আপ্লুত: গুরুপ্রসাদের (ডান দিকে) কথা শুনে এলবো গার্ড বদলান সচিন।
উনিশ বছর আগে তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এক তরুণ। সেই ঘটনার কথা আজও ভোলেননি সচিন তেন্ডুলকর। টুইট করে সে কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার কাছে আবেদন রেখেছিলেন সচিন, ‘‘আমি জানি না ওই ছেলেটি এখন কোথায় আছে। ওর সঙ্গে দেখা করার খুব ইচ্ছে আমার। সোশ্যাল মিডিয়া কি সেই ছেলেটিকে খুঁজে পেতে আমাকে সাহায্য করবে?’’
টুইটার মারফত সচিনের আবেদন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার কিছু ঘণ্টা বাদেই খুঁজে পাওয়া যায় সেই ব্যক্তিকে। তামিলনাড়ুর পেরামবুরের বাসিন্দা গুরুপ্রসাদ বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছেন সচিনের টুইটের কথা জানতে পেরে। তিনি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না, প্রায় দু’দশক আগের ঘটনা এখনও মনে রেখেছেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।
কী ঘটেছিল সে দিন চেন্নাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে? টুইটারে একটি ভিডিয়ো বার্তায় সচিন বলেছেন, ‘‘চেন্নাইয়ে একটি টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন আমার সঙ্গে এক হোটেলকর্মীর দেখা হয়েছিল। আমি তখন এলবো গার্ড পরে ব্যাট করছিলাম। ওই হোটেলকর্মীর সঙ্গে ওই এলবো গার্ড পরা নিয়ে কথা হয়। যার পরে আমি এলবো গার্ডের নকশাটা একটু বদলে নিই।’’
আরও পড়ুন: পাকিস্তান যেতে ক্রিকেটারদের চাপ দেওয়া হবে না, জানিয়ে দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড
কনুইয়ের চোট থেকে বাঁচতে ব্যাটসম্যানরা সাধারণত ওই ‘এলবো গার্ড’ পরে ব্যাট করেন। কেন তিনি সেই ‘এলবো গার্ড’ বদলে নিয়েছিলেন? সে দিন কী বলেছিলেন ওই হোটেলকর্মী? টুইটারে পোস্ট করা ওই ভিডিয়োয় সে সবই বলেছেন সচিন। সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের কথায়, ‘‘আমার সঙ্গে হোটেলে দেখা হয়েছিল ওর। তখন ও আমাকে বলে, ‘আমি কি আপনার ব্যাটিং নিয়ে একটা কথা বলতে পারি? আমি দেখেছি, আপনি যখনই এলবো গার্ড ব্যবহার করেন, তখনই আপনার ব্যাটের সুইং বদলে যায়।’ ছেলেটা বলেছিল, ও আমার অন্ধ ভক্ত। আমার খেলা প্রতিটা বল ছ’-সাত বার রিপ্লে দেখে।’’
ছেলেটির কথা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সচিন। এর আগে কেউ তাঁকে এই ব্যাপারটা বলেননি। সচিন বলেছেন, ‘‘ওর কথা শুনে আমি বলি, ‘ঠিক ধরেছ। বিশ্বের তুমিই একমাত্র লোক যে, এটা বুঝতে পেরেছ।’ আপনারা হয়তো বিশ্বাস করবেন না, আমি মাঠ থেকে হোটেলে ফেরার পরে এলবো গার্ডটা নিয়ে পড়ি। তার পরে গার্ডের নকশাটা বদলে ফেলেছিলাম। ঠিক মাপ, কোথায় বেশি প্যাডিং হওয়া উচিত, গার্ডের স্ট্র্যাপটা কোথায় থাকবে, এ সব নিয়ে ভাবনা চিন্তা করি।’’
সচিনের বক্তব্য জানার পরে আপ্লুত গুরুপ্রসাদ বলেছেন, ‘‘আমি ওই হোটেলের নিরাপত্তাকর্মী ছিলাম। হোটেলের লবিতে সচিনের থেকে সই নিতে গিয়েছিলাম। তখনই সচিনের অনুমতি নিয়ে ওকে ওই এলবো গার্ডের ব্যাপারটা বলি।’’ গুরুপ্রসাদ এও জানাচ্ছেন, এর পরে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরিও করেছিলেন সচিন।
সচিন নিজে জানাননি কোন টেস্টের ঘটনা। তবে গুরুপ্রসাদের কথা মতো মোটামুটি ১৯ বছর আগের ঘটনা হলে, সেটা ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে টেস্ট হতে পারে। যে টেস্টে সেঞ্চুরিও আছে সচিনের। এর পরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ডাবল সেঞ্চুরিও করেন সচিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy