লড়াকু: ইউক্রেনের নাদিয়ার সঙ্গে জুটিতে হোবার্টে ডাবলসের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন সানিয়া। গেটি ইমেজেস
পেশাদার টেনিস সার্কিটে জয় দিয়ে প্রত্যাবর্তন ঘটালেন সানিয়া মির্জা। হোবার্ট আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ডাবলসের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন সানিয়া এবং ইউক্রেনের নাদিয়া কিচেনকের জুটি।
দু’বছর পরে সার্কিটে ফিরে সানিয়া-নাদিয়া জুটি ২-৬, ৭-৬ (৩), ১০-৩ হারান জর্জিয়ার ওকসানা কালাশনিকোভা এবং জাপানের মিয়ু কাটোকে। লড়াই চলে প্রায় এক ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শেষ আটে ইন্দো-ইউক্রেনীয় জুটি মুখোমুখি হবে আমেরিকার ভানিয়া কিং ও ক্রিস্টিনা ম্যাকহালের। মার্কিন জুটি হারায় চতুর্থ বাছাই স্পেনের জর্জিনা গার্সিয়া পেরেজ ও সারা সোরিবেস টর্মোকে ৬-২, ৭-৫।
যে দু’বছর সানিয়া টেনিস প্রতিযোগিতার বাইরে ছিলেন তাতে চোট কাটিয়ে ওঠার লড়াইও করতে হয়েছে তাঁকে। এর পরই তিনি ছুটি নেন মা হওয়ার জন্য। ২০১৮ সালে পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক ও সানিয়ার ছেলে ইজ়হানের জন্ম। মায়ের সঙ্গে ম্যাচ দেখতে এ দিন উপস্থিত ছিল ইজ়হানও। ছেলের সঙ্গে ম্যাচের পরে ‘হাই ফাইভ’ করার ছবি টুইট করে সানিয়া লিখেছেন, ‘‘আজ আমার জীবনের বিশেষ একটা দিন। এত দিন পরে আমার প্রথম ম্যাচ দেখতে বাবা-মা ও আমার ছোট্ট সোনা ছিল এবং আমরা প্রথম রাউন্ডে জিতে গিয়েছি। যে ভাবে সবাই আমায় সমর্থন করছেন, দারুণ লাগছে। বিশ্বাস থাকলে অনেক কিছুই হয়।’’
সানিয়া এবং কিচেনকের জুটি অবশ্য ম্যাচের শুরুটা ভাল করতে পারেননি। দু’বার ডাবল ফল্ট করার পাশাপাশি সাতটি ব্রেক পয়েন্ট কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন সানিয়ারা। সার্ভিসও খোয়ান দু’বার। যা কাজে লাগিয়ে প্রথম সেট ২-৬ হাতছাড়া হয়ে যায় তাঁদের। তবে দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান সানিয়ারা। দুটো দলই তিনটি করে ব্রেক পয়েন্ট কাজে লাগালে এই সেট গড়ায় টাইব্রেকারে। সানিয়া এবং কিচেনক এই সময় ধৈর্য ধরে প্রতিপক্ষদের থেকে এগিয়ে থেকে সেট জয় নিশ্চিত করেন। তৃতীয় সেটে আরও ছন্দে দেখা যায় ইন্দো-ইউক্রেনীয় জুটিকে। বিশেষ করে সার্ভিস রিটার্নের ক্ষেত্রে। সেই দাপটেই সেট ও ম্যাচ দখল করে নেন সানিয়ারা।
শেষ বার সানিয়া কোর্টে নেমেছিলেন ২০১৭ সালের অক্টোবরে চিন ওপেনে। যেখানে হাঁটুতে চোট পান তিনি। ভারতীয় টেনিসের রানি সানিয়া মেয়েদের ডাবলসে প্রাক্তন এক নম্বর এবং ছ’টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। ভারতীয় মহিলা টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে যে রেকর্ড আর কারও নেই। ২০০৭ সালে ডব্লিউটিএ সিঙ্গলস র্যাঙ্কিংয়ে সানিয়া ২৭ নম্বরে উঠে এসেছিলেন। যা তাঁর খেলোয়াড় জীবনে সিঙ্গলসে সেরা র্যাঙ্কিং। কিন্তু এর পরেই কব্জি ও হাঁটুর চোটে ভুগতে হয়েছে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy