আস্থা: তরুণ ব্রিগেডে ভর করেই জয় ছিনিয়ে নিলেন রোহিত। ছবি : টুইটার থেকে।
ইডেনে শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আট রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় জিতে নিয়েছে ভারত। আজ, রবিবার নিয়মরক্ষার ম্যাচ। তবে রোহিত শর্মা মনে করেন, ফিল্ডাররা বেশ কিছু ক্যাচ না ফেললে তাঁরা আরও সহজে ম্যাচ জিততে পারতেন। ভারত অধিনায়ক অবশ্য বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থ, বেঙ্কটেশ আয়ারদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত। প্রশংসা করেছেন ভুবনেশ্বর কুমার, হর্ষল পটেলের শেষের দিকের বোলিংয়েরও।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে শুক্রবার ভারত দিয়েছিল ১৮৭ রানের লক্ষ্য। দলকে জেতাতে না পারলেও অনবদ্য ব্যাটিং করেছেন নিকোলাস পুরান (৪১ বলে ৬২) ও রভম্যান পাওয়েল (৩৬ বলে অপরাজিত ৬৮)। শেষ দু’ভারে ক্যারিবিয়ান ব্যাটারদের তুলতে হত ২৯। ব্যক্তিগত ২১ রানে রবি বিষ্ণোইকে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান পুরান। তিনি অর্ধশতরান করেন ৩৪ বলে। নিজের বোলিংয়ে একবার রভম্যানের ক্যাচ ফেললেও ১৯ নম্বর ওভারে অসাধারণ বোলিং করেন ভুবনেশ্বর। দেন মাত্র চার রান। ওই ওভারে তুলে নেন পুরানকে। পাশাপাশি তাঁর করা শেষ ওভারে পর পর দু’টো বলে ছয় হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের রান তুলতে দেননি হর্ষল।
রোহিত বলেছেন, ‘‘ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে খেলার সময় একটা উদ্বেগ থেকেই যায়। জানতাম ম্যাচটা বার করা শেষপর্যন্ত কিছুটা হলেও কঠিন হয়ে যাবে। তবে আমরা প্রত্যেকেই প্রস্তুত ছিলাম। চাপের মধ্যেও পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেদের কাজটা করতে পেরেছি।’’ যোগ করেন, ‘‘এক-একটা সময় ম্যাচের পরিস্থিতি বেশ কঠিন হয়ে উঠেছিল। কিন্তু অভিজ্ঞতাই কখনও কখনও ফারাক গড়ে দেয়। যেটা দেখা গেল ভুবনেশ্বর কুমারের করা ওই ওভারে। অনেক বছর ধরেই কাজটা করে আসছে ভুবি। ওর উপরে আমাদের আস্থা ছিল।’’
যার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বরের মুখেও। ম্যাচের পরে তিনি বলেন, ‘‘নিজের উপরে বিশ্বাস ছিল। রোহিত বলেছিল, যদি আমার ওভারে ৯ থেকে ১০ রান দিই, তা হলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সমস্যায় পড়ে যাবে। তাই প্রথম থেকেই শুধু ইয়র্কার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। অথচ সে সময় খুবই শিশির পড়ছিল। তবু হাল ছাড়িনি।’’ রভম্যান পাওয়েলের মারা বড় শটগুলি নিয়ে তাঁর রসিকতা, ‘‘ও খুব জোরে শট নিচ্ছিল। মনে হয় ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগেও মেরেছে।’’
শুক্রবার ইডেনে স্বমেজাজে দেখা গিয়েছে বিরাট কোহলিকেও। প্রাক্তন অধিনায়কের প্রশংসা করে রোহিত বলেন, ‘‘ও যে ভাবে শুরু করেছিল, তাতে আমার ওপর থেকে চাপটা সরে যায়। খুব গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছে বিরাট।’’ যোগ করেন, ‘‘পরে ঋষভ পন্থ ও বেঙ্কটেশ আয়ার যে ভাবে ইনিংস শেষ করেছে, তার জন্য কোনও প্রশংসা যথেষ্ট নয়।’’
রোহিত মুগ্ধ বেঙ্কটেশের উত্থানেও। বলেছেন, ‘‘ওর মধ্যে এই পরিণতবোধটা দেখে খুব ভাল লাগছে। যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী লেগেছে। শেষ দিকে এসে তো জানতে চাইল, ওকে এক ওভার বল করতে দেব কি না।’’ রোহিতের সংযোজন, ‘‘আমরা অবশ্য বেশ কিছু ক্যাচ ফেলেছি। ফিল্ডিংও সবসময় প্রত্যাশা পূরণ করেনি। এটা নিয়ে কিছুটা হতাশ। ক্যাচ না পড়লে ম্যাচে এতটা রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না হয়তো। আরও সহজে আমরা জিততে পারতাম। এখানে ভুবনেশ্বর আর হর্ষলের কথাও বলতে হবে। শেষ দিকে ওরা আক্ষরিক অর্থেই দুরন্ত বোলিং করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy