গর্বিত: ক্রিকেটারদের হার না-মানা লড়াইয়ে মুগ্ধ শাস্ত্রী। ফাইল চিত্র
বিরাট কোহালিকে দেখেই তিনি বুঝেছিলেন, না কাটা হিরের কোঁজ পেয়েছেন। এমনই মন্তব্য করলেন রবি শাস্ত্রী। ২০১৪ সালে ভারতীয় দলের সঙ্গে ডিরেক্টর হিসেবে যু্ক্ত হন শাস্ত্রী। এর এক বছরের মধ্যেই টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অবসরের পরে কোহালি হয়ে ওঠেন ভারত অধিনায়ক।
চলতি ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টসে অধিনায়ক বিরাট কোহালিকে পাশে বসিয়েই শাস্ত্রী বলেন, ‘‘চোখের সামনে আমি বিরাটের বিবর্তন ঘটতে দেখেছি। ২০১৪-তে যখন আমি প্রথম দায়িত্ব নিই, দেখেই বুঝেছিলাম না-কাটা এক হিরে আমাদের দলে রয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘সব ভাল জিনিস পরিপূর্ণ হয়ে উঠচেই সময় লাগে। যে ভাবে বিরাট নিজেকে ধাপে ধাপে এই উচ্চতায় নিয়ে এসেছে, তা অসাধারণ!’’ শাস্ত্রী বলেন, ক্রিকেটার হিসেবে বিরাট যেমন সফল, তেমনই পিতা হিসেবেও সব পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হবেন। ভারতীয় দলের হেড কোচের কথায়, ‘‘উত্থান-পতন থাকবেই। কী ভাবে তাকে সামলাচ্ছ, সেটাই আসল। বিরাট দারুণ ভাবে সব কিছু সামলেছে। আমি নিশ্চিত পিতৃ্ত্বকেও তেমনই সফল ভাবে সামলাবে ও।’’
পাশে বসা বিরাটকে পিতৃত্ব নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ডায়াপার পাল্টানো শিখছি। এখনও দারুণ পারছি, তা নয়। কিন্তু আমি শিখতে চাই। এবং, আমি জানি, শেখার চেষ্টা থাকলে ডায়াপার পাল্টানো খুব ভাল ভাবেই শিখে যাব। আমি যে কোনও বিষয় শিখে নিতে তৈরি।’’
অস্ট্রেলিয়ায় কার্যত তৃতীয় সারির দল নিয়েও ঐতিহাসিক সিরিজ জিতে ফিরেছে ভারতীয় দল। সেই সিরিজে তিনটি টেস্ট খেলতে পারেননি বিরাট। দেশে ফিরে আসেন পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে। গত বার কোহালির নেতৃত্বে প্রথম বার অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিতেছিল ভারত। সেই জয় নিয়ে অনেকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে ছাড়াই জিতেছে ভারত। তাই খুব বেশি নম্বর দেওয়া যাবে না। সেই সব নিন্দুকদের পাল্টা কটাক্ষ ফিরিয়ে দিয়েছেন শাস্ত্রী। বলেন, ‘‘মানুষের স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ছেলেদের এই কথাটাই আমি বলি। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে পর-পর দু’টো টেস্ট সিরিজ জিতে আসার মতো সাফল্য আর কি কখনও দেখা যাবে?’’ সোজাসাপ্টা শাস্ত্রী যোগ করেন, ‘‘গত বার সিরিজ জেতার পরে লোকে বলেছিল, স্মিথ খেলছে না, ওয়ার্নার খেলছে না। এ বারে আমাদের কে ছিল! তবু তো ওদের ব্যান্ড বাজিয়ে দিয়ে এলাম!’’ পাশে বসা কোহালির প্রতিক্রিয়া তখন দেখার মতো। মুচকি মুচকি হাসতে থাকনে তিনি।
দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরায় খুশি কোহালি। হলছেন, নিজের দেশে খেলার অনুভূতিটাই অন্য রকম। তবে ভারত অধিনায়ক চান, দ্রুত দেশের মাঠেও গ্যালারিতে ফিরুক দর্শক। প্রসঙ্গত চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই দর্শক ফিরছে ক্রিকেট মাঠে। শাস্ত্রী মনে করেন, করোনার কারণে ক্রিকেটারদের এখন যে ভাবে বিশেষ জৈব সুরক্ষিত বলয়ে থাকতে হচ্ছে, তা মানসিক ভাবে প্রত্যেকের উপরেই চাপ তৈরি করছে।
আইপিএল শেষ হওয়ার পরে ভারতীয় দলকে কমপক্ষে দুই সপ্তাহের বিশ্রাম দেওয়া উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেন শাস্ত্রী। সেই বিশ্রামটুকু নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়া যেতে পারত বলে তিনি মনে করেন। তাঁর কথায়, ‘‘এই যেমন ইংল্যান্ড সিরিজের পরেই আইপিএল এসে পড়বে। কিন্তু ক্রিকেটারদের কিছুটা বিশ্রামও দিতে হবে। এটাও ভাবতে হবে যে, জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে খেলাটা মানসিক ভাবে খুব প্রভাব ফেলতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy