Reason behind India's defeat in 1st ODI at Chennai agaist West Iindies dgtl
Shimron Hetmyer
বোলারদের ব্যর্থতাতেই কি চিপকে ধরাশায়ী হল কোহালির ভারত?
প্রথমে ব্যাট করে ২৮৭ তুলেছিল ভারত। ৩০০ বলের ক্রিকেটে নিশ্চিত জয়ের স্কোর না হলেও রীতিমতো ভদ্রস্থ রান। এই রান হাতে থাকলে বোলারদের আক্রমণের রাস্তায় থাকতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু চিপকে রবিবার ১৩ বল বাকি থাকতেই হেলায় ম্যাচ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যে দাপটে ১-০ এগিয়ে গেল ক্যারিবিয়ানরা, তাতে দুশ্চিন্তা বাড়ার কথা টিম ম্যানেজমেন্টের।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৪৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
কেন হারল ভারত? প্রথম কারণ অবশ্যই শিমরন হেটমায়ার। যাঁকে এ বার থেকে ‘হিট’মায়ার বলেও ডাকা যেতে পারে। ১০৬ বলে ১৩৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন তিনি। যাতে ১১টি চার ও সাতটি ছয়। এই ইনিংস একদিনের ক্রিকেটে সেরাগুলোর তালিকায় নিঃসন্দেহে ঢুকে পড়বে।
০২১২
কেন হারল ভারত? প্রথম কারণ অবশ্যই শিমরন হেটমায়ার। যাঁকে এ বার থেকে ‘হিট’মায়ার বলেও ডাকা যেতে পারে। ১০৬ বলে ১৩৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন তিনি। যাতে ১১টি চার ও সাতটি ছয়। এই ইনিংস একদিনের ক্রিকেটে সেরাগুলোর তালিকায় নিঃসন্দেহে ঢুকে পড়বে।
০৩১২
হেটমায়ার হলেন পাওয়ার হিটার। শক্তিনির্ভর ব্যাটিং তাঁর। ব্যাকফুটেও স্পিনারকে অনায়ারে ছয় মারলেন তিনি। বিশেষ করে মিড উইকেট, লং অনের উপর দিয়ে গ্যালারিতে আছড়ে ফেললেন স্পিনারদের। তাঁর এই মেজাজের সামনে দিশেহারা দেখাল ভারতকে। তালগোল পাকিয়ে গেল যাবতীয় পরিকল্পনা।
০৪১২
শেই হোপও করলেন সেঞ্চুরি। কিন্তু তার ব্যাটিং স্টাইল অন্যরকম। হেটমায়ার যখন ঝড় তুলছেন, হোপ তখন ধীরে-সুস্থে খেলে ম্যাচটাকে টেনে নিয়ে গেলেন শেষ পর্যন্ত। তুলনায় অনেক মন্থর খেললেন তিনি। পঞ্চাশ এল ৯২ বলে। ১০০ এল ১৪৯ বলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত থাকলেন তিনি। ফিরলেন দলকে জিতিয়ে।
০৫১২
শেই হোপও করলেন সেঞ্চুরি। কিন্তু তার ব্যাটিং স্টাইল অন্যরকম। হেটমায়ার যখন ঝড় তুলছেন, হোপ তখন ধীরে-সুস্থে খেলে ম্যাচটাকে টেনে নিয়ে গেলেন শেষ পর্যন্ত। তুলনায় অনেক মন্থর খেললেন তিনি। পঞ্চাশ এল ৯২ বলে। ১০০ এল ১৪৯ বলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত থাকলেন তিনি। ফিরলেন দলকে জিতিয়ে।
০৬১২
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে পরাজয়ের পর বোলিং নিয়ে অন্য পথে হেঁটেছিল ভারত। মাঝের ওভারগুলোয়া উইকেট তোলার উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। সেই লক্ষ্যে চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব ও লেগস্পিনার যুজভেন্দ্র চহাল ক্রমশ নিয়মিত হয়ে উঠেছিলেন দলে। কিন্তু রিস্ট স্পিনাররা এখন বিরাট কোহালির দলে নিয়মিত নন।
০৭১২
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মার খাওয়ার পর শেষ টি-টোয়েন্টিতে দলে ছিলেন না চহাল। রবিবার চিপকেও দলের বাইরে থাকলেন তিনি। যদিও ক্রিকেটমহল মনে করছিল, বিখ্যাত ‘কুল-চা’ জুটিকে দেখা যেতে পারে। কিন্তু তা হয়নি। আর এই ম্যাচে দেখাও গেল যে মাঝের ওভারগুলোয় বিপক্ষকে আটকে রাখা যাচ্ছে না।
০৮১২
কুলদীপ চিপকে খারাপ বোলিং করেননি। কিন্তু ভাগ্য তাঁর সঙ্গে ছিল না। ব্যাটসম্যানকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেও উইকেট পাননি তিনি। তিনি ১০ ওভারে দিলেন ৪৫ রান। ভারতের সবচেয়ে কৃপণ বোলার তিনিই। কিন্তু তাঁর কাছে কৃপণতা নয়, উইকেট চাইছিল ভারত। সেটাই হল না।
০৯১২
বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা ছিলেন দলের চতুর্থ বিশেষজ্ঞ বোলার। কিন্তু এদিনের পর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। ১০ ওভারে ৫৮ রান দিলেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা, ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে পারলেন না একেবারেই। মাঝের ওভারে উইকেট নিতে গেলে শুধু টেনে টেনে বল করলে কিন্তু চলবে না!
১০১২
শিবম দুবে ৭.৫ ওভারে দিলেন ৬৮ রান। ইকনমি রেট ৮.৬৮। আর কেদার যাদব এক ওভারে দিলেন ১১। মানে, পঞ্চম বোলারের ১০ ওভারের কোটা যাঁদের মধ্যে ভাগাভাগি হওয়ার কথা, তাঁরা দু’জনেই চরম ব্যর্থ। শিবম ব্যাটেও রান পাননি। অভিষেক ম্যাচে হতাশই করলেন তিনি।
১১১২
বোলিংয়ে তীক্ষ্ণতার অভাব কিন্তু চিন্তায় রাখছে কোহালিকে। জশপ্রীত বুমরার অভাবে এদিন ভারতের পেস আক্রমণকেও সাদামাটা দেখিয়েছে। মহম্মদ শামি দাগ কাটতে পারেননি। নয় ওভারে দিয়েছেন ৫৭ রান। যা একজন স্ট্রাইক বোলারের থেকে প্রত্যাশিত নয়।
১২১২
বোলারদের মধ্যে দীপক চাহার ছিলেন সবচেয়ে কার্যকরী। শুরুতে বিপক্ষ ওপেনার অ্যামব্রিসকে ফিরিয়েছিলেন। ১০ ওভারে ৩২টি ডট বলও করেছেন। দিয়েছেন ৪৮ রান। তাঁর বলে ১০৬ রানে থাকা হেটমায়ারের সহজ ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন লং অনে দাঁড়ানো শ্রেয়াস আইয়ার। তা ছাড়া মিসফিল্ড, ওভারথ্রো-ও হল।