অনিল কুম্বলে ফাইল চিত্র
পঞ্জাব কিংসের হয়ে প্রথম চার ম্যাচে তিনি ছিলেন মাঠের বাইরে। কিন্তু শুক্রবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে রাতারাতি আলোচনায় চলে এলেন লেগস্পিনার রবি বিষ্ণোই। এ বারের আইপিএলে প্রথম ম্যাচেই তাঁর ঘূর্ণির কাছে হার মানলেন রোহিত শর্মারা।
শুক্রবারের ম্যাচে রবি এবং মহম্মদ শামি দুটি করে উইকেট তুলে নিয়েই মুম্বইয়ের ইনিংসকে (১৩১-৬) বেঁধে ফেলেন। পঞ্জাব সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। কিন্তু কেন প্রথম চার ম্যাচে রবি ছিলেন প্রথম একাদশের বাইরে, সেই রহস্য ফাঁস করলেন অনিল কুম্বলে। পঞ্জাব কিংস দলের কোচ জানালেন, তিনি বিশেষভাবে এই লেগস্পিনারকে ক্ষুরধার করে তোলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং ঠিক সময়ে তাঁর অস্ত্র প্রয়োগ করে ছিনিয়ে নিয়েছেন মূল্যবান জয়।
শনিবার পঞ্জাব কিংস দলের ভিডিয়োয় সেই বিষয়ে কুম্বলে বলেছেন, “আমি জানতাম, গত আইপিএলে রবি সমস্ত ম্যাচেই খেলেছিল। কিন্তু এ বার আইপিএল শুরুর আগে ও যখন শিবিরে যোগ দিল, আমার মনে হয়েছিল, গত আইপিএলে যে রবিকে দেখেছিলাম, এ সেই স্পিনার নয়। ফলে ঠিক করে নিলাম, ওকে তৈরি করতে হবে।”
কী ভাবে তিনি যোধপুরের ২০ বছরের নতুন তারকাকে তৈরি করলেন? কুম্বলে বলেছেন, “আমি প্রথমেই ওর রান-আপ নিয়ে কাজ শুরু করি। তারই সঙ্গে আরও কয়েকটি ব্যাপারে পরিমার্জনের প্রয়োজন ছিল। সেই কাজও চলতে থাকে। আসলে ওর বলটা উইকেটের ঠিক জায়গায় পড়ছিল না। সেই সমস্যাটা দূর করার জন্য ওকে প্রথম চার ম্যাচে খেলাইনি।” যোগ করেন, “গত এক সপ্তাহে দেখলাম, ওর বোলিংয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। ফলে ওকে প্রথম একাদশে রাখতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করিনি।” যোগ করেছেন, “সত্যি বলতে, বিষ্ণোই খুব লড়াকু মানসিকতার ছেলে। এই ধরনের তরুণদের সাফল্য দেখলে মন আনন্দে ভরে যায়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে গুপুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুটো উইকেট নিয়ে রবি নিজের যোগ্যতা আবার প্রমাণ করে দিয়েছে।”
তবে বিষ্ণোই বলেই নন, কুম্বলে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক কে এল রাহুলেরও। তিনি বলেছেন, “এই ধরনের উইকেটে ব্যাটিং করা মোটেও সহজ ছিল না। তাই আনন্দটা বেশি হচ্ছে। রাহুল একাই মুম্বই বোলারদের সামলে দিয়েছে। তারই সঙ্গে নিজের দলের বোলারদেরও ঠিক সময়ে দারুণ ভাবে ব্যবহার করেছে।” সেখানেই না থেমে কুম্বলে আরও বলেন, “সানরাইজ়ার্সের কাছে হারটা আমরা কেউই মেনে নিতে পারিনি। ওই ম্যাচে ১৫-২০ রান বেশি হাতে থাকলে হয়তো হারতে হত না। তবে মুম্বই ম্যাচের জয় দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দেবে বলেই আমি মনে করি। এই ধরনের উইকেটে কী ভাবে মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দিতে হয়, সেটা আমাদের দলের বোলাররা দেখিয়ে দিয়েছে। এই ছন্দই ধরে রাখতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy