আইপিএলে নাইটদের জার্সিতে সাফল্য পেয়েছিলেন উথাপ্পা। —ফাইল চিত্র।
মানসিক চাপে ভুগছিলেন। এমনকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন। যা কাটিয়ে উঠতে বাইরে থেকে সাহায্যের দরকার হয়েছিল। এমনটাই জানালেন জাতীয় দল ও নাইট রাইডার্সের প্রাক্তনী রবিন উথাপ্পা।
জাতীয় দলের হয়ে ২০০৬ সালে অভিষেক ঘটেছিল কর্নাটকির। ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলেও তিনি ছিলেন। কিন্তু, অফসিজনে যখন ক্রিকেট খেলতে পারতেন না তখন মানসিক সমস্যা গ্রাস করছিল তাঁকে। সেই সময়ই পরামর্শের দরকার হয়ে পড়েছিল তাঁর। রয়্যাল রাজস্থান ফাউন্ডেশনের তরফে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উথাপ্পা জানিয়েছেন যে, নিজেকে বুঝতে বাইরে থেকে সাহায্যের প্রয়োজন হয়েছিল তাঁর।
আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে সর্বকালের সেরা আইপিএল একাদশ বেছে বিতর্কে হার্দিক
আরও পড়ুন: ভাল ক্যাপ্টেন হওয়ার মন্ত্র কী? টিপস দিলেন সৌরভ
বর্তমানে আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের ক্রিকেটার বলেছেন, “২০০৬ সালে যখন আমার অভিষেক ঘটেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তখন নিজের সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন ছিলাম না। তখন থেকে অনেক কিছু শিখেছি, উন্নতির রাস্তায় থেকেছি। এখন আমি নিজের সম্পর্কে সজাগ। নিজের ভাবনাচিন্তা ও নিজের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রয়েছে। কোথাও কখনও ভুল হলে তা শুধরে নেওয়া এখন আমার পক্ষে অনেক সহজ। আমার এই জায়গায় আসার কারণ হল অতীতে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়া। যখন মানসিক ভাবে হতাশ থাকতাম।আত্মহত্যা করার ভাবনাও মাথায় আসত। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত স্পষ্ট মনে আছে যে, প্রতি দিনই এই ধরনের ভাবনার বিরুদ্ধে লড়তে হত।”
সেই সময় কী ভাবে কাটত দিন? উথাপ্পা বলেছেন, “এমন অনেক সময় গিয়েছে যখন ক্রিকেটের কথা একেবারেই মাথায় আসত না। সবচেয়ে দূরের ভাবনা তখন ছিল ক্রিকেট। ভাবতাম যে, কী ভাবে যে আজকের দিনটা কাটবে। পরের দিনটা কী ভাবে আসবে। ভাবতাম আমার জীবনে কী ঘটবে, কোন পথে আমি চলব। যে দিন খেলা থাকত না, সে দিন আর অফসিজনে খুব কঠিন হয়ে পড়ত। এক এক সময় মনে হত তিন গোনার পর দৌড়ে গিয়ে ব্যালকনি থেকে লাফ দেব। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক, নিজেকে সামলে ফেলতে পেরেছিলাম। তখন ডায়েরি লিখতে শুরু করি। নিজেকে বুঝতে চেষ্টা করি। নিজের জীবনে যে পরিবর্তনগুলো করতে চাই সেগুলো করার জন্য বাইরে থেকে সাহায্য নিয়ে আসি।”
আরও পড়ুন: সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের, জিজ্ঞাসাবাদও করা হল শোয়েব আখতারকে
আরও পড়ুন: ‘কেরিয়ারের প্রথম ৮ বলে ২৬ রান দিয়ে ভেবেছিলাম কেরিয়ারটাই শেষ, ভাগ্যিস ধোনি ছিল!’
জীবনে নেতিবাচক দিকেরও যে প্রয়োজন রয়েছে তা মনে করিয়ে দিয়েছেন উথাপ্পা। বলেছেন, “কখনও কখনও নেগেটিভও যে জরুরি, তা অনুভব করেছি। আমি জীবনে ভারসাম্যে বিশ্বাসী। জীবনে সবসময় পজিটিভ থাকা যায় না বলে বিশ্বাস করি। বেড়ে ওঠার জন্য নেতিবাচক অভিজ্ঞতারও প্রয়োজন। আমার সব অভিজ্ঞতাই নিজেকে এই জায়গায় আনতে সাহায্য করেছে। নেতিবাচক অভিজ্ঞতার জন্য আমার মনে কোনও আফশোস নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy