Reasons behind India’s win against West Indies in second ODI dgtl
cricket
বিরাটের শতরান নাকি ভুবির চার উইকেট, ভারতের জয়ের আসল কারণ কী
প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় তিন ম্যাচের সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই সিরিজ হারের থেকে ছিল মুক্তি। সেই কাজটাই সেরে রাখল ভারত। দেখে নেওয়া যাক এই জয়ের পিছনের কারণগুলো কী কী।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ১২:১৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১১
প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় তিন ম্যাচের সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই সিরিজ হারের থেকে ছিল মুক্তি। সেই কাজটাই সেরে রাখল ভারত। দেখে নেওয়া যাক এই জয়ের পিছনের কারণগুলো কী কী।
০২১১
ওপেনাররা ব্যর্থ হলেও পরিত্রাতা হয়ে দাঁড়ান অধিনায়ক কোহালি। ঝকঝকে ১২০ রানের ইনিংস খেলে তিনি প্রমাণ করেন যে ‘ফর্ম ইজ টেম্পরারি বাট ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাই বিরাটকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দেয়। প্রথম ওভারেই গব্বরের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ভারত।
০৩১১
সেখান থেকে দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে ইনিংস গড়ার কাজ শুরু করেন কোহালি। এদিন তিনি যে শুধু সৌরভ, মিয়াঁদাদের রেকর্ড ভাঙেন তাই নয়, সেঞ্চুরি করে হয়ে যান এই দুই দেশেরমধ্যে হওয়া সিরিজে সর্বাধিক সেঞ্চুরির মালিক।
০৪১১
তবে এদিন তিনি সঙ্গ দেওয়ার জন্য পেয়ে যান শ্রেয়াস আইয়ারকে। প্রায় এক বছর পর দলে সুযোগ পেয়ে শ্রেয়াস একটুও দেরি করেননি সুযোগের সদ্বব্যবহার করতে। ৬৮ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলে তিনি ভারতের রান ২৫০ পেরোতে সাহায্য করেন।
০৫১১
এদিনও ব্যর্থ কেদার যাদব। বিশ্বকাপের আগে হারানো ফর্ম আজও খুঁজে পাননি তিনি। তবে রান আউট সব সময়েই দুর্ভাগ্যের। জাডেজাও মাত্র ১৬ রান করেই ফিরে যান। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা শ্রেয়াস এসে ঢেকে দিলেও লোয়ার মিডল অর্ডারে ধস নামে।
০৬১১
কিন্তু সেই ব্যর্থতা পোর্ট অব স্পেনে বড় হয়ে দেখা দেয়নি বোলারদের কৃতিত্বে। ভুবি-শামিদের দাপটে কখনওই স্বস্তিতে ছিল না ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং।
০৭১১
শুরুতে ভুবি-খলিল ও শেষে শামির আক্রমণে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবিয়ান শিবির। মাঝে তাঁদের সঙ্গে যোগ হয় কুলদীপ ও জাডেজার স্পিনের ভেল্কি। এভিন লিউয়িস ছাড়া কেউই আশা জাগাতে পারেনি।
০৮১১
ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং-এর মুখ হয়ে ওঠেন লিউয়িস ও পুরান। তাঁদের ব্যাটে ভর করেই দুশো পেরোয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
০৯১১
ভুবনেশ্বর কুমারের নেওয়া চার উইকেট এদিন ভারতের জয় নিশ্চিত করে। আট ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়েছেন তিনি। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানরা বরাবরই ভুবির প্রিয় শিকার। রবিবারও তার অন্যথা হয়নি।
১০১১
ভাল বল করেন কুলদিপ ও খলিল আহমেদও। ভারতের এই জয় অবদান রয়েছে তাঁদেরও। পুরো বোলিং বিভাগই আজ দারুণ ভাবে ভারতকে জয় এনে দেয়। এই পারফরমান্স মুখে হাসি ফোটাবে বিরাটেরও।
১১১১
শেষ ম্যাচ জিতে একদিনের সিরিজেও হোয়াইট ওয়াশ করার স্বপ্ন দেখছে বিরাট বাহিনী। সেই কাজ শেষ করতে অপেক্ষা আর মঙ্গলবারের। সেই দিন আবার এই মাঠেই মুখোমুখি দুই দল সিরিজের শেষ ম্যাচে।