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন। যেখানে জৈব সুরক্ষিত বলয়ের জন্য এ বার স্টেডিয়ামে দর্শকরা ছিলেন না। ‘‘বার্টি যদি ফাইনালে ওঠে কিন্তু দর্শকরা না থাকে, সেটা স্মরণীয় হলেও ওর নিশ্চয়ই খারাপ লাগবে। ও নিশ্চয় চাইবে স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপস্থিতি। আমিও তাই চাই। যদি তাঁরা আমায় উৎসাহ নাও দেয়, তাতেও চলবে,’’ বলেন ওসাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy