প্রতিদ্বন্দ্বী: নোভাকের সিদ্ধান্তে খুশি নন রাফা। ফাইল চিত্র
প্রতিষেধক না নিয়ে অস্ট্রেলীয় ওপেনে খেলতে এসে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া নোভাক জোকোভিচ পাশে পাচ্ছেন না রাফায়েল নাদালকে। বরং, কোর্টে তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে জোরাল ফোরহ্যান্ডই মারলেন নাদাল যে, করোনার এমন একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সারা পৃথিবী। তা হলে প্রতিষেধক নিতে অস্বীকার করব কেন?
জোকোভিচের জন্য নিশ্চয়ই খারাপ লাগছে নাদালের। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় নামার পর থেকে যে রকম কঠিন পরিস্থিতির মুখে সার্বিয়ার তারকাকে পড়তে হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, জোকারও তো জানতেন প্রতিষেধক নিয়ে না এলে কী পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তা হলে তাঁরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। ইতিমধ্যেই মেলবোর্ন পৌঁছে যাওয়া রাফা বলছেন, ‘‘অবশ্যই যা চলছে, আমার ভাল লাগছে না। নোভাকের জন্য আমার খারাপও লাগছে। পাশাপাশি এটাও বলব, ও তো বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই সব কিছু জানত। প্রতিষেধক না নিয়ে এলে কী রকম পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতে পারে। নিজের সিদ্ধান্ত ও নিজেই নিয়েছে।’’
প্রতিষেধক না নিয়ে অস্ট্রেলীয় ওপেনে খেলতে আসা জোকোভিচকে বুধবার সীমান্তেই আটকে দেওয়া হয়। প্রতিষেধক না নেওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁকে অস্ট্রেলিয়া আসতে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়। তার জেরে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে পর্যন্ত আসরে নামতে হয়। জোরাল প্রশ্ন উঠেছে, টেনিস তারকাকে কেন স্বাস্থ্যবিধিতে বিশেষ ছাড় দেওয়া হল?
প্রধানমন্ত্রী মরিসন এ দিন মন্তব্য করেছেন, ছাড় পেতে গেলে যে সব যোগ্যতামান থাকা দরকার, তা ছিল না জোকোভিচের। সেই কারণেই তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। স্পষ্ট ভাষায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘নিয়ম নিয়মই। সকলের ক্ষেত্রেই তা এক। অস্ট্রেলিয়া কাউকে আলাদা সুবিধা দেওয়ার কথা ভাববেও না।’’
ও দিকে জোকোভিচের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাঁকে বিশেষ ছাড় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলেই তিনি অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে এসেছেন। এখন ভিসা আটকে দিয়ে বলা হচ্ছে, ফিরে যাও। সব মিলিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি। ভিসা না পেয়ে জোকোভিচ আদালতে পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁর আইনজীবীরা সওয়াল করছেন, কেন তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে দেওয়া হবে না? কেন তাঁর ভিসা মঞ্জুর হচ্ছে না?
আপাতত মেলবোর্নের একটি হোটেলে আলাদা থাকছেন ন’বারের অস্ট্রেলীয় ওপেন বিজয়ী। সোমবারের আগে কোনও সুরাহা হবে না। আদালত আবার খুলবে সোমবারেই। নাদাল মনে করছেন, কারও জন্যই এই পরিস্থিতি ভাল নয়। বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার মানুষ খুব হতাশ হয়েছেন এই ঘটনায়। তাঁদের এই প্রতিক্রিয়াটাও খুব স্বাভাবিক কারণ অনেককেই কঠোর লকডাউনে থাকতে হয়েছে। নিজের দেশেই অনেকে ফিরতে পারেননি।’’
নাদাল নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন আবু ধাবিতে খেলতে গিয়ে। যে অধ্যায়কে তিনি ব্যাখ্যা করছেন, ‘‘খুবই কঠিন কয়েকটা দিন’’ হিসেবে। জোকোভিচের প্রতিষেধক নিতে অস্বীকার করার বক্তব্যকেও সমর্থন করতে চাননি কোর্টে তাঁর অন্যতম সেরা প্রতিদ্বন্দ্বী। বলেছেন, ‘‘স্বাস্থ্য-সুরক্ষা সম্পর্কে অবহিত ব্যক্তিদের কথা শুনে আমি চলি এবং তাঁরা যদি বলেন, প্রতিষেধক নেওয়া জরুরি তা হলে সেটা নেওয়াই উচিত। এটাই আমার মত।’’
নাদাল মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘আমার নিজেরই কোভিড হয়েছে। কিন্তু আমি দু’টো প্রতিষেধকই নিয়েছিলাম।’’ বেশ জোরাল ভঙ্গিতে এর পর তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে বিষয়টা খুব পরিষ্কার। প্রতিষেধক নেওয়া থাকলে তুমি অস্ট্রেলীয় ওপেনে খেলতে পারবে। বিশ্বের যে কোনও জায়গায় খেলতে পারবে। এই মুহূর্তে খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে আমাদের পৃথিবীকে। নিয়ম না মানার সময় এটা নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy