চার ওভারে ৫২ রান দিয়েও নায়ক ক্রিস জর্ডন। শেষ ওভারে ১৭ রান পঞ্জাব কিংগস ইলেভেনকে না তুলতে দেওয়ার জন্য। এই রানটা তুললেই আরসিবি-র বিরুদ্ধে সোমবার মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জিতত পঞ্জাব। কিন্তু জর্ডন ১৫ রানের বেশি দেননি। তাও দুই আর তিন নম্বর বলে পরপর বাউন্ডারি আর ছক্কা খাওয়ার পর। এক রানে নাটকীয় জয়ে প্লে অফে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ন’ম্যাচে চারটে জয় ও আট পয়েন্ট নিয়ে টেবলে ছয়ে উঠে এল আরসিবি।
বিরাট না বিজয়! পয়েন্ট টেবলের সাত আর আট নম্বরের লড়াইয়ে এটাই ছিল সোমবারের আইপিএল যুদ্ধের ইউএসপি। সেই যুদ্ধে আরসিবিকে প্রথমেই এগিয়ে দিয়েছিলেন এবি ডেভিলিয়ার্স। বিরাট ২০ রান করে ফেরার পর লোকেশ রাহুল (২৫ বলে ৪২) আর ৩৫ বলে এবির ৬৪ রানের দাপট ছাড়াও অবদান ছিল সচিন বেবির (৩৩)। যার সৌজন্যে পঞ্জাবের সামনে ১৭৬ রানের টার্গেট রেখেছিল আরসিবি।
এ দিন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে বাইরে রেখে দল নামিয়েছিল পঞ্জাব কিন্তু ক্যাপ্টেন মুরলী বিজয় মারকাটারি অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানের অভাব বুঝতেই দিলেন না। নতুন যোগ দেওয়া হাসিম আমলা (২১), ঋদ্ধিমান সাহা (১৬), ডেভিড মিলার (০) দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর একাই বিজয় টেনে নিয়ে যান ইনিংস। তার ব্যাটের জোরেই ঘরের মাঠে আরসিবিকে হারানোর আশা উজ্জ্বল হচ্ছিল পঞ্জাবের রাজাদের। কিন্তু বিজয় ৫৭ বলে ৮৯ করে ফিরতেই জয়ের আশা ক্রমশ ফিকে হতে শুরু করে পঞ্জাবের। মার্কাস স্টইনিস চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুটো রান তুলতে না পারায় তাঁর ২২ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের লড়াই কাজে এল না।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ১৭৫-৬ (ডে’ভিলিয়ার্স ৬৪)
কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব ১৭৪-৪ (বিজয় ৮৯)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy