বার্তা: হারিয়ে যেতে আসিনি। দুরন্ত ইনিংসে বোঝালেন পৃথ্বী। ফাইল চিত্র
নির্বাসন থেকে ফিরে এসে বিধ্বংসী পৃথ্বী শ। বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ ‘বি’-র ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৯ বলে ২০২ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দিয়ে গেলেন তিনি। মুম্বইয়ের তরুণ ওপেনার ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছন ১৭৪ বলে। রঞ্জি ট্রফির দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি সংগ্রাহকদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে ২০ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান।
পৃথ্বীর ক্রিকেটজীবন ছোট হলেও এরই মধ্যে বহু উত্থান, পতনের সাক্ষী। টেস্ট অভিষেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেন। দ্বিতীয় টেস্টেও ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি আসে তাঁর ব্যাটে। কিন্তু গত জুলাইয়ে তাঁর জীবনে নেমে আসে ডোপ কলঙ্ক। যে দিন তাঁর নির্বাসন ঘোষণা করা হয়, সে দিনই সাংবাদিকদের পৃথ্বী বলেছিলেন, ‘‘ফিরব আরও শক্তিশালী হয়ে।’’ পৃথ্বী কথা রেখেছেন। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় নির্বাসন থেকে ফিরেই হাফসেঞ্চুরি করেন। নিজের ব্যাট দেখিয়ে উৎসব করে বুঝিয়েছিলেন, ‘‘এই ব্যাটই কথা বলবে।’’ রঞ্জি ট্রফিতেও সেই ছন্দ বজায় রেখেছেন। প্রথম ইনিংসে ৬২ বলে ৬৬ রান করার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি। ১৯টি চার ও সাতটি ছয় রয়েছে ইনিংসে। সতীর্থ সূর্যকুমার যাদব ৭০ বলে অপরাজিত ১০৯ রান করে গিয়েছেন। তৃতীয় দিন ৪০৯-৪ স্কোরে ডিক্লেয়ার করে মুম্বই। ৭৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে হারের মুখে বরোদা।
বুধবার তিরুঅনন্তপুরমে গ্রুপ ‘এ’-র ম্যাচে কেরলের বিরুদ্ধে ১৪২ রানে অলআউট দিল্লি। ৫২৫-৯ স্কোরে কেরল ডিক্লেয়ার করার পরে জলজ সাক্সেনার দাপটে ধরাশায়ী ইশান্ত শর্মারা। ৬৩ রানে ছয় উইকেট নেন জলজ। ফলো-অন করে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির রান ১৪২-১। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে কর্নাটকের রান ৮৯। প্রথম ইনিংসে ৩৩৬ রানে অলআউট হওয়ার পরে তামিলনাড়ুর প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩০৭ রানে। ১১৩ রান করেছেন দীনেশ কার্তিক। কর্নাটকের হয়ে এ দিন আট রানে ফিরে যান
মায়াঙ্ক আগরওয়াল। অন্ধ্রপ্রদেশের ২১১ রানের জবাবে ৪৪১ রান করেছে বিদর্ভ। দ্বিতীয় ইনিংসে অন্ধ্রপ্রদেশের স্কোর ১০০-২। বিদর্ভের হয়ে সর্বোচ্চ রান গণেশ সতীশের (৩৯৭ বলে ২৩৭)।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে গিয়েছে পঞ্জাব। প্রথম ইনিংসে বিপক্ষের ২৫৭ রানের জবাবে পঞ্জাব করে ৩৫৮ রান। সেঞ্চুরি করেন মনদীপ সিংহ (১২২)। দ্বিতীয় ইনিংসে রাজস্থানের রান আট উইকেট
হারিয়ে ১৫৭। গুজরাতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে হায়দরাবাদের রান ছয় উইকেট হারিয়ে ২৩৯। তৃতীয় দিনেই কয়েকটি ম্যাচের নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে। যেমন সৌরভ অ্যাকাডেমির মাঠে রেক্স সিংহের দাপটে মিজোরামকে হারায় মণিপুর। ম্যাচে দশ উইকেট নেন তরুণ বাঁ-হাতি পেসার। মণিপুর জেতে ছয় উইকেটে। হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেটে জেতে সৌরাষ্ট্র। ছত্তিসগঢ়ের বিরুদ্ধে ইনিংস ও তিন রানে জেতে ওড়িশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy