ফেডেরার তাঁর এগারো নম্বর উইম্বলডন ফাইনালে নামবেন রবিবার।
উইম্বলডনের সেন্টার কোর্ট তখন তাঁর শৈল্পিক টেনিসে মন্ত্রমুগ্ধ। তাঁর ফোরহ্যান্ডের বিরুদ্ধে কোনও জবাব খুঁজে পাচ্ছেন না টমাস বার্ডিচ। কয়েক বছর আগে ধরা হয়েছিল টেনিসে তাঁর শাসনের দিন শেষ। কিন্তু কী ভুলটাই না ভাবা হয়েছিল। তিনি প্রমাণ করেছেন, ফর্ম সাময়িক কিন্তু প্রতিভা চিরস্থায়ী। আজও তাঁর হাতে র্যাকেট মানে নতুন কোনও রূপকথা। শুক্রবার আবার সেটারই সাক্ষী থাকল টেনিসবিশ্ব।
তিনি— রজার ফেডেরার। টমাস বার্ডিচকে স্ট্রেট সেটে ৭-৬, ৭-৬, ৬-৪ হারিয়ে উইম্বলডন ফাইনালে উঠলেন ফেডেরার। রূপকথার ১৯ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম ও কিংবদন্তির মাঝখানে এখন শুধু মারিন চিলিচ।
সেন্টার কোর্টকে আরও এক দাপুটে জয় উপহার দিয়েছেন। এগারো নম্বর উইম্বলডন ফাইনালে নামবেন রবিবার। ফেডেরারের কাছে পুরো জিনিসটাই যেন স্বপ্নের মতো। যিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না আর এক উইম্বলডন ফাইনালে খেলতে চলেছেন তিনি। ‘‘আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না উইম্বলডন ফাইনালে খেলব। খুব কম খেলোয়াড় আছে যারা সেন্টার কোর্টে ফাইনাল খেলার সুযোগ পায়। আমি সেখানে এত বার ফাইনালে খেলব ভেবেই দারুণ লাগছে,’’ বলছেন ফে়ডেরার।
আরও পড়ুন: ফেডেরারকে সমর্থন করতে উইম্বলডনের আসরে সচিন
চিলিচের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে শনিবার পুরো বিশ্রামে থাকতে চান আঠারো বার গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী খেলোয়াড়। ‘‘ফাইনালের আগের দিনটা বিশ্রামে থাকতে চাই। গোটা বছর কী রকম খেলেছি সেটা নিয়ে ভাবতে হবে,’’ বলছেন সাত বার উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন।
অতিথি: ফেডেরার শো দেখতে উইম্বলডনে সস্ত্রীক সচিন। ছবি: এএফপি
কোর্টে যখন ফেডেরার একের পর এক সুন্দর শট মারছেন, গ্যালারিতে তখন দর্শক ক্রিকেটের কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর। সচিন বরাবর স্বীকার করেছেন তিনি টেনিস-ভক্ত। গত কয়েক বছরের মতো তাই ফের উইম্বলডন দেখতে হাজির মাস্টার ব্লাস্টার। ‘‘গত দশ বছর ধরেই রজারের খেলা দেখছি। ওকে সমর্থন করতেই আমি এসেছি। ওকে আমি শ্রদ্ধা করি,’’ বলছেন সচিন।
ফেডেরারের আগে অবশ্য সেন্টার কোর্ট সাক্ষী থাকল দাপুটে চিলিচের। উইম্বলডনের জায়ান্ট কিলার স্যাম কোয়েরিকে চার সেটের লড়াইয়ে ৬-৭ (৬), ৬-৪, ৭-৬ (৩), ৭-৫ হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়। ‘‘উইম্বলডনের ফাইনালে ওঠা আমার কাছে বড় একটা কৃতিত্ব। এ বছর যা টেনিস খেলছি তাতে আমি আত্মবিশ্বাসী,’’ বলছেন চিলিচ।
তিন বছর আগেও যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন ফেডেরার ও চিলিচ। যে ম্যাচে স্ট্রেট সেটে জিতে ফাইনালে ওঠেন চিলিচ। ফেডেরার তাই তো সতর্ক। ‘‘যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের সেই ম্যাচে আমাকে খারাপ ভাবে হারিয়েছিল চিলিচ। আশা করছি এ বার সে রকম কিছু হবে না,’’ বলছেন ফে়ডেরার। গত বছর ছ’মাস বিশ্রামে থেকে আবার যেন সেই ছন্দ ফিরে পেয়েছেন। ফেডেরার বলছেন, ‘‘এক সময় ভাবতাম আর হয়তো সেন্টার কোর্টে কোনওদিন খেলতে পারব না। কিন্তু টেনিস থেকে কয়েক মাস বিশ্রাম নেওয়া কাজে দিয়েছে।’’
এসডব্লিউ ১৯-এ কি রবিবার নিজের রূপকথার ১৯ জিততে পারবেন ফেডেরার সেটা সময়েই বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy