সফল: তিন উইকেট ঈশানের। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাড়া করেই চলেছে বাংলা দলকে। রবিবারও ইডেনে গুজরাতের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিন পুরো সময় খেলা হল না মনোজ তিওয়ারিদের। মন্দ আলোর কারণে এ দিন বারবার খেলা বন্ধ হল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের আগেই খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করে দেন আম্পায়ারেরা।
রবিবার সারা দিনে বাংলা বল করল ৪৫ ওভার। তৃতীয় দিনের শেষে গুজরাতের রান ১৬৯-৭। প্রায় মেঘলা এবং স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে ঈশান পোড়েল নিলেন ৫৪ রানে তিন উইকেট। অন্য দিকে, ১৪ ওভার বল করে ৪৩ রানে চার উইকেট আকাশদীপ সিংহের। ক্রিজে রয়েছেন রুজুল ভট্ট (অপরাজিত ১৯) ও রুশ কালারিয়া (অপরাজিত ৩৩)। বোঝাই যাচ্ছে, এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পেতে হলে আজ, সোমবার ম্যাচের শেষ দিন দ্রুত গুজরাতকে আউট করে তাদের রান টপকাতে হবে বাংলার ব্যাটসম্যানেদের।
বাংলার বোলিং কোচ রণদেব বসুও দিনের শেষ বলে গেলেন, ‘‘সোমবার গুজরাতকে দু’শোর আশেপাশে আটকে রাখতে হবে। তা হলেই আমাদের ব্যাটসম্যানেরা সেই রান টপকে তিন পয়েন্ট এনে দিতে পারবে।’’
বাংলার দুই জোরে বোলার ঈশান ও আকাশদীপের দাপটে এ দিন ৭৯-২ থেকে ১২.২ ওভারের ব্যবধানে ১২০-৭ হয়ে গিয়েছিল গুজরাত। ৪১ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট চলে গিয়েছিল পার্থিব পটেলের দলের। কিন্তু সেই চাপ ধরে রাখা যায়নি। উল্টে এর পরেই রুজুল ও কালারিয়া স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৪৯ রান। যে প্রসঙ্গে বাংলার বোলিং কোচ বলে গেলেন, ‘‘অয়ন ভট্টাচার্য প্রথম স্পেলে ভাল বল করতে পারেনি। তাই ওই সময়ে ঈশান, আকাশদীপ ও মুকেশ কুমার টানা বল করে ক্লান্ত ছিল। সেই সুযোগটা কাজে লাগায় গুজরাত। মন্দ আলোর জন্যও বেশ কয়েক বার খেলা বন্ধ হয়েছে। যা পেসারদের ছন্দ কিছুটা ব্যাহত করে।’’
দিনের শুরুতে ক্রিজে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নীতি নিয়েছিলেন গুজরাতের দুই ব্যাটসম্যান সমিত গোহেল (২০) ও প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চাল (৪০)। দু’জনকেই দুরন্ত লেট ইনসুইঙ্গারে প্যাভিলিয়নে ফেরান আকাশদীপ। গুজরাত অধিনায়ক পার্থিবকেও (৯) ক্রিজে থিতু হতে দেননি ঈশান। আর পীযূষ চাওলাকে (৪) গতিতে পরাস্ত করেন আকাশদীপ।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে তিন উইকেটের পরে এ দিন চার উইকেট। দুই ইনিংসে সাত উইকেট হয়ে গেল বিহারের সাসারাম থেকে বাংলায় খেলতে আসা আকাশের। স্কুলের ক্রীড়াশিক্ষক বাবা রামজি সিংহ কয়েক বছর আগে পক্ষাঘাতে মারা গিয়েছেন। তার পরে কাকার বাড়ি দুর্গাপুর থেকে কলকাতার ইউনাইটেড ক্লাবে খেলতে এসে নজর কাড়েন। গত ম্যাচেই বাংলার রঞ্জি দলে অভিষেক হয়েছে একদা ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিকেট শুরু করা এই পেসারের। কাগিসো রাবাডা ও মহম্মদ শামির ভক্ত আকাশ এ দিন দুর্দান্ত ডেলিভারিতে আউট করেন প্রিয়ঙ্ককে। এ দিন আকাশের মুখ ভার থাকলেও বাংলার আকাশ ম্যাচের পরে হাসি মুখে বললেন, ‘‘সকালের দিকে বল সে রকম নড়াচড়া করছিল না। তাই গতির সঙ্গে সুইং মিশিয়ে দিয়েছিলাম। জানতাম চতুর্থ স্টাম্পে বল রেখে তা ভিতরের দিকে ঢুকিয়ে আনতে পারলে ও সমস্যায় পড়বে। সেটাই করেছি। সোমবার দ্রুত ওদের তিন উইকেট তুলে নিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy